কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা কি কি আসুন জেনে নিন

 

প্রিয় পাঠক, আজকে আমি এই পোস্টের মাধ্যমে কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা কি কি সেই সম্পর্কে বিশেষ আলোচনা করব। আপনার মনে যদি প্রশ্ন আসে কলা খাওয়ার উপকার ও অপকারিতা আসলে সঠিক নিয়ম কারণ কি? তাহলে শুধুমাত্র এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। কলা খাওয়ার উপকারিতা অপকারিতা কি কি আসুন বিস্তারিত জেনে নিন।
কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
কলাতে রয়েছে নানা ধরনের উপাদান এবং ভিটামিন সমূহ ফল। কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা কি কি এবং পাশাপাশি কলা আমাদের শরীরের জন্য কতটা উপকারী ও অপকারিতা এই পোস্টের মাধ্যমে বিস্তারিত আলোচনা করব। তো চলুন দেরি না করে আর্টিকেলটি পড়া শুরু করা যাক। এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন আশা করি আপনার অনেক উপকারে আসবে।

পোস্ট সূচীপত্রঃ কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা কি কি আসুন জেনে নিন

ভূমিকা-

কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা কি কি? এবং পাশাপাশি নানা ধরনের কলার ভিটামিন মূলক বিষয়গুলো বিস্তারিত আলোচনা করব। সকালে কলা খাওয়ার উপকারিতা, রাতে কলা খাওয়ার উপকারিতা, কলার ক্ষতির দিক, কলা খাওয়ার নিয়ম, বিচি কলার উপকারিতা, দিনে কয়টি কলা খাওয়া উচিত, এইসব বিষয়ে আলোচনা করব।

সকালে কলা খাওয়ার উপকারিতা

পাকা কলা খেতে অনেক সুস্বাদু লাগে এবং মিষ্টি একটি ফল। কলাতে রয়েছে ভিটামিন, আয়রন, খনিজ পদার্থ, পটাশিয়াম,অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। যার ফলে মানব দেহের স্বাস্থ্য সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। অনেকেই সকালে কলা খেয়ে থাকেন। তবে খালি পেটে কলা খাওয়া যাবে না এতে পেটের সমস্যা এবং হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। সকালে কলা খাওয়ার উপকারিতা। সকালের নাস্তায় কলা খেতে পারেন এতে নানা ধরনের পুষ্টিগুণ রয়েছে।

সকালে কলা খাওয়ার উপকারিতা অনেক রয়েছে যেমন-
ওজন নিয়ন্ত্রণে-শরীরে ওজন নিয়ে ভাবছেন? কলা ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য বেশ উপকারী একটি ফল। শরীর চর্চার জন্য এবং যারা ডায়েট কন্ট্রোল করতে চান তারা নিয়মিত কলা খান। এবং সকালের নাস্তার সঙ্গে কলা রাখুন।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে-যাদের রক্তচাপের রোগ রয়েছে তাদের জন্য একটি পাকা কলা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এবং একটি পাকা কলাতে রয়েছে নানা ধরনের উপকার।

সকালের নাস্তায়-সকালের নাস্তায় কলা রাখুন। সকালে মূলত আমরা নাস্তায় রুটি, ডিম, কাটা পাউরুটি, নানা ধরনের খাদ্য রাখি। কিন্তু কলাটা এড়িয়ে চলি কারণ অনেকের ভুল ধারণা যে কলা খেলে নাকি ওজন বেড়ে যায় এর ফলে সকালের নাস্তায় কলা রাখতে চান না। কিন্তু না ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য কলা বেশ ভূমিকা রাখে। তাই সকালের নাস্তায় কলা রাখুন এতে শরীর-স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে।

রাতে কলা খাওয়ার উপকারিতা

পুষ্টিবিদরা বলেছেন, রাতে কোন ধরনের ফল খাওয়া ঠিক নয়। রাতে কলা খাওয়ার উপকারিতা, কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম যা আমাদের দেহের ক্লান্তিময় দূর করতে সক্ষম এবং রাতে কলা খাওয়ার উপকারিতা হলো। রাতে কলা খেলে ঘুমের জন্য বেশ কার্যকরী হতে পারে। তাই সন্ধ্যার নাস্তায় ১-২ টি কলা খেতে পারেন। এতে করে রাতে ভালো একটি ঘুম হবে এবং পাশাপাশি দেহের গঠন মজবুত হবে। এর জন্য রাতে কলা খেলে তেমন কোন ধরনের সমস্যা নেই।

সাগর কলার উপকারিতা ও অপকারিতা

কলা একটি ফল এই ফল নানা ধরনের রয়েছে। সাগরকলা, এনার্জি কলা, চিনি কলা, শপ্রি কলা ইত্যাদি। সাগর কলার উপকারিতা ও অপকারিতা রয়েছে সাগরকলা অনেক মিষ্টি একটি ফল। সাগর কলার উপকারিতা সম্পর্কে অনেকেই জানেনা। ওজন বাড়ানোর জন্য সাগর কলা খেতে পারেন। যারা রোগা পাতলা তাদের জন্য সাগর কলা সবচেয়ে বেশি কার্যকারী। পাশাপাশি দুর্বলতা দূর করতে সাহায্য করে। তাই যারা রোগা পাতলা তারা নিয়মিত সাগরকলা খাদ্য তালিকায় রাখুন।
সাগর কলা হজম শক্তি বৃদ্ধি করে। এবং সাগরকলার রয়েছে নানা ধরনের উপাদান। শরীরের যেকোনো ধরনের সমস্যা দূর করতে সাগরকলা নিয়মিত খেতে পারেন। এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে সাগর কলা। ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে কলা বিশেষ ভূমিকা রাখে।

সাগরকলার অপকারিতা- সাগরকলা রাতে খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। কারণ সাগর কলা অনেক ঠান্ডা জাতীয় খাবার। তাই ঠান্ডা জনিত রোগে আক্রমণ করতে পারে। এবং যাদের ঠান্ডা জনিত রোগ আগে থেকেই রয়েছে তাহলে সাগরকলা থেকে দূরে থাকুন। এবং সাগর কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যাসিড যার ফলে বেশি খেলে পেটে সমস্যা দেখা দিতে পারে। এবং পেটে গ্যাস হতে পারে।

কলার ক্ষতিকর দিক

কলা আমাদের শরীরের জন্য অনেক পুষ্টিকর খাদ্য। কলা উপকারীর ও রয়েছে এবং অপকারিতা রয়েছে কলার ক্ষতির দিক বেশি পরিমাণ কলা খেলে ওজন বৃদ্ধি হতে পারে। একটি কলাতে রয়েছে ১০০ ওপর ক্যালরি যার ফলে ওজন বৃদ্ধি করতে সক্ষম। যাদের শরীরে মেদ ভুরি রয়েছে তাদের কলা কম পরিসরে খাওয়া উচিত। যারা ডায়েট কন্টোলে রয়েছেন তারা একটি অথবা দুইটি কলা খেতে পারে।
এছাড়াও কলার ক্ষতির দিক হলো-

দাঁতের ক্ষয় সমস্যা-কলাতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ শর্করা এর ফলে কলা বেশি পরিমাণ খেলে দাঁতের সমস্যা হতে পারে।

ডায়াবেটিস রোগী-কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ সুগার যার কারণে বেশি পরিমাণ কলা খেলে ডায়াবেটিসের রোগ দেখা দিতে পারে এবং যাদের আগে থেকেই ডায়াবেটিস রয়েছে তাদের ডাইবেটিস কন্ট্রোলের বাইরে চলে যেতে পারে। তাই কম পরিসরে একটি দুটি কলা খেতে পারেন।

গ্যাসের রোগীদের-কলাতে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার থাকায় গ্যাসের রোগীদের পেটে সমস্যা দেখা দিতে পারে।

এলার্জি সমস্যা-কলাতে রয়েছে ব্যাকটেরিয়া, যার কারণে বিভিন্ন সময় এলার্জির কারণ হতে পারে। এবং শরীর চুলকাতে পারে অথবা গলা জ্বালাপোড়া হতে পারে।

যাদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা-কলা বেশি পরিমাণ খেলে শ্বাসকষ্টের সমস্যা বেড়ে যেতে পারে।

কলা খাওয়ার নিয়ম

কলাতে রয়েছে বিভিন্ন উপাদান এবং ভিটামিনসমূহ ফল। কলা খাওয়ার নিয়ম, কলা সকালের ব্রেকফাস্ট এর খাবারের তালিকায় রাখুন। এবং দিনে নিয়মিত ১ থেকে ২টি কলা খান এতে শরীরে প্রয়োজনমতো পুষ্টিগুণ পেতে পারে। কলা ঠান্ডা জাতীয় খাবার কলা খেলে পেটের ভিতর যে কোন খারাপ ধরনের ব্যাকটেরিয়া দমন করতে সক্ষম। খালি পেটে কলা খাওয়া উচিত নয়। খালি পেটে কলা খেলে রক্তচাপ বৃদ্ধি পেতে পারে। আপনারা কলা খেলে সকালে খাবেন কারণ দিনের সবচেয়ে কলা খাওয়ার
ভালো সময় সকালের নাস্তায়।

বিচি কলার উপকারিতা

খালার ভিতরে একটি জাত রয়েছে সেটি হল বিচি কলা এর ও পুষ্টিগুণ রয়েছে। বিচি কলার উপকারিতা এই আঁটি যুক্ত কলায় রয়েছে পটাশিয়াম, ফাইবার। বিচি কলা সবাই খেতে পছন্দ করেন না কারণ কলার ভিতরে কালো কালো দানা বিচি রয়েছে এর ফলে খেতে বিরক্ত লাগে এর জন্য বিচি কলা মানুষ এড়িয়ে চলে। কিন্তু বিচি কলার উপকারিতা বিভিন্ন ধরনের আছে। বিচি কলা তে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে এনার্জি এবং প্রোটিন।
বিচি কলা ডায়রিয়া রোগ দমন করতে বেশ উপকারী। এবং অতিরিক্ত পায়খানা হলে দুই তিনটি বিচি কলা খেতে পারেন এতে খুব তাড়াতাড়ি সেরে যেতে পারে। এবং পেট পরিষ্কার করতে বিচি কলা বেশ কার্যকারী। আগের মানুষ বিচি কলা ঔষধি হিসেবে অনেক ব্যবহার করেছেন। যেমন-আমাশয় রোগ, পাতলা পায়খানা, রক্তচাপ এবং পেটের বিভিন্ন সমস্যা, শারীরিক সমস্যা, আলসার এইসব নিরাময়ের জন্য বিচি কলা বিশেষ ভূমিকা রাখে।

দিনে কয়টি কলা খাওয়া উচিত

কলা একটি স্বাস্থ্যসম্মত ফল এবং কলা রোগ প্রতিরোধ করতে সক্ষম হয়। কলা মূলত সারা বছরই বাজারে ব্যাপক পরিমাণে পাওয়া যায়। কলাতে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের উপাদান যার ফলে শরীর স্বাস্থ্য ভালো রাখে। দিনে কয়টি কলা খাওয়া উচিত? একজন সুস্থ ও সবল মানুষের জন্য নিয়মিত প্রতিদিন ১ থেকে ২টি কলা খাওয়া শরীর-স্বাস্থ্য জন্য বেশ উপকারী এবং দুইটি করে কলা খাওয়া উচিত।

দুইটি কলাতে শরীরের চাহিদা মত ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ করে। দুইটার বেশি কলা খেলে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই নিয়ম মেনে নিয়মিত ১টি অথবা ২টি কলা খান। দুইটি কলা খাওয়া শরীরের জন্য একদম নিরাপদ।

আমাদের শেষ কথা

প্রিয় পাঠক, কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আশা করছি সবকিছু বুঝাতে পেরেছি। কলাতে রয়েছে পর্যাপ্ত মাত্রায় আঁশ এর ফলে হজমের জন্য অনেক সময় লাগে। আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এই পোস্টটি ভালো লাগলে বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করুন। এবং নিচে কমেন্ট বক্স রয়েছে আপনার কোন মন্তব্য নিচে কমেন্ট বক্সে লিখতে পারেন। এরকম পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url