পাট দিয়ে কি কি তৈরি হয়- এবং পাট এর ব্যবহার সম্পর্কে জানুন
প্রিয় বন্ধুরা, আজকে আমি আপনাদেরকে পার ডে কি কি তৈরি হয় এবং পাটের ব্যবহার
সম্পর্কে বিশেষ আলোচনা করব। আপনি যদি পাট সম্পর্কে কিছুই না জেনে থাকেন এবং পাট
দিয়ে কি কি তৈরি হয় এমন কিছু যদি না জানা থাকে তাহলে এই আর্টিকেলটি শুধুমাত্র
আপনার জন্য। কি কি তৈরি হয় এবং পাটের ব্যবহার এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।
পাটের ব্যবহার সেই প্রাচীন কাল থেকেই হয়ে আসছে। কিন্তু অনেকেই রয়েছে পাট দিয়ে
কি কি তৈরি হয় এবং পাট এর ব্যবহার সম্পর্কে সঠিক জানেনা। এর জন্য এই আর্টিকেলটি
পাট দিয়ে কি কি তৈরি হয় এবং পাট এর ব্যবহার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
বন্ধুরা চলুন দেরি না করে আর্টিকেলটি শুরু করা যাক। এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে শেষ
পর্যন্ত পড়ুন।
পোস্ট সূচিপত্রঃ পাট দিয়ে কি কি তৈরি হয়- এবং পাট এর ব্যবহার সম্পর্কে জানুন
ভূমিকা
পাট দিয়ে বিভিন্ন ধরনের জিনিস তৈরি করা হয় এবং এগুলো শিল্প কলকারখানাতে তৈরি
হয়। পাট দিয়ে কি কি তৈরি হয় এবং পাট এর ব্যবহার জেনে নিন এবং কি কি বিষয়ে
আর্টিকেলটি লেখা হয়েছে জেনে নিন। পাট দিয়ে কি কি তৈরি হয়, কি কাজে ব্যবহৃত
হয়, পাঠ চাষ ভালো হয় কোন অঞ্চলে, পাট কোন মাটিতে ভালো হয়, পাট বেশি উৎপাদিত
হয় কোথায়, পাটের তৈরি জিনিস কোথায় পাওয়া যায় এই সকল বিষয়েই এই পোস্টটি তৈরি
করা হয়েছে।
পাট দিয়ে কি কি তৈরি হয়
পাটের বিভিন্ন ধরনের গুণাগুণ রয়েছে এবং মানুষ পাটের তৈরি বিভিন্ন প্রকার জিনিস
ব্যবহার করে থাকে। এবং পাটের তৈরি জিনিস সেই প্রাচীনকাল থেকেই মানুষ ব্যবহার করে
আসছে। পাটের তৈরি শিল্প কল কারখানাতে প্রচুর জিনিস রয়েছে এবং পাট দিয়ে শিল্প
কলকারখানাতে সুতা তৈরি করছে। পাট দিয়ে কি কি তৈরি হয়? বিভিন্ন প্রকার জিনিসপত্র
তৈরি করা হচ্ছে এই পাট দিয়ে। যেমন-
শিল্প কলকারখানা-পাটের ব্যবহার রয়েছে এবং পাট দিয়ে তৈরি হচ্ছে, সুতা,
চটের বস্তা, কার্পেট, কাপড় ইত্যাদি। এবং শীতকালে গরম কাপড়ের জন্য উলের সঙ্গে
পাট মিশ্রণ করে।
এতক্ষণ জানলেন পাটের আঁশের ব্যবহারিত। তবে পাটখড়ি দিয়ে বিভিন্ন প্রকার কাজে
লাগানো হয়। যেমন-পাটখড়ি জ্বালানির কাজে ব্যবহৃত হয়, পাটখড়ি দিয়ে কাগজ তৈরি
করা হয়। এবং পাটের সবকিছুই ব্যবহার করা হয় এবং এগুলো সব কিছুতেই গুরুত্বপূর্ন
ভূমিকা রাখে। পাটের পাতা বাংলাদেশে বিভিন্ন স্থানে শাক হিসাবে রান্না করে থাকেন।
এবং পাটের শাক খেতে অনেক সুন্দর লাগে।
পাট কি কাজে ব্যবহৃত হয়
প্রথমত বাংলাদেশেই পাটের ব্যবহার হয়ে আসছে। এবং পাটের ব্যবহার প্রাচীনকাল থেকেই
বাংলাদেশে রয়েছে। পাটের আঁশ বিভিন্ন জায়গায় নাম রয়েছে বাংলাদেশের সোনালী আঁশ
এবং সোনালী আঁশ নামেই পাট পরিচিত। পাট চাষ সময়কাল ১০০ থেকে ১২০ দিন মত। এবং পাট
চাষ জন্য উপযোগী সময় বৈশাখ থেকে আষাঢ। পাট চাষের জন্য তেমন একটা সার লাগেনা। এবং
পার্ট হচ্ছে বৃষ্টির পানির উপর নির্ভরশীল। পাটগাছ হচ্ছে সবুজ কালার তবে এটি যখন
প্রাপ্ত বয়স হয়ে যায় তখন কেটে পানিতে কিছুদিনের জন্য পচানোর জন্য রেখে দেওয়া
হয়।
আরো পড়ুনঃ
এবং আঁশ নরম হয়ে গেলে তখন পানি থেকে তুলে পাটের আঁশগুলো ছাড়িয়ে নেওয়া হয়।
এবং ভালো কোন পরিষ্কার পানিতে ভালোমতো ধুয়ে নেওয়া হয়। তারপর শুকিয়ে ভালোমতো
গুছিয়ে বেঁধে তখন পাট আঁশ বাজার জাতের জন্য বা বিভিন্ন ব্যবহারের কাজে রপ্তানি
করা হয়। বস্তা তৈরীর জন্য পাটের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। পাটের আঁশ
দিয়ে ঘরের বেড়ার জন্য দড়ি তৈরি করা হয়। পাট চাষ বাংলাদেশ এবং পার্শ্ববর্তী
এলাকা ভারত দুই দেশেই চাষ করা হয়।
পাট চাষ ভালো হয় কোন অঞ্চলে
বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাট চাষের রেকর্ড রয়েছে। এবং এগুলো কালের পরিবর্তে
অনেক কমে গেছে আগে যেসব জেলাতে পাট চাষ করা হতো এখন ওইসব এলাকায় তেমন একটা পাট
চাষ করতে দেখা যায় না। ওই জেলাগুলোতে পাট চাষের জন্য কথা বলতে গেলে তারা জানান
যেসব কৃষক ছিলেন পাট চাষের জন্য তারা নাকি এখন আর চাষ করতে পারেন না। এবং পুকুর
খাল বিল তেমন পানি থাকে না এর ফলে পাট জাগ দিতে তারা সমস্যায় পড়ে যান।
এর জন্য ওই সব এলাকাতে তেমন একটা পাট চাষ করে না। আগে যে অঞ্চলগুলোতে পাট চাষ করা
হতো যেমন-কুমিল্লা, ময়মনসিংহ এবং ঢাকা এসব অঞ্চলে বেশি পরিমাণ পাট চাষ করা হতো।
এখন কালের পরিবর্তে পাট চাষের জন্য বিভিন্ন জেলাতেই পাট চাষ করা হচ্ছে। উত্তর
পশ্চিম অঞ্চলে পাট চাষ করছেন। রংপুর, বগুড়া, তিস্তা দিনাজপুর, গঙ্গা, এসব অঞ্চলে
এখন পাট চাষ হচ্ছে।
আরও যে সকল অঞ্চলগুলোতে পাট চাষ দেখা মিলছে এবং পাট চাষ উৎপাদন করা হয়। ফরিদপুর,
যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, রাজশাহী, পাবনা এইসব অঞ্চলে পাট চাষ হয়। বর্তমানে দেশে
তোষা পাটের চাষ করা হচ্ছে। বাংলাদেশে পাট গাছ দিয়ে সব রকম জিনিস তৈরির জন্য
প্রস্তুত করা হয়। এবং পাট বাংলাদেশের বাইরে ও রপ্তানি করে থাকে।
পাট কোন মাটিতে ভালো হয়
বিভিন্ন অঞ্চলের পাট চাষের চাহিদা রয়েছে এবং চাষীরা বুঝে উঠতে পারেন না কোন
মাটিতে পাট চাষের জন্য ভালো হবে। এবং এ বর্ষাকালীন ফসল মোটা ও বড় আকার তৈরি করার
জন্য অবশ্যই ভালো একটি মাটির প্রয়োজন হয়। পাট কোন মাটিতে ভালো হয় পাট নদীর যে
পলি মাটি রয়েছে ওই পলিমাটির ওপর পাট চাষের জন্য বেশ কার্যকারী হয়। এবং বেলে
দোআঁশ মাটিতে চাষের জন্য উপযোগী হয়। এ পাটকে বাংলাদেশের সোনালী আঁশ বলে পরিচিত
করা হয়।
আরো পড়ুনঃ
পাটের চাষ যমুনা ও মেঘনা নদীর আশেপাশে অলিবাহিত ভূমির ওপর বেশি ভালো হয়। পাটের
প্রধানত দুই প্রজাতির নাম রয়েছে যেমন-তোষাপাট এবং সাদাপাট। এবং পাট গাছের ছাল
থেকেই পাটের আঁশ ছাড়ানো হয়। এবং পাটের আঁশের রং সবুজ কালার হয় তবে এর আসল
কালার হচ্ছে সোনালী রং। পার দিয়ে বিভিন্ন ধরনের তৈরি জিনিস যেমন-পর্দা, কার্পেট,
গদি, কাগজ, পারটেক্সের বোর্ড, হার্ট বোর্ড, জায়নামাজ ইত্যাদি।
পাট বেশি উৎপাদিত হয় কোথায়
বর্তমানে বালাদেশে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে পাট চাষ করে থাকেন চাষিরা এবং বাংলাদেশের
পাট বিদেশী জিনিসপত্রের জন্য কলকারখানাতে বেশি প্রয়োজন পড়ে। কারণ পাট দিয়ে
বিভিন্ন প্রজাতের জিনিসপত্র তৈরি করা হয় এবং বিভিন্ন পদার্থের সঙ্গে পাঠের আঁশ
মিশ্রণ করা হয়। বাংলাদেশে বিভিন্ন অঞ্চলে পাট চাষের জন্য বিখ্যাত রয়েছে। এবং
অনেক অঞ্চলেই পাট চাষ তেমন একটা দেখা যায় না কারণ পাট চাষ পানি ছাড়া চাষ করা
অসম্ভব হয়ে পড়ে।
বাংলাদেশে যে সকল অঞ্চলগুলোতে এবং এলাকাতে পাঠ বেশি উৎপাদিত হয়। ব্রিটিশ আমল
থেকেই পাটের জিনিসপত্র ব্যবহার করে আসছে। পাট বেশি উৎপাদিত হয় কোথায়? যেসব
অঞ্চলগুলোতে পাট বেশি উৎপাদিত হয়ে থাকে যেমন-
- ফরিদপুর
- রংপুর
- দিনাজপুর
- ময়মনসিংহ
- টাঙ্গাইল
- কুষ্টিয়া
- যশোর
এসব অঞ্চলগুলোতে পাট চাষের উৎপাদিত বেশি রয়েছে এবং এই অঞ্চলগুলোতে সরকারিভাবে
পুরস্কৃত করা হয়েছে। এবং তাদেরকে ফার্স্ট সেকেন্ড থার্ড করে পুরস্কৃত করেছেন।
পাটের তৈরি জিনিস কোথায় পাওয়া যায়
বাংলাদেশে পাটের আঁশ দিয়ে অনেক মানুষ রয়েছে হাত দিয়ে তারা ব্যাগ ও পাকানো দড়ি
এবং অন্যান্য জিনিসপত্র তৈরি করে থাকে। পাটের তৈরি বিভিন্ন জিনিস রয়েছে কিন্তু
আমরা হয়তো দুই একটা দেখতে পাই। কিন্তু পাটের তৈরি অনেক ধরনের জিনিস ঢাকাতে একটি
প্রতিষ্ঠানে রাখা হয়েছে এবং পাটের তৈরি জিনিসপত্র দেখতে ওই প্রতিষ্ঠানটিতে
প্রচুর মানুষ দেখতে পাওয়া যায়। এবং পাটের পণ্য বিক্রি করা হয় ওই প্রতিষ্ঠান
থেকে অনেক মানুষ পাটের তৈরি জিনিসপত্র ব্যবহার করতে পছন্দ করে থাকে।
আরো পড়ুনঃ
তাই আজকে আমরা জানাবো কাঠের তৈরি জিনিস কোথায় পাওয়া যায় এবং কোথা থেকে নিলে
ভালো জিনিস পাবেন এই সকল বিষয়ে। যেমন-ঢাকা পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট।
ঠিকানাঃ শেরেবাংলা নগর, ঢাকা-১২০৭।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। আড়ং, লালমাটিয়া।
ঠিকানাঃ ব্লক-এ, লালমাটিয়া, মিরপুর রোড, ঢাকা।
এবং আরো রয়েছে গুলশান, তেজগাঁও লিংক রোড, গুলশান-১, মগবাজার. মিরপুর ১.
চট্টগ্রাম. উত্তরা. সিলেট এবং খুলনায় প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
লেখক এর মন্তব্য
প্রিয় পাঠক, আমি আপনাদেরকে পাট দিয়ে কি কি তৈরি হয় এবং পাট এর ব্যবহার
সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করেছি এবং আশা করছি আপনারা সঠিকভাবে জানতে পেরেছেন। পাট
এর তৈরি জিনিস দিয়ে আমরা অনেক কিছুই ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু আমরা জানি না পাট
দিয়ে কত কি তৈরি করা হয়। তবে আশা করছি এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনি পাটের তৈরি
জিনিসপত্র নাম গুলো জানতে পেরেছেন।
এই পোস্টটি ভালো লাগলে অবশ্যই বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করুন এবং আমাদের কোন ধরনের
প্রশ্ন করতে চাইলে নিজের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করতে পারেন। এই আর্টিকেলটি মনোযোগ
সহকারে পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমাদের এই রকম ধরনের পোস্ট পড়তে আহমেদ
আলী বিডি ওয়েবসাইটটি ঘুরে আসুন ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url