চোখ উঠলে করণীয় কি-এবং ঘরোয়া উপায়ে চিকিৎসা

 

প্রিয় পাঠক, চোখ উঠলে করণীয় কি চোখ উঠলে সহজেই ঘরোয়া উপায়ে সমাধান করা যায়। চোখ উঠলে এ রোগটি একে অপরের দিকে ছড়িয়ে পড়ে। এর জন্য যার চোখ উঠবে তার ব্যবহারিত জিনিসপত্র অন্য কেউ যেন ব্যবহার না করে। এবং যার চোখ উঠবে তার জিনিসপত্রগুলো আলাদাভাবে রাখতে হবে। আর্টিকেলটির মাধ্যমে চোখ উঠলে করণীয় কি এবং ঘরোয়া উপায় চিকিৎসা বিষয়ে বিশেষ আলোচনা করব।
চোখ উঠলে করণীয় কি-এবং ঘরোয়া উপায়ে চিকিৎসা
চোখ ওঠার রোগটি এখন অনেকের ভেতর দেখা দিচ্ছে তবে চিন্তার কোন কারণ নেই কয়েকটি ঘরোয়া উপায়ে চোখ ওঠা দমন করা যায়। তো চলুন দেরি না করে চোখ উঠলে করণীয় কি এবং ঘরোয়া উপায় চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন। এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়ুন, আশা করি এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনার অনেক উপকারে আসবে।

পোষ্ট সূচিপত্রঃ চোখ উঠলে করণীয় কি-এবং ঘরোয়া উপায়ে চিকিৎসা

ভূমিকা

আপনি যদি চোখ উঠা রোগে আক্রান্ত হয়ে যান তাহলে ঘরোয়া উপায়ে খুব সহজেই চিকিৎসা করতে পারবেন। তার জন্য এ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে আপনাকে পড়তে হবে। আমরা এমন কিছু ঘরোয়া উপায়ে চিকিৎসার বিষয়ে আলোচনা করব যার কারণে চোখ উঠলে করণীয় এবং ঘরোয়া উপায়ে চিকিৎসা সম্পর্কে আপনি ভালোমতো জেনে যাবেন এবং আপনার ফ্যামিলির অন্য সদস্যদেরও চিকিৎসা করতে পারবেন এর জন্য এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

চোখ উঠলে ঘরোয়া উপায় চিকিৎসা

চোখ উঠা কমন রোগ, যদি চোখ উঠে তাহলে আপনি চাইলেই খুব সহজেই ঘরোয়া উপায়ে চোখের চিকিৎসা করতে পারবেন। চোখ উঠে মূলত ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাসের কারণে, তবে যদি ফ্যামিলির একজনের চোখ ওঠা সমস্যা দেখা দেয় তাহলে খুব সহজেই অন্য সদস্যদের ও আক্রান্ত করতে পারে এ ভাইরাসটি। যে ব্যক্তির চোখ ওঠা সমস্যা দেখা দিবে তার ব্যবহারকৃত জিনিসপত্র আলাদা রাখতে হবে এবং ওই ব্যক্তির কোন কিছুই অন্যরা ব্যবহার করবে না।

যে ব্যক্তির চোখ উঠেছে তাকে একটি পরিষ্কার কাপড় ঠান্ডা পানিতে ভিজিয়ে চোখে সেক করে দিলেই সে অনেকটাই আরাম পাবে। তবে একটি কথা মনে রাখতে হবে যদি দুই চোখেই ভাইরাসটি দেখা দেয় তাহলে আলাদা আলাদা ভাবে দুই চোখের জন্য কাপড় ভিজিয়ে ব্যবহার করতে হবে। অথবা যেকোনো অ্যান্টিবায়োটিক ড্রপ ব্যবহার করলেও আরাম পাবে এবং দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে।

চোখ উঠলে কি কি খাওয়া যাবে না

বর্তমানে ঋতু পরিবর্তনের জন্য চোখ উঠা বেড়ে গেছে এবং প্রতিটা ঘরেই চোখ উঠার রোগ দেখা দিচ্ছে অথবা এ রোগটি ছোঁয়াচে রোগের কারণে খুব সহজেই আক্রান্ত হয়ে পড়ছেন। চোখ উঠা রোগটি গরম এবং বর্ষাকালে বেশিরভাগ দেখা দেয়। চোখ উঠলে ঘরোয়া উপায়ে চিকিৎসা করা সম্ভব এর জন্য খাবারটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। চোখ উঠা রোগ দেখা দিলে সবুজ রঙের শাকসবজি প্রচুর পরিমাণে খেলে অনেক উপকারে আসবে।

চোখ ওঠার রোগের আক্রান্ত হয়ে পড়লে কিছু কিছু খাবার রয়েছে সেগুলোকে এড়িয়ে চলাই ভালো হবে এর জন্য চোখ উঠলে কি কি খাওয়া যাবেনা জেনে নিন। যেমন-চিনিযুক্ত খাবার, গরুর দুধ, অতিরিক্ত তেলে ডুবা খাবার, ডিম, চিংড়ি, বাদাম, মিষ্টি কুমড়া, টমেটো, গাজর ইত্যাদি এ সকল খাবার গুলো চোখ ওঠার সময় এড়িয়ে চলায় ভালো। অথবা এলার্জি জাতীয় যেসব খাবারগুলো রয়েছে ওইসব খবরগুলো থেকে দূরে থাকা এই সময় ভালো হবে।

চোখ ওঠার উপকারী খাবার

চোখ ওঠার রোগটি বিভিন্ন সমস্যার কারণেই মূলত এই রোগটিতে মানুষ আক্রান্ত হয়। সবচেয়ে বেশি যে ভূমিকাটা পালন করে সেটা হচ্ছে ভিটামিন এ, ভিটামিন এর অভাবের কারণে চোখ উঠা রোগ দেখা দেয় এবং ঋতু পরিবর্তনের কারণে রাতকানা রোগ হয়। চোখের কোন ধরনের সমস্যা দেখা দিলে অথবা চোখ উঠা রোগে আক্রান্ত হলে অবশ্যই ভিটামিন সি সমূহ খাবার গুলো খাবেন এতে দ্রুত চোখ উঠা সেরে যাবে।

ভিটামিন সি সমূহ খাবার গুলো যেমন-পেয়ারা, কমলালেবু, লেবু, স্ট্রবেরি, টমেটো ইত্যাদি। ভিটামিন সি সমূহ খাবারগুলো খেলে চোখের রক্ত চলাচল গুলো স্বাভাবিক থাকে এর ফলে চোখের যে কোন সমস্যা দূর করতে সক্ষম হয়। এর জন্য চোখ উঠা অথবা রাতকানা রোগে আক্রান্ত হলে বেশি বেশি ভিটামিন সি সমূহ খাদ্যগুলো খাবার তালিকায় রাখবেন।

চোখ উঠলে কি ড্রপ দিতে হয়

বিভিন্ন ফার্মেসিতে বিভিন্ন রকমের ড্রপ পাওয়া যায়। অনেকেই জানে না কোন ড্রপ ব্যবহার করলে চোখের জন্য ভালো উপকার হবে জানে না। চোখ উঠলে চোখের আশেপাশে লাল বর্ণের রক্ত দেখা দেয় এতেই বোঝা যায় যে চোখ উঠা সমস্যায় আক্রান্ত হয়েছে। এবং চোখের পাপড়ি গুলো ফুলে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। চোখে ব্যথা অনুভব হতে পারে, আর চোখ খসখস করে। এমন সমস্যা দেখা দিলে অবশ্যই বুঝতে হবে আপনি চোখ ওঠা রোগে আক্রান্ত হয়েছেন।

উঠলে তা এক সপ্তাহ থেকে ১০ দিন ভেতর সেরে যায় তাই তেমন চিন্তার কোন কারণ নাই। এবং যদি ১০ দিন পার হয়ে যায় তারপর আপনি অ্যান্টিবায়োটিক ড্রপটি ব্যবহার করবেন। অথবা যদি তাও নাও কমে তাহলে অবশ্যই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।

চোখ উঠা কি ছোঁয়াচে

চোখ উঠা রোগটি ছোঁয়াচে রোগ। এবং বিশেষজ্ঞদের মতে জানা গিয়েছে চোখ উঠা রোগ হাঁচি, কাশি বা থুতুর মাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে অর্থাৎ মানুষ খুব সহজেই তখন আক্রান্ত হয়ে পড়ে। এর জন্য এ রোগটি হলে অবশ্যই সে ব্যক্তির কাছে থেকে দূরে থাকবেন এবং উনার কোন কিছু ব্যবহার করবেন না। যেমন যে ব্যক্তি চোখ ওঠা রোগে আক্রান্ত হবে তার রুমাল, গামছা, বালিশ, টিস্যু এবং অন্যান্য ব্যবহারিত জিনিস ব্যবহার করলে অন্যরাও আক্রান্ত হতে পারে।

বাচ্চাদের চোখ উঠার ড্রপ

চোখ উঠা রোগে সবাই আক্রান্ত হতে পারে বয়স্ক থেকে শুরু করে শিশু বাচ্চারা আক্রান্ত হতে পারে। বর্তমানে ঋতু পরিবর্তনের কারণে বাচ্চাদের ও খুব সহজেই চোখ উঠা রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ছে। চোখ ওঠার রোগটি মূলত গরমে এবং বর্ষাকালের সময় বেশি দেখা দেয়। বাচ্চারা বেশি আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে কারণ চোখ ওঠার রোগটি ছোঁয়াচে রোগ এবং ভাইরাস জনিত রোগ।

এখন আমি আলোচনা করব বাচ্চাদের চোখ ওঠার ড্রপ নিয়ে। বাচ্চাদের যদি এক সপ্তাহের ভেতরে চোখ উঠাও রোগটি থেকে মুক্তি না পাই তাহলে অবশ্যই ড্রপ ব্যবহার করতে হবে অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। শিশুদের জন্য অ্যান্টিবায়োটিক ড্রপটি ব্যবহার করবেন এতে ভালো ফলাফল দেবে এবং শিশুর চক্ষু ভালো রাখবে।

চোখ উঠলে ঔষধ

অনেকেই আমাদেরকে প্রশ্ন করেন চোখ উঠলে ওষুধ কি আসলে চোখ ওঠার জন্য তেমন ওষুধ খাওয়ার প্রয়োজন হয় না। আপনি যদি ঘরোয়া উপায়ে চিকিৎসা গ্রহণ করেন তাহলে সাধারণত এক সপ্তাহের ভেতরেই চোখ ওঠা রোগ থেকে আপনি খুব সহজেই মুক্তি পেয়ে যাবেন। অথবা যদি বেশি সমস্যা হয় তাহলে অ্যান্টিবায়োটিক ড্রপটি ব্যবহার করতে পারেন। তবে চেষ্টা করবেন যদি চোখ উঠার রোগটি বেশিদিন পার হয়ে যায় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন।

চোখ উঠলে কতদিন থাকে

চোখ উঠলে মূলত যদি সাধারণ হয় তাহলে তিন দিনের ভেতরেই সেরে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই চোখ ওঠার একটি ৭ থেকে ১০ দিন সময় লেগে যেতে পারে। আর যদি বেশি সমস্যা হয় তাহলে এরও বেশি সময় লাগতে পারে। এবং এমন ব্যক্তি রয়েছে যার চোখ ওঠা রোগটি দুই-তিন সপ্তাহ লাগতে পারে বলে জানা গেছে।

লেখক এর মন্তব্য

প্রিয় পাঠক, আশা করছি আপনি খুব সহজেই চোখ উঠলে করণীয় কি এবং ঘরোয়া উপায়ে চিকিৎসা করতে পারবেন। এবং যদি কোন ধরনের আপনার প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে নিচে যে কমেন্ট বক্সে রয়েছে অবশ্যই আমাদেরকে প্রশ্ন করবেন। আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url