ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা-ডায়াবেটিস রোগীর নিষিদ্ধ খাবার তালিকা

 

প্রিয় বন্ধুরা, আজকে আমি ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা এবং ডায়বেটিস রোগীর নিষিদ্ধ খাবার তালিকা গুলো বিষয়ে বিশেষ আলোচনা করব। আপনার মনে যদি প্রশ্ন এসে থাকে ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা সম্পর্কে এবং ডায়াবেটিস রোগীর নিষিদ্ধ খাবার তালিকা সম্পর্কে তাহলে আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনি আপনার প্রশ্নের উত্তরটি খুব সহজেই পেয়ে যাবেন। ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা এবং ডায়াবেটিস রোগীর নিষিদ্ধ খাবার তালিকা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা-ডায়াবেটিস রোগীর নিষিদ্ধ খাবার তালিকা
ডায়াবেটিস রোগীদের বিভিন্ন ধরনের খাদ্য খাওয়া বারণ করা হয়ে থাকে। ডায়াবেটিস রোগীদের চিকিৎসকরা সবসময় খাদ্যের জন্য মানা করে থাকে। এবং যে সকল খাদ্যগুলো খাওয়া যাবেনা যেমন-মিষ্টি, মধু, সুগার, মিষ্টি বিস্কুট, মিষ্টি দই, পাকা কলা, আখের রস, খেজুর, কিসমিশ, চিংড়ি মাছ, তেলে ভাজা খাদ্য ইত্যাদি। ডায়াবেটিস রোগীদের খাদ্য তালিকা এবং ডায়াবেটিস রোগীর নিষিদ্ধ খাবার তালিকা জন্য এই আর্টিকেলটি লিখা হয়েছে তো চলুন দেরি না করে আর্টিকেলটি শুরু করা যায়।

পোস্ট সূচীপত্রঃ ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা-ডায়াবেটিস রোগীর নিষিদ্ধ খাবার তালিকা

ভূমিকা

শরীরের জন্য এখন ডায়াবেটিস রোগ কমন হয়ে গেছে এবং এই ডায়াবেটিস রোগ মানবদেহে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছে। ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা এবং ডায়াবেটিস রোগী নিষিদ্ধ খাবার তালিকা এই সকল বিষয়েই আলোচনা করব। ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা, ডায়াবেটিস মুড়ি খাওয়া যাবে কি, ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা ফল, ডায়াবেটিস হলে কি কি সবজি খাওয়া যাবে না, ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা সবজি এই সকল বিষয়েই বিস্তারিত আলোচনা করব।

ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা

বর্তমানে বাংলাদেশে বিভিন্ন অঞ্চলে ডায়াবেটিস রোগ পরিচিত হয়ে গেছে। এবং ডায়াবেটিস রোগ খুঁজে পাওয়া যাবে না এইরকম সংখ্যা খুবই কম রয়েছে। আমাদের সকলের ভিতরেই এখন ডায়াবেটিস রোগ দেখা দিচ্ছে। বর্তমানে যে অবস্থা ডায়াবেটিস রোগটি মহামারী আকারে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ছে। ডায়াবেটিস রোগ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খাদ্য গ্রহণ করা এবং ডায়াবেটিস রোগ হলে বিভিন্ন ধরনের খাদ্য থেকে বিরত থাকা।
ডায়াবেটিস রোগ হলে ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা আসুন জেনে নেই, ডায়াবেটিস রোগের জন্য কি কি খাদ্য খাওয়া যাবে।
  • প্রতিদিন তাজা শাকসবজি, এবং ফলমূল খাবেন।
  • টক জাতীয় খাবার খেতে পারেন। যেমন তেতুল, আচার ইত্যাদি।
  • যদি মিষ্টি জাতীয় খাদ্য খেতে ইচ্ছা করে তাহলে টক দই খেতে পারেন।
সকাল বেলাঃ কিছুটা ব্যায়াম করার পরে সকাল সকাল এবং সকাল ৮ থেকে ৯ টার ভিতরে সকালের নাস্তা খেয়ে নিতে হবে। এবং খেয়াল রাখবেন যেন সকালের খাবার খেতে বেশি দেরি না হয়।

দুপুরের খাবারঃ দুপুরের খাদ্য ১ থেকে ২ টার ভিতর খাবার খাওয়া শেষ করুন। খাদ্যতে পরিমাণ মত ভাত, শাকসবজি,মাছ, মাংস ইত্যাদি রাখুন।

বিকেলের নাস্তাঃ বিকেলে আপনি নুনঠা বিস্কুট খেতে পারেন, আরো বাদাম, মুড়ি, ছোলা, রং চা ইত্যাদি এসব বিকেলে নাস্তায় খেতে পারেন।

রাতের খাবারঃ রাতে আপনি ৮টা থেকে ৯টার ভেতর খাবার শেষ করুন। রাতের খাবার এ রুটি অথবা ভাত খেতে পারেন।

ডায়াবেটিসে মুড়ি খাওয়া যাবে কি

বিভিন্ন রোগের চেয়ে ডায়াবেটিস রোগ সবচেয়ে অন্যতম। এবং ডায়াবেটিস রোগীদের সবসময় খাবার পছন্দ মত পাওয়া যায় না। আর সবসময়ই খাদ্য নিয়মিত নিয়ম মেনে খেতে হয়। আমাদের বাংলাদেশ বিভিন্ন মানুষ মুড়ি পছন্দ করে থাকে। এবং মুড়ি বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে আমরা খেয়ে থাকি, কেউ বা শুধু মুড়ি খান, কেউবা চানাচুর তেল দিয়ে মাখিয়ে খান এভাবে বিভিন্নভাবে মুড়ি খাওয়া যায়। বড় থেকে ছোট সকলেই মুড়ি খেতে ভালোবাসে।

মুড়িতে রয়েছে কার্বোহাইড্রেট এবং ফাইবার। এবং এই শুকনো মুড়িতে রয়েছে ভিটামিন বি, পটাশিয়াম ও খানিকটা খনিজ লবনও রয়েছে। এবং মুড়ি খেলে রক্তের শর্করার বৃদ্ধি হতে পারে। এর জন্য ডায়াবেটিস রোগীদের কে মুড়ি খেতে হলে অবশ্যই ভেবেচিন্তে খাওয়া উচিত। বিকেলের নাস্তায় হালকা পরিমাণে ডায়াবেটিস রোগীরা মুড়ি খেতে পারে। তবে সকাল অথবা যে কোন অন্য সময় মুড়ি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা ফল

ডায়াবেটিস এখন একটি মহামারী আকারে ছড়িয়ে ছড়িয়ে পড়েছে। এবং আগে দেখা যেত উন্নত দেশগুলোতে ডায়াবেটিস রোগীদের সংখ্যা প্রচুর পরিমাণে বেশি। আমাদের দেশের পার্শ্ববর্তী দেশ হচ্ছে ভারত, ভারতে এমন কোন অঞ্চল নেই যে ডাইবেটিস রোগীদের পাওয়া যায় না। এখন বর্তমানে ভারতের পাশাপাশি আমাদের বাংলাদেশে প্রচুর পরিমাণে দেখা দিচ্ছে ডায়াবেটিস রোগী এবং এটি শহরের সাথে সাথে গ্রাম অঞ্চলেও ডায়াবেটিস রোগ দেখা দিচ্ছে।
ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হওয়া মানেই খাওয়া দাওয়াতে নিয়ম কারণ মেনে চলা। এখন বর্তমানে যাদের ডায়াবেটিস হচ্ছে তাদের জীবন জীবিকার জন্য খাবার সময়মতো টাইম করে খেতে হবে চিকিৎসকরা এরকমই পরামর্শ দিচ্ছেন ডায়াবেটিস রোগীদের। ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা ফল-আপেল, পেঁপে, কামরাঙ্গা, কমলা, বেরি জাতীয় ফল, নাশপাতি ইত্যাদি। এবং ফল খাওয়া যাবেনা-আম, পাকা কলা, তরমুজ, লিচু, জাম, খেজুর, কিসমিস ইত্যাদি এবং মিষ্টি জাতীয় ফল।

ডায়াবেটিস হলে কি কি সবজি খাওয়া যাবে না

ডায়াবেটিস হচ্ছে এমন একটি রোগ রোগের সঠিক চিকিৎসা নেই বললেই চলে। তবে চিকিৎসার একটি উপায় সেটা হচ্ছে সবসময় খাদ্য তালিকা ঠিক রাখতে হবে। এবং জীবন যাপন করার জন্য খাবার নিয়ন্ত্রণ করে খাওয়া উচিত। অনেকে রয়েছে ডায়াবেটিস রোগকে তেমন পাত্তা দেয় না, এটা গ্রাম অঞ্চলের সবচেয়ে বেশি দেখা দেয় যে ডায়াবেটিস রোগকে কোন কিছুই মনে করে না। এবং যা ইচ্ছা খাদ্য তালিকায় খেতে থাকে।

অনেকেই বলে থাকেন মাটির নিচের সবজি খেলে নাকি সুগারের পরিমাণ বাড়ে? এটা একটি ভুল ধারণা। ডায়াবেটিস হলে কি কি সবজি খাওয়া যাবে আপনি সব রকম সবজি খেতে পারেন তবে মিষ্টি আলু, গাজর, মুলা, পালং শাক এগুলো সিদ্ধ করে খেতে পারেন তবে পরিমাণমতো হিসাব করে খাবেন।

ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা সবজি

ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় খাদ্য সবজি খাওয়ার। সবজিতে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন এবং সবজি খেলে রক্ত শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য তাজা সবজি সবচেয়ে বেশি ভালো হয় শরীর সুস্থ রাখার জন্য এবং সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য। বিশেষজ্ঞরা সবসময় ডায়াবেটিস রোগীদের আঁশযুক্ত খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কারণ ডায়াবেটিস রোগীদের শরীরে প্রচুর পরিমাণে রক্তের শর্করাকে নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারে।
ডায়াবেটিস রোগীদের যে কোন খাবারের চেয়ে খাওয়াটা জীবন জীবিকার জন্য সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখে। ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা সবজি যেমন-মটরশুটি, ফুলকপি, পালং শাক, গাজর, শসা,পটল, ঝিঙ্গে, ঢেঁড়স, করলা ইত্যাদি। এই সকল খাদ্য গুলোতে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যার ফলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়। এই সকল সবজিগুলো নিয়মিত খেতে পারেন।

লেখক এর মন্তব্য

প্রিয় পাঠক, ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা-ডায়াবেটিস রোগীর নিষিদ্ধ খাবার তালিকা বিষয়ে আশা করি আপনাদের সঠিক তথ্য দিতে পেরেছি। এবং ডায়াবেটিস শরীরে ধরা পড়লে অবশ্যই সকাল বিকাল ব্যায়াম করার চেষ্টা করুন এবং পাশাপাশি খাবার টাইম মতো খাওয়ার চেষ্টা করব। কারণ ডায়াবেটিস রোগীদের রোগের চিকিৎসা একমাত্র ব্যায়াম এবং খাওয়া-দাওয়ার ঠিক মতো রাখলে শরীর সুস্থ রাখতে সক্ষম হবে। এই আর্টিকেলটি ভালো লাগলে অবশ্যই বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করুন। এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url