ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার প্রতিরোধ সম্পর্কে জেনে নিন

 

প্রিয় বন্ধুরা, আজকে আমরা আলোচনা করব ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার প্রতিরোধ সম্পর্কে। এখন যে সিজন চলছে এই সিজনে ডেঙ্গু প্রভাব প্রচুর পরিমাণে ছড়িয়ে পড়ছে। তাই আজকে এই পোষ্টের মাধ্যমে ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার প্রতিরোধ সম্পর্কে ভালো মতো নিয়ম কারণ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।
ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার প্রতিরোধ
বর্তমানে বাংলাদেশে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি। তাই বন্ধুরা চলুন দেরি না করে আর্টিকেলটি শুরু করা যাক। ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার প্রতিরোধ সম্পর্কে আর্টিকেলটি লেখা হয়েছে। এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আশা করি এই পোস্টের মাধ্যমে আপনার অনেক উপকারে আসবে।

পোস্ট সূচীপত্রঃ ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার প্রতিরোধ সম্পর্কে জেনে নিন

ভূমিকা

বর্তমানে বাংলাদেশের ডেঙ্গু জ্বর মারাত্মক হয়ে উঠছে। ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার প্রতিরোধ যেসব বিষয়ে আলোচনা করব। শিশুর ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার, ডেঙ্গু রোগের প্রতিরোধ, ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ২০২৩, ডেঙ্গু প্রতিরোধ সচেতনতা, ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ চিকিৎসা, ডেঙ্গু রোগের কারণ ও প্রতিকার, এই সকল বিষয়ে ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জেনে নিন।

শিশুর ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার

ডেঙ্গু জ্বর মূলত একটি ভাইরাস জনিত রোগ। ডেঙ্গু জ্বরে সব বয়সী মানুষ আক্রান্ত হতে পারে। তবে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে শিশুদের ওপর। শিশুর ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার, শহরে বস্তিতে এইসব জায়গায় বেশি ডেঙ্গু রোগ ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছে। তাই আমাদের শিশুদের নিয়ে সচেতনতা খেয়াল রাখতে হবে। ডেঙ্গু ভাইরাসটি শরীরে নানা ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে।

ডেঙ্গু জ্বর হলে ভালো হতে সময় লাগে এক সপ্তাহ মতো এবং তারও বেশি সময় লাগতে পারে। শিশুর ডেঙ্গুর রোগের লক্ষণ শরীল লাল হয়ে যাওয়া, উচ্চমাত্রায় জ্বর হওয়া, মাংসপেশীতে প্রচুর পরিমাণে ব্যথা হওয়া, অস্থিরতা, দুর্বলতা, অনবরত বমি হওয়া এই সকল শিশুর শরীরে প্রভাব দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

শিশুর ডেঙ্গু রোগ প্রতিকার প্রথমত এডিস মশা যেখানে যেখানে জন্ম নেয় যা ধ্বংস করতে হবে। যেমন জন্ম নিয়ে থাকে পচা পানিতে, বাসা বাড়ির যেকোনো পরিত্যক্ত বাসন গুলোতে পানি জমা থাকলে এডিস মশা বাসা বাঁধে, বাসা বাড়ির বাইরের গুলোতে সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। শিশুদের কে ঘুম দেওয়ার সময় অবশ্যই মশারের ভিতরে ঘুম দিবেন। এবং বাইরে কোথাও গেলে শিশুদের ফুলহাতা টি শার্ট অথবা ফুল প্যান্ট পরিয়ে বাইরে নিয়ে যাবেন।

ডেঙ্গু রোগের প্রতিরোধ

ডেঙ্গু জ্বর সাধারণত বর্ষাকালে দেখা দেয় কারণ বর্ষাকালে পরিত্যক্ত জিনিসপত্রে পানি জমা হয়ে এডিস মশা বাসা বাঁধে। ডেঙ্গু রোগের প্রতিরোধ বাসাবাড়ির আশপাশ ভালোমতো পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন। বাড়িতে সব সময় মশার ওষুধ ব্যবহার করুন। সন্ধ্যা এবং রাতে ছোট বড় সবাই একসঙ্গে মশারি ভেতরে থাকার চেষ্টা করুন। আর যেহেতু এডিস মশা দিনের বেলাও আক্রমণ করে তাই দিনের বেলাতেও চেষ্টা করুন মশারি ব্যবহার করা।

মশার উৎপাত কমাতে বাড়ির আশেপাশে পরিত্যক্ত জিনিসগুলো পানি যেন জমতে না পারে সেভাবে রাখুন। ফুলের টবগুলোতে পানি বেরিয়ে যায় এরকম ব্যবস্থা করে রাখুন, ডাবের খোসা উল্টায়ে রাখুন। আরো খাদ্যের বাটিগুলো উল্টায়ে রাখুন। এগুলোতে বেশি আনাগোনা রয়েছে এডিস মশার। মশা দমনের জন্য নিয়মিত স্প্রে করুন। এবং সন্ধ্যার পর কয়েল ব্যবহার করুন।

সন্ধ্যার পর ঘরে আলো স্বাভাবিক রাখুন কারণ অন্ধকারে মশার আক্রমণ বেশি হয়। ডেঙ্গু ভাইরাস মূলত এডিস মশা থেকে উৎপন্ন হয়। তাই আমাদের আগে এডিস মশার বাসা ধ্বংস করতে হবে। তাই বাসা বাড়ি সবসময় পরিষ্কার রাখুন এবং আশেপাশে খোলা জায়গায় পানি যেন না জানতে পারে এইসব বিষয়ে সতর্কতা থাকতে হবে। এইসব সকল বিষয়ে ভালো মতো চর্চা করলে ডেঙ্গু রোগের প্রতিরোধ করা সম্ভব।

ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ২০২৩

ডেঙ্গু ভাইরাসে বর্তমানে বাংলাদেশে প্রচুর পরিমাণে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে। এবং এডিস মশার প্রভাব বাড়তেই আছে। ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ যেগুলো দেখা যাচ্ছে এবং মানুষ হয়তো সাধারণভাবে নিচ্ছে তাই আসুন ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ কি কি জেনে নেই।
  • উচ্চ মাত্রায় জ্বর হওয়া।
  • অতিরিক্ত মাথার চারি সাইড ব্যথা করা।
  • নাক থেকে রক্তপাত হতে পারে।
  • চোখের চারপাশে লাল হওয়া এবং ব্যথা হতে পারে।
  • শরীরে লাল লাল ফোসকা পড়া।
  • মাংসপেশীতে ব্যথা হওয়া।
  • গলা ব্যথা ও কাশি দেখা দিতে পারে।
  • বমি বমি ভাব হতে পারে।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতা

ডেঙ্গু হওয়ার আগে নিজেকে সচেতন রাখুন। ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতা, এডিস মশার ধ্বংস করুন। বাইরে গেলে সব সময় মোটা টি শার্ট এবং ফুলহাতা টি শার্ট ব্যবহার করুন। পায়ে মুজা অথবা জুতা ব্যবহার করুন। সবসময়ই বাসায় মশারির ভেতর থাকার চেষ্টা করুন। বাড়িতে মশা দমনের জন্য ঔষধ ব্যবহার করুন। ডেঙ্গু ভাইরাস দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। বাসার আশেপাশের গাছ গোছলা পরিষ্কার রাখুন। ঘরের দরজা জানলা বন্ধ রাখুন অথবা মশারির নেট দিয়ে ঘিরে রাখুন।

ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ চিকিৎসা

ডেঙ্গু ভাইরাস মূলত শরীরে দেখা দেয় জ্বরের মাধ্যমে। উচ্চামাত্রায় জ্বর হওয়া ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ চিকিৎসা, ডেঙ্গু জ্বর হলে অবশ্যই হসপিটালে থাকার চেষ্টা করুন। কারণ ডেঙ্গু হলে নানা ধরনের ঔষধ সেবন করা লাগে কিছুক্ষণ অন্তরের অন্তর তাই ডেঙ্গু জ্বর হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে হসপিটালে থাকুন। ডেঙ্গু জ্বর হলে পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রাম নিন। ডেঙ্গু জীবাণু হলে শরীরে প্রথমত ১০৪ ডিগ্রী জ্বর হতে পারে।

যাদের শরীরে ডেঙ্গু প্রভাব দেখা দিলে যদি শুধুমাত্র একটি অভাব দেখা দেয় যেমন জ্বর তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ঔষধ খান এবং শুধুমাত্র জ্বর হলে হসপিটালে যাবার প্রয়োজন নেই। বাড়িতে বসে ঘরোয়া চিকিৎসা নিলেই জ্বর সেরে যাবে। সম্পূর্ণভাবে বিশ্রামে থাকতে হবে, ডেঙ্গু জ্বর আক্রান্ত হলে গলায় ব্যথা হতে পারে এতে কিছু কোন অন্তর অন্তর আদা চা খেতে পারেন। ডেঙ্গু জ্বর হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে প্যারাসিটামল খেতে পারে।

ডেঙ্গু জ্বর হলে খাওয়ার খান তরল প্রকৃতির, ডাবের পানি লেবুর শরবত, আখের রস, খাবার স্যালাইন, যেকোনো ফলের রস খেতে পারেন। ডেঙ্গু জ্বরের কারণে অতিরক্ত ঔষধ খাবেন না। এবং পাওয়ার ফুল ওষুধ থেকে দূরে থাকুন। ডেঙ্গু জ্বর হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ঔষধ সেবন করুন।

ডেঙ্গু রোগের কারণ ও প্রতিকার

ডেঙ্গু জ্বরের কারণে হতে পারে মৃত্যু? ডেঙ্গু ভাইরাস অবহেলা করবেন না এতে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে। ডেঙ্গু রোগের কারণ ও প্রতিকার, ডেঙ্গু রোগের কারণ বাসাবাড়ি আশেপাশে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন না করার কারণ, বাসায় মশার ঔষধ ব্যবহার না করা, বাড়িতে বা বেলকনিতে ফুলের টবে পানি জমে থাকা এবং অযথা জঙ্গল সৃষ্টি করা ইত্যাদি। এই সকল বিষয়গুলো অবহেলা করলে এডিস মশা জন্ম নিতে পারে।

ডেঙ্গু রোগের প্রতিকার মূলত এডিস মশা থেকে করা উচিত। এডিস মশা সাধারণত সকাল সন্ধ্যা বেশি দেখা যায় এবং শরীরে আক্রমণ করে। এই দুই সময় বাড়িতে থাকলে মশারির ভেতরে থাকুন। এবং কোন কাজ ক্ষেত্রে বাইরে গেলে ফুলহাতা টি শার্ট পড়ুন। অথবা বাড়িতে কাজ করলে আলো বাতাস চলাচল করতে দিন এবং অন্তর অন্তর মশামারা স্প্রে ব্যবহার করুন। ডেঙ্গু জ্বর কখনো অবহেলা করবেন না ডেঙ্গু জ্বর হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

লেখক এর মন্তব্য

প্রিয় বন্ধুরা,আজকে আমরা ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার প্রতিরোধ সম্পর্কে বিস্তারিত আপনাদের জানানোর চেষ্টা করেছি আশা করছি আপনারা এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে সবকিছু ভালোমতো জানতে পেরেছেন। আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। পোস্টটি ভাল লাগলে অবশ্যই বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করুন। এরকম পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ঘুরে আসতে পারেন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url