ড্রাগন ফল খাওয়ার নিয়ম এবং উপকারী ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন

  


প্রিয় বন্ধুরা, আজকে আমরা আলোচনা করব ড্রাগন ফল নিয়ে। ড্রাগন ফল খাওয়ার নিয়ম এবং উপকারী ও অপকারিতা সম্পর্কে বিশেষ আলোচনা করব। আপনার মনে যদি প্রশ্ন এসে থাকে যে ড্রাগন ফল কি এবং খেতে কেমন তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। আশা করছি আজকের এই পোস্টটি মাধ্যমে ড্রাগন ফল কি সেটা জানতে পারবেন।
ড্রাগন ফল খাওয়ার নিয়ম এবং উপকারী ও অপকারিতা
ড্রাগন ফলের নানা ধরনের পুষ্টিগুণ আছে। ড্রাগন ফল ভিটামিন-বি, ভিটামিন-সি ভরপুর তাই ত্বক সুস্থ রাখতে সাহায্য করে এছাড়াও চুলের জন্য বেশ কার্যকরী। ড্রাগন মূলত দুই ধরনের হয়ে থাকে একটি হল হলুদ কালার এবং টকটকে লাল কালার আবার ভেতরের কালারও দুই ধরনের, একটি সাদা আরেকটি লালচে। তাই চলুন দেরি না করে ড্রাগন ফল খাওয়ার নিয়ম এবং উপকারী ও অপকারিতা এই পোষ্টির মাধ্যমে বিস্তারিত জেনে নিন।

সূচিপত্রঃ ড্রাগন ফল খাওয়ার নিয়ম এবং উপকারী ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন

ভূমিকা

ড্রাগন ফল খাওয়ার নিয়ম এবং উপকারী ও অপকারিতা সম্পর্কে যেসব বিষয়ে আলোচনা করব। ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা, ড্রাগন ফলের অপকারিতা, ড্রাগন ফল খেলে কি হয়?, ড্রাগন ফল খাওয়ার নিয়ম, ড্রাগন ফল খাওয়ার সঠিক সময়, ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা, ড্রাগন ফলের খোসার উপকারিতা।

ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা

ড্রাগন একটি বাংলাদেশের জনপ্রিয় ফল। এই ফলটি একটি ভিটামিন যুক্ত খাবার। ড্রাগনে নানা ধরনের উপকারিতা রয়েছে। ড্রাগন ফলে রয়েছে ভিটামিন-সি এর ফলে ত্বকের উজ্জ্বলতা ফুটিয়ে তোলে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অন্য ফলের চেয়ে বেশি হয়। যে সকল মানুষ ওজন নিয়ে চিন্তা করে তাদের জন্য ড্রাগন ফলটি বেশ কার্যকারী কারণ ড্রাগন ফলে ফ্যাটের পরিমাণ ০ । আপনি জেনে খুশি হবেন যে এই ফলে একটু ও চর্বি বা ফ্যাট নেই।
আমাদের ভেতর এখন প্রায় একটি সমস্যা দেখা দিচ্ছে সেটা হচ্ছে চুল পড়া সমস্যা এটি যেমন একটি রোগ তেমন টেনশনযুক্ত। তাই ড্রাগন ফলে রয়েছে পর্যাপ্ত আয়রন বা লৌহের উপস্থিতি এবং এর পরিমাণও অনেক বেশি তাই চুল পড়া থেকে বাঁচতে আপনি ড্রাগন ফলটি নিয়মিত খেতে পারেন। পরিমাণ মতো খেলেই চুল পড়া থেকে মুক্তি পাবেন আয়রন বা লৌহের পরিমাণ বেশি থাকায় চুল পড়া সমাধান করতে বেশ কার্যকরী।

শরীরের ক্যালরি প্রয়োজন পড়ে এবং এর ফলে শরীর দুর্বল হয়ে যায় এবং ক্লান্ত ক্লান্ত ভাব থাকে। প্রোটিন-ক্যালরির জন্য ড্রাগন অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং ফলটিতে ক্যালরির অভাব জোগাতে সাহায্য করে। এবং বেশি পরিমাণে প্রোটিন থাকায় দুর্বলতা-ক্লান্তি ভাব খুব সহজেই দূর করে দেয়।ড্রাগন চোখের জন্য নিয়মিত খাওয়া উচিত। কারণ আমাদের ভেতরে চোখের সমস্যা নানা ধরনের হয়ে থাকে ডিজে ন্যারেশন ও চোখে ছানি পড়া এবং আরো নানা ধরনের সমস্যা থেকে বাঁচাতে পারে ড্রাগন ফল।

ড্রাগন ফলের অপকারিতা

আপনি এতক্ষণে জানলেন ড্রাগন ফল সম্পর্কে উপকারিতা। তবে ড্রাগন ফলেও কিন্তু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে। ড্রাগন ফলটি বেশি খাওয়া যাবেনা বেশি খাওয়ার ফলে এলার্জি প্রবলেম দেখা দিতে পারে। আবার ডায়রিয়া হতে পারে। ড্রাগন বেশি খাওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি হতে পারে। তবে ড্রাগন খাওয়ার জন্য অসুবিধার চেয়ে সুবিধা গুণ বেশি রয়েছে।

যদি অতিরিক্ত ড্রাগন খেয়ে ফেলেন বা সমস্যা দেখা দেয় এবং অসুস্থতা বোধ মনে করেন তাহলে তাৎক্ষণিকভাবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। তাই আমাদের ড্রাগন ফল উপকারিতা সম্পর্কেও সচেতন থাকা উচিত।

ড্রাগন ফল খেলে কি হয়?

ড্রাগন ভিটামিন এবং খনিজ যুক্ত ফল। ড্রাগনে ডায়াবেটিস রোগীদের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। এবং ক্যান্সারের ঝুঁকিও কুমিয়ে আনে ড্রাগন ফল। ড্রাগনে ফ্যাটের পরিমাণ কম থাকায় মেদ ভুঁড়ি শতকরা ভারসাম্যতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমাতে সহায়তা করে। ড্রাগন একটি হার্ড ভালো রাখতে এবং এর পাশাপাশি রক্তচাপ ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য বেশ উপকারী একটি ফল।
এটি একটি স্বাস্থ্যকর ফল হবার কারণে হাড়ের জন্য বেশ কার্যকারী এবং হারকে শক্তিশালী করে পাহাড়ের যে কোন সমস্যা সমাধান করতে পারে এবং সুস্থতা বজায় রাখে ড্রাগন। ড্রাগনে রয়েছে ক্যালসিয়াম কাহারের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে ড্রাগন। জটিলতার রোগের জন্য ড্রাগন ফল লড়াই করতে সক্ষম। এবং হজম শক্তির জন্য ড্রাগন ভূমিকা রাখে ড্রাগন ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে যার জন্য হজম ক্ষমতাও বেড়ে যায়।

ড্রাগন ফল খাওয়ার নিয়ম

ড্রাগন ফলটি অনেকটাই গোলাকার ফলটির ভিতরে রয়েছে লালচে এবং সাদা ভেতরে কালো আকারের ছোট ছোট ডানা আকারের বিচি রয়েছে। ফলটি উপরের খোসা হাত দিয়ে ছাড়িয়ে নিতে হবে অতঃপর ভেতরের অংশটি বের করতে হবে বের করে টুকরো টুকরো করে কেটে খাওয়া যেতে পারে। এটি বেশ সুস্বাদু চেয়ে ভিটামিন পরিমাণ বেশি রয়েছে তাই প্রথম প্রথম যদি খেতে অন্যরকম মনে হয় আপনার তাহলে আপনি খাওয়া খাওয়া বন্ধ করে দিবেন না।

ড্রাগন ফল খাওয়ার সঠিক সময়

ড্রাগন মূলত বাজারে আমরা কম বেশি সবসময় দেখতে পাই। ফলটি লাল বা সাদা রংয়ের এবং গোলাপি ও হতে পারে। তাই খাওয়ার সময় বা ক্রয়ের সময় অবশ্যই পাকাটি নির্বাচন করবেন পাকাটি হাত দিলেই নরম হয়ে থাকার কারণে আঙ্গুল ভেতরে ঢুকে যেতে পারে তখনই আপনি বুঝতে পারবেন ফলটি পাকা অথবা দোকানের কাছে জেনে নিতে পারেন।

ড্রাগন যদি পাকা হয় তাহলে বাইরের যে খোসাটি এমনি এমনি ভেতরের অংশটি খুলে যাবে। ভেতরের অংশটি বের করে আনুন তারপর চার ভাগে ভাগ করে খেতে পারেন। ড্রাগনে অতটা স্বাদ নেই তবে এর গুনাগুন অনেক বেশি এর ফলেই ফলটির এতটা চাহিদা রয়েছে বাজারে এটি একটি বাইরের ফল এখন যেমন আমাদের বাংলাদেশের বাজারেও খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা

ড্রাগন ফলটি বাংলাদেশের একটি নতুন ফল বললেই চলে। আগে ড্রাগন কি মানুষ খুব একটা চিনত না এখন আস্তে আস্তে ফলটি মানুষ চিনে গেছে তবে অনেক মানুষই এখনো ফলটি খান নাই। ড্রাগনে রয়েছে পুষ্টিগুণে ভরপুর ড্রাগন একটি ভিটামিন সম্পূর্ণ খাবার এতে রয়েছে-ক্যালরি, ম্যাগনেসিয়াম, প্রোটিন ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, ফাইবার ,কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট এবং লৌহ।
ফ্যাট রয়েছে-০ গ্রাম ড্রাগনের ফ্ল্যাটের পরিমাণ একদমই নেই তাই ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয় নেই।প্রোটিন রয়েছে ১.২ গ্রাম। লৌহ একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান এর ভেতর রয়েছে R I ৪% মত। ভিটামিন সি পরিমাণ রয়েছে ৩%। ফাইবার, ড্রাগনে৩/৬ গ্রাম মতো রয়েছে। কার্বোহাইড্রেট, শতকরা ১৩ গ্রাম পরিমাণ আছে। ক্যালরি১৩৬, পরিমাণ শক্তি । প্রতি ড্রাগনে রয়েছে ১০০ গ্রাম ফলটিতে ক্যালরি খুব সহজেই মানবদেহের প্রয়োজনীয় মত চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম।

ড্রাগন ফলের খোসার উপকারিতা

এতক্ষণ আমরা জানলাম ড্রাগন ফলের ভেতরের অংশটা কিভাবে খেতে হয় বা এর পুষ্টিগুণ সম্পর্কে। তবে আপনি কি জানেন ড্রাগনের খোসার ও উপকারিতা রয়েছে। আপনারা ড্রাগন ফলটি খাওয়ার পর খোসাটি বাইরে কোথাও ফেলে দেই তবে আজকের এই টিপস জানার পর মোটেও খেলবেন না। প্রথমত দুই তিনটার খোসা আপনি সংরক্ষণ করবেন এবং একমগ মত বা ২০০ থেকে ৩০০ গ্রাম পানি নিয়ে পানিটি গরম করতে দিন।

পানিটি যখন ফুটন্ত অবস্থায় থাকবে ড্রাগন ফলের খোশাগুলো সেই গরম পানির ভিতর দিয়ে দিবেন। অতঃপর ৭ থেকে ৮ মিনিট খোসা সহ জাল করতে থাকবেন তবে জালটি নিম্ন ভাবে দিতে হবে। এতে করে ড্রাগনের খোসার যেসব পদার্থগুলো রয়েছে সবগুলো পানিতে মিশে যাবে। তাই আপনি খোসাসহ জাল করতে থাকুন।

৭-৮ মিনিট চাল করার পর আপনি দেখতে পাবেন পানির ভেতরে অনেক সুন্দর আকারে লাল বর্ণ ভাবে খোসা গুলো ফুটে উঠেছে। এবং দেখতেও বেশ অনেক সুন্দর মনে হচ্ছে তাই খোসাগুলো ছ্যাকনা দিয়ে আলাদা করে নিন এবং পানিগুলো একটি কাপে ঢেলে নিন। তারপর ড্রাগন খোসার পানিটি আপনি খেতে পারেন। আপনি হয়তো মনে মনে ভাবছেন এটা আবার কি বা অবাক হবেন অবাক হওয়ার কিছুই নেই এটা বেশ কার্যকরী।

পানিটি খেলে যাদের ডায়াবেটিস সমস্যা রয়েছে তারা ভালো একটি ফলাফল পাবেন। যাদের মেদ ভুরি আছে তাদের জন্য পানিটি বেশ কার্যকরী। ত্বকের জন্যও উপকারী। এভাবেই আপনি খোসাটি কাজে লাগাতে পারেন এবং খোসার পানিটি যদি নিয়মিত খেতে পারেন বেশ উপকারী হবে।

পানিটির টেস্ট বাড়ানোর জন্য আপনি লেবু অথবা লবণ ব্যবহার করতে পারেন এবং আরো কিছু মিশিয়ে জুস করে খেতে পারেন খেতে ভালই লাগে কোন সমস্যা নেই। আপনারা ঠিক জানতে পারলেন যে খোসারও অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে।

আমাদের শেষ কথা

প্রিয় পাঠক, আজকের পোস্টে জানতে পারলেন ড্রাগন ফলের গুনাগুন বিষয়বস্তু ও খুঁটিনাটি বিষয়। আশা করি এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদের ড্রাগন ফলটি বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা গুলো করতে পেরেছি। আমাদের পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনাদের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সে জানাবেন। এই ধরনের ফল সম্পর্কে আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটে আরো পোস্ট পাবেন। পোস্টটি ভাল লাগলে শেয়ার করবেন ধন্যবাদ।



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url