মাথা ব্যথা থেকে বাঁচতে পানি পানের উপকারিতা

প্রিয় পাঠক আজকে আমরা মাথা ব্যথা থেকে বাঁচতে পানি পানির উপকারিতা এই সম্পর্কে বিশেষ আলোচনা করব। আপনি যদি মাথা ব্যথা থেকে বাঁচতে চান তাহলে এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে অনেক কিছু ধারণা পাবেন। যা এই মুহূর্তে আমরা মাথা ব্যথা নিয়ে বিস্তারিত তথ্য দিব।
মাথা ব্যথা থেকে বাঁচতে পানি পানের উপকারিতা
মাথা ব্যথা একটি কমন রোগ তবে এ রোগটি নিয়ে হেঁয়ালি করলে চলবে না। তাই আমরা আজকের আর্টিকেলটির ভিতর মাথা ব্যথা নিয়ে বিশেষ কিছু আলোচনা করব তাই আপনারা মনোযোগ সহকারে এই আর্টিকেলটি পড়ুন। তো চলুন শুরু করা যাক।

পোস্ট সূচিপত্রঃ মাথা ব্যথা থেকে বাঁচতে পানি পানের উপকারিতা

ভূমিকা

মাথা ব্যথা থেকে বাঁচতে পানি পানের উপকারিতা সম্পর্কে জানুন। মাথা ব্যথা থেকে বাঁচতে পানি পানের উপকারিতা, মাথা ব্যাথা কোন রোগের লক্ষণ, মাথা ব্যাথা হলে কি করা উচিত, মাথা যন্ত্রণা কমানোর ঘরোয়া উপায়, জ্বর ও মাথা ব্যাথা হলে করণীয়, ঠান্ডায় মাথা ব্যথা হলে করণীয় এই সকল বিভিন্ন ধরনের বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।

মাথা ব্যথা থেকে বাঁচতে পানির উপকারিতা

আমরা সকলেই জানি পানির অপর নাম জীবন তাই পানির কোন বিকল্প নেই। বিশুদ্ধ পানিতে অনেক ধরনের কার্যকারিতা আছে শরীর সুস্থ রাখতে পানি পান করতে হয়। মাথা ব্যাথা দূর করতে বা ত্বক সুন্দর রাখতে আপনি পানি পান করতে পারেন। তবে অতিরিক্ত বেশি পানি পান করা যাবে না আপনার শরীরের ওজন অনুযায়ী এবং চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক পানি পান করবেন। ফল বা রসালো জাতীয় খাবার হলে পানি কম খেলেও সমস্যা নেই।

লেবুর পানি: মাথা ব্যথার জন্য কার্যকারী লেবুর পানি খুব উপকারিতা। লেবুর পানি মাথা ব্যাথা সারাতে কার্যকরী। লেবুর পানি শরীরের নানা ধরনের ব্যাকটেরিয়া এবং বিষাক্ত উপাদান দূর করতে লেবুর পানি খুব উপকারিতা। এবং শরীর থেকে হওয়া ব্যথা দূর করতে সহায়তা করে। আপনি আরেকটি কাজ করলে খুব ভালো হবে সেটি হচ্ছে কুসুম কুসুম গরম পানিতে যদি অর্ধেকটা লেবুর রস গরম পানিতে মিশিয়ে খেতে পারেন তাহলে খুব সহজেই ব্যথাজনিত রোগ এবং মাথাব্যথা সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
আমাদের শরীরে পানি শূন্যতার কারণে মাথাব্যথা হতে পারে তাই মাথা ব্যাথা হলে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। আর শরীর সুস্থ রাখতে পানির কোন বিকল্প নেই। আপনার যখন হঠাৎ করেই মাথা ব্যাথা শুরু হয়ে যাবে আপনি বিশুদ্ধ পানি পান করে দেখতে পারেন আশা করি ভালো কাজে দিবে। এবং আপনি চাইলে যে কোন পছন্দের ফলের জুস খেতে পারেন বা ডাবের পানি মাথা ব্যথা কমাতে অনেকটা সহায়তা করে।

মাথা ব্যাথা কোন রোগের লক্ষণ

মাথা ব্যথা পানি শূন্যতার কারনেও হতে পারে বা ব্রেনের প্রচুর পরিমাণে চাপের জন্যও ব্যথা হতে পারে মাথার এক সাইডে ব্যথা হতে পারে চারিপাশেও হতে পারে। দুর্বলতা, হাঁচি-কাশি প্রসবের পরেও ব্যথা হতে পারে। আমরা অনেক সময়ই লং ভ্রমণ করে থাকি এর ফলে মাথা ব্যথা হতে পারে। তবে আপনি কিছুটা বিশ্রাম নিতে পারেন। মাথা ব্যথা একটি বিরক্ত কর রোগ এবং অনেক কষ্ট জনক। অনেকের ক্ষেত্রে মাথা ব্যথা রোগটি স্থায়ীও হতেও পারে।

যদি সামান্য মাথা ব্যথা হয়ে থাকে তাহলে আপনি চেষ্টা করবেন কিছুটা ঘুমানোর, ঘুমানোর পর মাথা ব্যথা দূর হয়ে যেতে পারে। যদি তাও মাথা ব্যথা না কমে তাহলে কিছু পদক্ষেপে প্রয়োজন আছে। আপনি যদি দেখেন বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নিয়েও মাথা ব্যথা কমছে না বা নিজের স্বাভাবিক অবস্থা হারিয়ে ফেলছেন তাহলে একটি অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করুন।

মাথা ব্যাথা হলে কি করা উচিত

মাথা ব্যথা হলে আপনি যে কোন সুগন্ধি যুক্ত তেল দিয়ে মাথা ম্যাসাজ করলে অনেকটা আরামদায়ক কাজ করে। আপনি চায়ে আদা এবং মধু মিশিয়ে খেতে পারেন এর ফলে মাথা ব্যথার যন্ত্রণা থেকে অনেকটাই আরাম ফিরে আসবে। আমরা অনেক সময় আলো জাতীয় জিনিসের দিকে তাকিয়ে থাকি এতেও মাথাব্যথা হয়। ঘরের আলোর কমিয়ে দিন।
বেশি পরিমাণ মাথা ব্যথা হলে সঙ্গে সঙ্গে গোসল করুন তবে চেষ্টা করবেন ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করার এতে মাথা ব্যথা থেকে মুক্তি পাবেন। মাথা ব্যথার সময় আপনি একটু পানি পান করে দেখতে পারেন এর ফলে ব্যথা সারাতে কাজে দিবে যখন শরীর আর্দ্র হতে থাকে তখন আস্তে আস্তে ব্যথার পরিমাণও অনেকটা কমে আসে।

মাথা যন্ত্রণা কমানোর ঘরোয়া উপায়

অনেক সময় বেশি পরিমাণ কাজের ক্ষেত্রে বা বিশ্রাম না নিবার কারণে মাথাব্যথা হয়। এর জন্য মাথা ব্যথা হলেই ঘুমাতে হবে। তাছাড়া আপনি কিছুটা বিশ্রামও নিতে পারেন। মাথা ব্যথার কিছু ঘরোয়া উপায়ে ব্যথা দূর করে আসুন জেনে নিই-
  • দুইপাশে আঙ্গুল দিয়ে ম্যাসাজ করুন, এবং আঙ্গুলের ডগা দিয়ে এই ম্যাসাজটি করলে অনেকটা আরামদায়ক পাবেন বা ক্লান্তিও দূর হয়ে যাবে।
  • চা-কফি খাইতে পারেন, চা কফিতে রয়েছে ক্যাফিন যার ফলে মাথা ব্যথার যন্ত্রণা সারাতে খুব ভালো কাজ করে। এবং রং চায়ে আদা-লবঙ্গ মিশিয়ে খেতে পারেন বা তার সঙ্গে কিছুটা মধু মিশিয়ে নিতে পারেন এতে সহজেই মাথা ব্যথা যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
  • বাসা বাড়িতে অতিরিক্ত আলোর জন্য মাথাব্যথা হয়ে থাকে। এর জন্য মাথাব্যথা করলে ঘরের আলো কমিয়ে দিন।
  • মাথা ব্যথার সময় ল্যাপটপ বা মোবাইল থেকে দূরে থাকুন বা কম্পিউটারের স্ক্রিন থেকে বিরত থাকুন। এর যেই আলোটি আছে সেটি চোখে এসে পড়ে তখন মাথাব্যথা বেশি সৃষ্টি করে।
  • আপনি ল্যাভেন্ডার বা অ্যাসেনশিয়াল অয়েল দিয়ে মেসেজ করলে মাথা ব্যাথার যন্ত্রণা দূর হয়ে যাবে। ভালো কোন তেল ব্যবহার করতে পারেন এতে অনেক উপকার কাজে দিবে এবং মাথা ব্যথার যন্ত্রণা থেকে আরাম দেবে।

জ্বর ও মাথা ব্যাথা হলে করণীয়

জ্বর এবং মাথা ব্যথা আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে হয়ে থাকে। তাপমাত্রা কম বেশি হলে জ্বর-মাথা ব্যথা সৃষ্টি হয়। জ্বর-মাথাব্যথা বেশি এবং কন্ট্রোলের বাইরে চলে গেলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন। জ্বর ও মাথা ব্যথার কারণে সাধারণ মানুষ স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতে পারে না কাজকর্ম ঠিকমতো করতে পারেনা।

জ্বরের কারণে মাথা গরম হয়ে যেতে পারে তাই চেষ্টা করবেন মাথাতে ঠান্ডা পানি দেওয়ার এবং বিশ্রাম নিন। বিশ্রাম অবস্থায় কপালে জলপট্টি লাগিয়ে শুয়ে থাকুন আর জ্বর কমাতে এই জলপট্টি অনেক কার্যকারি। এই অবস্থায় কখনো ফ্রিজের পানি বা ঠান্ডা কোন তরল জাতীয় খাবার খাবেন না। গোসল করতে চাইলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে গোসল করবেন। অসুস্থ অবস্থায় যতই আপনি বিশ্রাম নেবেন যত দ্রুত শরীর সুস্থ হয়ে উঠবে।

জ্বর-মাথা ব্যথা সময় পানি পিপাসা লাগতে পারে তাই কুসুম কুসুম পানি পান করবেন। এবং পানিতে লেবুর পানি ব্যবহার করলে খুব উপকার পাবেন। জ্বর ও মাথা ব্যথা কমাতে অবশ্যই স্বাস্থ্যকর খাবার খাবেন। খাদ্য তালিকায় প্রোটিন, ভিটামিন যুক্ত খাবার রাখুন। এবং শাকসবজি বেশি বেশি খাবেন। এইসব ভিটামিনযুক্ত খাবার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয় যার ফলে রোগ নিরাময়ে বেশ কার্যকরী।

ঠান্ডায় মাথা ব্যথা হলে করণীয়

শীতের সময় ঠান্ডা লাগার কারণে মাথাব্যথা হতে পারে এর জন্য গরম গরম লাল চা খেতে পারে। এবং আদা বা লবঙ্গ কুচি করে চায়ের ভেতর দিতে পারেন মাথা ব্যথার জন্য খুবই উপকারী। শীতকালে আমাদের আশেপাশে অনেক ধরনের ভাইরাস ব্যাকটেরিয়া জেগে ওঠে। বেশি একটি ভাইরাস দেখা যায় ইনফ্লুয়েঙ্গা। এইসব ভাইরাস আমাদের শরীরে প্রবেশ করছে।

শীতকালে আপনি গরম জাতীয় খাবার খাবেন। শীতের সময় নিয়মিত লেবুর পানি পান করুন এতে রয়েছে ভিটামিন সি, যা শরীর ত্বক সুস্থ রাখতে সক্ষম। প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল। এইসব সকল খাবারগুলোতে রোগমুক্ত রাখতে সাহায্য করে।
অনেক সময় আছে যে ঠান্ডা বা গলা ব্যথা হলেই নাপা, প্যারাসিটামল খেয়ে নেই তবে এটা মোটেও ঠিক নয়। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া নাপা বা প্যারাসিটামল কোন ধরনের ওষুধ খাবেন না। এমনও সময় আছে ঠান্ডা লাগার কারণে মাথাব্যথা হয় কিন্তু ঠান্ডা লাগা মাথাব্যথা নিজে থেকেই ঠিক হয়ে যাবে।

আমাদের শেষ কথা

মানুষের হঠাৎ করেই মাথা ব্যথা হতে পারে। কিন্তু মানুষের মাথাব্যথা হয় না এমন সংখ্যা নেই বললেই চলে। মাথা ব্যথা শুরু হলেই আলো থেকে অবশ্যই দূরে থাকবেন আর আমাদের উপরে আর্টিকেলটি পড়ে আসলেন আশা করছি বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনার কেমন উপকার হলো আমাদের কমেন্ট বক্সে একটি কমেন্ট করে জানাবেন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url