পলিটেকনিক পড়ার সুবিধা ও অসুবিধা জেনে নিন
প্রিয় বন্ধুরা, আজকে আমরা পলিটেকনিক পড়ার সুবিধা ও অসুবিধা এই সকল বিষয়েই বিশেষ আলোচনা করব। এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে পলিটেকনিক অথবা ডিপ্লোমা পড়ার বিষয়ে সঠিক তথ্য দিয়ে আপনাদের সহযোগিতা করব। আপনি যদি পলিটেকনিক পড়ার সুবিধা ও অসুবিধা বিষয়ে না জেনে থাকেন তাহলে এই পোস্টটির মাধ্যমে সবকিছু জানতে পারবেন। পলিটেকনিক করার সুবিধা ও অসুবিধা এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে বিস্তারিত আলোচনা করব।
তো চলুন পলিটেকনিক পড়ার সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কে জেনে নিন। পলিটেকনিক পড়া মূলত চার বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা করা। এবং ডিপ্লোমা শেষ করার পর এটিকে বলা হয় ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং। তো চলুন দেরি না করে আজকের এই আর্টিকেলটি শুরু করা যাক। এবং পলিটেকনিক পড়ার সুবিধা ও অসুবিধা বিশেষ তথ্য দিয়ে আপনাদেরকে সাহায্য করবো। এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
পোস্ট সূচিপত্রঃ পলিটেকনিক পড়ার সুবিধা ও অসুবিধা জেনে নিন
ভূমিকা
অনেকে রয়েছে পলিটেকনিক আর জেনারেল সার্টিফিকেটকে একত্ব করে দেয়। তবে এটি সম্পূর্ণ ভুল কারণ ডিপ্লোমা সার্টিফিকেট আর জেনারেল সার্টিফিকেট এক নয়। আজকে আমরা যেসব তালিকা বিষয়ে আলোচনা করব পলিটেকনিক কি কি সাবজেক্ট আছে, পলিটেকনিকে কোন বিষয়ে ভালো, ডিপ্লোমা করে কি কি চাকরি করা যায়, পলিটেকনিক কাকে বলে, পলিটেকনিক নাকি জেনারেল, পলিটেকনিক ক্যারিয়ার, এই সকল বিষয়ে আপনাদের পলিটেকনিক পড়ার সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কে ধারণা দেবো।
পলিটেকনিকে কি কি সাবজেক্ট আছে
পলিটেকনিক এমন একটি কলেজ অথবা ইন্সটিটিউট। পলিটেকনিকে কি কি সাবজেক্ট আছে পলিটেকনিকে অনেক ধরনের সাবজেক্ট রয়েছে। পলিটেকনিকে যে সকল সাবজেক্ট গুলো রয়েছে এগুলো বাংলাদেশ কয়েকটি চাহিদা অনেক বেশি রয়েছে। পলিটেকনিকে ডিপ্লোমা যে কোন সাবজেক্ট নিয়ে পড়তে পারেন। কারণ ডিপ্লোমা সাবজেক্টগুলো বিদেশে সবগুলোই প্রচুর পরিমাণে ডিমান্ড রয়েছে।
চার বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা শেষ করে আরো চার বছর বিসিএস কমপ্লিট করতে পারবে। কি কি সাবজেক্ট আছে যেমন-সিভিল, কম্পিউটার, মেকানিক্যাল, অটোমোবাইল, আর্কিটেকচার, ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিক্স, পাওয়ার, ফুড, গ্রাফিক্স, সার্ভে, ইলেক্ট্রো মেডিক্যাল, এই সকল সাবজেক্টগুলো হল পলিটেকনিক সাবজেক্ট।
পলিটেকনিকে কোন বিষয় ভালো
ডিপ্লোমাতে বিভিন্ন ধরনের সাবজেক্ট রয়েছে এর ভিতরে যেগুলো সাবজেক্ট সবচেয়ে বেশি চাহিদা রয়েছে সেই সব সাবজেক্টগুলো আপনাদের জানাবো। ডিপ্লোমা সাবজেক্ট গুলো বাংলাদেশের সব সাবজেক্টগুলো কাজে আসে না। তাই যে সকল সাবজেক্ট গুলো চাকরির বাজার অথবা বর্তমানে ভালো ডিমান্ড রয়েছে এ সকল বিষয়েই সাবজেট গুলো কোনগুলো ভালো হবে সবকিছুই আলোচনা করা হবে। যারা হাতের কাজ করতে চান তারা অবশ্যই পলিটেকনিকে করতে পারেন পড়াশোনার পাশাপাশি পলিটেকনিকে প্রাক্টিক্যাল কাজ করানো হয়।
এবং কারিগরি শিক্ষা বর্তমানে বেশি চাহিদা রয়েছে। এখন বেশিরভাগই ছাত্র-ছাত্রীরা কারিগরিতে পড়াশোনা করতে চায়। পলিটেকনিকে কোন বিষয় ভালো-
সিভিল টেকনোলজি- বর্তমানে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং চাকরির ডিমান্ড অনেক বেশি রয়েছে। বাংলাদেশে যেকোনো দালান বাড়ির জন্য সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং সবচেয়ে বেশি কাজ করে যাচ্ছে। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কাজ হল বাড়িঘর নকশা করা, এবং একটি বাড়ি করতে কি কি লাগে সব কিছুই সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং দেখভাল করে। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর কাজ রাস্তাঘাট নির্মাণ করা, বড় বড় ভবন ও পাওয়ার প্লান্ট তৈরি করা।
কম্পিউটার টেকনোলজি-চাকরির বাজারে কম্পিউটার টেকনোলজি সবচেয়ে বেশি ডিমান্ড রয়েছে। এখন ডিজিটাল যুগ তাই আমাদের সবকিছু কাজ কর্ম অনলাইনে করতে হয় এর জন্য কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারদের খুব প্রয়োজন। কম্পিউটার টেকনোলজি সরকারি বেসরকারি উভয় প্রতিষ্ঠানে চাহিদা রয়েছে।
ইলেকট্রিক্যাল টেকনোলজি-সারা বিশ্বে ইলেকট্রিক্যাল দের বেস্ট বলে গণনা করা হয়েছে। ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের চাকরির বাজার প্রচুর পরিমাণে রয়েছে। সারা পৃথিবীতেই ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের চাহিদা প্রচুর পরিমাণে রয়েছে। ইলেকট্রিক্যাল বাংলাদেশেও প্রচুর পরিমাণে চাহিদা রয়েছে বলতে গেলে সারা বিশ্বেই ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের ডিমান্ড অনেক বেশি এবং এটি সারা জীবনই থাকবে।
মেকানিক্যাল টেকনোলজি-বাইরের দেশগুলোতে মেকানিক্যাল টেকনোলজি প্রচুর পরিমাণে চাহিদা রয়েছে। এর পাশাপাশি বাংলাদেশেও বর্তমানে চাহিদা রয়েছে। মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের ডিমান্ড অনেক পরিমাণে বেশি এবং এর বেতন ও বেশি। তাই পড়াশোনা পাশাপাশি প্রাক্টিক্যাল ভাবে মেকানিক্যাল কাজ করতে পারবেন।
আরো রয়েছে ইলেকট্রনিক্স, আর্কিটেকচার এই সকল বিষয়ে বিদেশে বেশি চাহিদা রয়েছে। ডিপ্লোমা সাবজেক্টগুলো সবগুলোই বিদেশে ডিমান্ড রয়েছে। তবে বর্তমানে বাংলাদেশে ডিপ্লোমার সাবজেক্ট গুলো আস্তে আস্তে উচ্চ মাত্রায় এগিয়ে যাচ্ছে এবং চাকরির ডিমান্ডো বাড়ছে।
ডিপ্লোমা করে কি কি চাকরি করা যায়
ডিপ্লোমা শেষ করা মানেই আপনি সাব ইঞ্জিনিয়ার এবং ডিপ্লোমা করে কি কি চাকরি করা যায় ডিপ্লোমা পাস করেই চাকরির করতে পারেন এর বেতন হয়তো ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা হতে পারে এবং এর চেয়ে বেশিও হতে পারে তবে ১২-১৩ হাজারের উপরে হবে না। তবে আস্তে আস্তে বেতন বৃদ্ধি পাবে আর আপনি আরো স্কিল ডেভেলপ করার জন্য অবশ্যই চাকরির পাশাপাশি বিএসসি করুন এতে আপনার উচ্চ পর্যায়ে চাকরির জন্য চিন্তা করা লাগবে না।
ডিপ্লোমা শেষ করে বিভিন্ন পর্যায়ে আপনি চাকরির সুযোগ পেতে পারেন। কারণ চাকরির বাজারে এখন সব সময় কারিগরি ছাত্র-ছাত্রীদের চাহিদা করে। ডিপ্লোমা পাশ করার পর আশা করা যায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরির জন্য অ্যাপ্লাই করতে পারবেন। তাই ভালোমতো ডিপ্লোমা শেষ করে চাকরি করুন চাকরির পাশাপাশি বিএসসি কমপ্লিট করুন।
পলিটেকনিক কাকে বলে
পলিটেকনিকে শিক্ষা ব্যবস্থা মূলত চার বছর মেয়াদী পড়াশোনা করা হয়। পলিটেকনিকে সেমিস্টার রয়েছে মোট ৮টি। এই ৮টি সেমিস্টারি বর্তমানে বোর্ড পরীক্ষা নিয়ে থাকেন। চাকরির বাজারের জন্য অবশ্যই কারিগরি ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে পারেন। পলিটেকনিক কাকে বলে পলিটেকনিক মানেই হচ্ছে, কারিগরি শিক্ষা এবং চার বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা কোর্স করা। ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেই খুব সহজেই যেকোনো ইউনিভার্সিটিতে বি এস সি করতে পারেন। কারণ চাকরির বাজারে সবচেয়ে বেশি বিমান রয়েছে বি এস সি পড়ুয়াদের।
পলিটেকনিক নাকি জেনারেল
আমাদের চারপাশে বিভিন্ন ধরনের আলাপ-আলোচনা করে থাকে অনেকেই। যে পলিটেকনিক নাকি জেনারেল? মূলত যাদের ভবিষ্যতে ভালো কিছু করার ইচ্ছা আছে তাদের জন্য অবশ্যই পলিটেকনিক সবচেয়ে ভালো একটি সাবজেক্ট। পলিটেকনিক নাকি জেনারেল? অবশ্যই আমি বলবো পলিটেকনিক। কারণ আমার মতে ডিপ্লোমা শেষ করলে ভবিষ্যতে আপনি যদি ভালো মানের চাকরি করতে চান তাহলে অবশ্যই ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং অথবা বি এস সি করে ভালো একটি চাকরি করতে পারবেন।
এবং আপনি ডিপ্লোমা শেষ করে চাকরি যদি নাও পান তাহলে নিজেই একটি প্রতিষ্ঠান দাঁড় করাতে পারবেন। তাই এরকম সুযোগ সুবিধা জন্য অবশ্যই পলিটেকনিক পড়াশোনা করুন। অন্তত জেনারেল পড়ুয়াদের মত ঘুরে বেড়ানো অথবা বেকার থাকা লাগবে না। ডিপ্লোমা শেষ করেই চাকরি সুযোগ রয়েছে এবং নিজের অধীনে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুব সহজেই দাঁড় করাতে পারেন।
পলিটেকনিক ক্যারিয়ার
পলিটেকনিক কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এখানে হাতে-কলমে শিক্ষার পাশাপাশি কাজ করানো হয়। এর জন্যই বর্তমানে পলিটেকনিক অথবা ডিপ্লোমা পড়ুয়াদের বেশি চাহিদা রয়েছে। পলিটেকনিক ক্যারিয়ার নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। কারণ পলিটেকনিক পড়াশোনা শেষ করলেই আপনি যেকোন কর্মস্থানে যোগদান করতে পারেন। পলিটেকনিক পড়ুয়াদের ভবিষ্যতে চাহিদা আরো বৃদ্ধি পাবে। বর্তমানে বাংলাদেশে কারিগরি ছাত্রছাত্রীদের বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। কারণ তাদের হাতে-কলমে শিক্ষা দেওয়া হয়।
পলিটেকনিকে আপনি শিক্ষা গ্রহণ করছেন পাশাপাশি আপনি হাতের কাজও শিখতে পারছেন। তাই পলিটেকনিক যারা পড়াশোনা করছে তাদের ক্যারিয়ার নিয়ে তেমন চিন্তা নিয়ে বললেই চলে কারণ চাকরি না পেলেও নিজে অন্তত কিছু একটা করতে পারবে। আমার মতে পলিটেকনিক ক্যারিয়ার অনেক সুন্দর ও স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করা যায়। এবং এর চাকরির বাজার গুলোতে অনেক ডিমান্ড রয়েছে আশা করছি সবকিছু আপনি বিস্তারিত বুঝতে পেরেছেন।
লেখকের মন্তব্য
প্রিয় পাঠক, আজকে আপনাদের করার সুবিধা অসুবিধা গুলো কি কি সেই সম্পর্কেই বিস্তারিত আপনাদের জানিয়ে দিলাম। আশা করি আপনারা সঠিক তথ্য এইআর্টিকেলটির মাধ্যমে পেয়ে গেছেন। এবার আপনি ভাবুন পলিটেকনিক পড়ার সুবিধা ও অসুবিধা এবং কেনই বা পলিটেকনিকে পড়াশোনা করবেন। পলিটেকনিকে পড়ার উদ্দেশ্যই হলো কম সময়ে ভালো কিছু করা।
আপনার একটাই টার্গেট থাকবে যে চাকরির পেছনে নয় চাকরি আমার পেছনে দৌড়াবে। ঠিক তাই এই কারিগরি লাইনে পড়াশোনা করলে এমনটাই হবে। তাই অবশ্যই বুঝে শুনে শিক্ষা গ্রহণ করুন। এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এই পোস্টটি ভালো লাগলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করুন। এবং আমাদের কাছে কিছু জানার থাকলে অবশ্যই নিচে কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করবেন ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url