শরীর স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায়-নিয়ম কারণ সম্পর্কে জানুন

প্রিয় বন্ধুরা, আজকে আমরা জানবো শরীর-স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায়-নিয়ম কারণ সম্পর্কে। মানবদেহে সুস্থ থাকাটাই সবচেয়ে বড় আনন্দ দায়ক বিষয় এর ফলে শরীর মন দুইটাই ফুরফুরে থাকে। আপনি যদি স্বাস্থ্য ভালো রাখতে চান তাহলে আজকে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানতে পারবেন।

শরীর ভালো রাখার কিছু নিয়ম কারণ আছে যে আমরা আজকে এই পোষ্টের মাধ্যমে সবকিছুই বিস্তারিত আলোচনা করব। তাই প্রিয় বন্ধু এই পোষ্টটি আপনাকে একটু ধৈর্য সহকারে মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে। তাই আর দেরি না করে চলুন আমরা শুরু করি আশা করি আজকের আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনার অনেক উপকারে আসবে।

শরীর স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায়-নিয়ম কারণ সম্পর্কে নিচে আমরা আলোচনা করব শরীর ফিট রাখার উপায় এবং নানা ধরনের স্বাস্থ্য ব্যায়াম। শরীর ফিট রাখার উপায়, মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায়, স্বাস্থ্য ভালো রাখার খাবার, শরীর সুস্থ রাখার ব্যায়াম, মুখের স্বাস্থ্য ভালো করার উপায়, স্বাস্থ্য রক্ষার প্রয়োজনীয়তা অনুচ্ছেদ।

শরীর ফিট রাখতে ব্যায়াম সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখে। এই যোগ ব্যায়াম আপনি ঘরোয়া ভাবে নানা জায়গাতেই করতে পারবেন। রাস্তায় অথবা খোলা কোথাও হাঁটাহাঁটি করতে পারেন। এবং বাইরে বের হতে না পারলে আপনি আপনার নিজের ছাদ ব্যবহার করতে পারেন। ব্যায়ামের জন্য হাঁটাহাঁটি অতি গুরুত্বপূর্ণ যে আপনি নিয়মিত হাঁটাহাঁটি করলেই বুঝতে পারবেন। হাঁটবেন যেভাবে আপনি যখন হাঁটাহাঁটি শুরু করবেন চেষ্টা করবেন বড় বড় ধাপ দিয়ে হাঁটার এতে করে ফুসফুসের বেশি উপকারিতা হয়।

আবার আপনার হাঁটার আনন্দ বাড়াতে কানে ইয়ারফোন বা হেডফোন ব্যবহার করতে পারে এতে করে অনেক মজা পাবেন এবং হাটাহাটি জন্য বিরক্তবোধ করবেন না। দৈনিক এভাবেই ৩০ মিনিট বা তারও অধিক হাঁটাহাঁটি করলে শরীর স্বাস্থ্য ফুরফুরে এবং সতেজ থাকবে। হাঁটাহাঁটি বাদেও আপনি সাইকেল চালাতে পারেন বেশ মজাদার দুই চাক্কার গাড়িটা ব্যায়ামের জন্য বেশ কার্যকরী। এবং মন খুলে হাসাহাসি করুন আনন্দ আমেজ ভেতর থাকুন মুখে সবসময় মুচকি হাসি ভাবটা রাখুন।

শরীর ফিট রাখতে যে সকল স্বাস্থ্যকর খাবার গুলো আছে তা হলো-আপনি যখন বাইরে হাঁটাহাঁটি করতে যাবেন তখন হাতে কিছু বাদাম নিতে পারেন কাজু, ওয়ালনাট, কিসমিস, ছোলা ইত্যাদি। একটি কথা মনে রাখবেন খাবার যখন খাবেন ভালোমতো চিবিয়ে চিবিয়ে খাবেন। এতে করে খাবারটি হজম হতে কোন ধরনের সমস্যা হয় না। সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় সেটি হল খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে অথবা ৩০ মিনিট পরে পানি পান করবে।

মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকা বা শারীরিক ভাবে সুস্থ থাকা শরীরের জন্য অনেক জরুরী। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সময়ের কাজ সময়মতো করার অভ্যাস না থাকলে অভ্যাস করেন। অযথা টেনশন করবেন না আমরা অনেকেই ছোটখাটো বিষয়ে দুশ্চিন্তা করি এর ফলে মানসিক স্বাস্থ্য খারাপ হতে পারে। মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে ব্যায়াম করুন।

আপনার শরীর অনুযায়ী ব্যায়াম করুন ব্যায়াম করলে সুখ হরমোন বৃদ্ধি পায়। তাই আপনি নিয়মিত ব্যায়াম করুন পাশাপাশি পুষ্টিকর খাবার খান মানসিক ও শারীরিক ভালো রাখতে যারা নিয়ম কারণ গুলো মেনে চলেন তাদের মানসিক ও শারীরিক দিক থেকে সুস্থ সবল থাকতে সক্ষম হয়।

মানসিক স্বাস্থ্য জন্য পুষ্টিকর খাবার খান। পুষ্টি সম্পন্ন ও খাবার খাবেন। খাবারের তালিকায় সবসময় শাক সবজি ফলমূল রাখুন। আসলে কি একটি বিষয় মনের স্বাস্থ্য ভালো না থাকলে শরীরও কেমন জানি অসুস্থ অসুস্থ ভাব মনে হয়। মনের অসুখ সবচেয়ে খারাপ একটি অসুখ মানসিকভাবে বেকার গ্রস্ত নেশাগ্রস্ত এবং এর ফলে আত্মহত্যা জন্য মানুষ মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে।

মানবদেহের স্বাস্থ্য এতটাই গুরুত্বপূর্ণ যা বলার বাইরে, আমাদের শরীর সুস্থ রাখতে স্বাস্থ্য সকল সকল সুখের মূলধন। নিজের শরীর স্বাস্থ্য ভালো থাকলে জীবনে আর কি বা প্রয়োজন তাই সুখী জীবনের জন্য স্বাস্থ্যের দেখভাল করাটা আমাদের খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। শরীর স্বাস্থ্য ভালো রাখতে আমাদের খাবারের উপরে নির্ভরশীল হতে হবে। স্বাস্থ্য ভালো রাখতে খাদ্য যেমন অতি প্রয়োজন তেমনি তার পাশাপাশি যোগব্যায়াম টাও অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

পুষ্টিকর খাবার এবং সুস্বাস্থ্য করতে ক্যালরিযুক্ত খাবার নিশ্চিত করে। পুষ্টিকর খাবার উচ্চ ফাইবারের জন্য দিনে কমপক্ষে ৫-৬ টি ফল খাওয়া উচিত। এবং এর পাশাপাশি শাকসবজি বেশি বেশি খাওয়া দরকার। প্রোটিন যুক্ত খাবার গুলো খেলে স্বাস্থ্য ভালো থাকে যেমন-ফল এবং শাকসবজি খাওয়া, শরীর অনুযায়ী পানি পান করা, মাছ, মাংস এবং ডিম এগুলোতে প্রোটিন রয়েছে।

শাকসবজি এবং ফল মূলে সব ধরনের ভিটামিন রয়েছে তাই শরীর স্বাস্থ্য ভালো রাখে। চিকিৎসকরা বেশিরভাগই বলে থাকেন প্রাকৃতিক খাবার খেতে। স্বাস্থ্যর ভালো রাখতে এবং ত্বক উজ্জ্বলতা বাড়াতে পানি পান করুন। পানি পান করলে যে সকল ভূমিকা রাখে যেমন-ত্বক ভালো রাখতে সাহায্য করে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। তাই নিয়মিত পানি পান করুন আরো অনেক ধরনের রোগ থেকে মুক্তি দিবে বিশুদ্ধ পানি।

শরীরের জন্য ব্যায়াম অতি গুরুত্বপূর্ণ। শরীর সুস্থ রাখতে নিয়মিত দৌড়ান অথবা সাঁতার জানলে সাঁতার কাটতে পারে এতে বেশ উপকারী আসবে। শরীরের জন্য সাঁতার এবং দৌড়ানো বেশ কার্যকরী। প্রথম প্রথম দৌড়াতে ব্যথা অনুভব হতে পারে তাই আস্তে আস্তে সময় নিয়ে দৌড়ান। সাঁতার কিন্তু একটি শরীর গঠনের জন্য বিশেষ উপকারী এবং শরীর সুস্থ রাখতে। আমাদের ভেতর অনেকেই আছে যে দৌড়াতে গেলে পায়ে ব্যথা অনুভব হয় তাই আপনি হাটাহাটিও করতে পারেন।

বিশেষজ্ঞরা বলেছেন কোষ্ঠকাঠিনের সমস্যা থাকলে ওষুধ না খেয়ে নিয়মিত সকাল বিকাল হাটার অভ্যাসটা গড়ে তুলুন। তবে হাঁটার বৈশিষ্ট্য সময় হচ্ছে সকাল টাইম সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে হাঁটাহাঁটি করুন এতে করে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকেও ওঠা হয়ে যাবে এবং শরীর সুস্থ রাখার জন্য ব্যায়াম হয়ে যাবে। প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪০ মিনিট বা তারও বেশি হাঁটাহাঁটি করুন এতে করে শরীর সুস্থ ও স্বাস্থ্য ভালো থাকে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন হাটাহাটির কারণে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, এবং হাড়ের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখে।

আপনারা হয়তো ভাবছেন মুখের স্বাস্থ্য হবার কি করে ভালো রাখার অথবা এমনও মনে আসতে পারে মুখের স্বাস্থ্য আসলে কি খারাপ হয়? হ্যা বন্ধু মুখের ও স্বাস্থ্য খারাপ হয়। আমাদের ভেতর এমনও মানুষ আছে নিয়মিত মুখ পরিষ্কার করে না ফলে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। মূলত মুখের স্বাস্থ্য খারাপ হলে দাঁত ক্ষয় হয়ে যায়, এবং মুখে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়। কখনো কখনো দেখা যায় মারি ফুলে গেছে। এগুলা দেখা দিলে বুঝবেন আপনার মুখের স্বাস্থ্য ভালো নেই।

আবার আমরা যেসব খাদ্য খাই এগুলার ফলে মুখের স্বাস্থ্য খারাপ হয়। যেমন-ধূমপান পান জর্দা এবং গন্ধ জাতীয় খাবারের ফলে অধিকাংশ মুখের রোগ হয়। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন মুখ বা দাঁতের রোগের কারণে অস্থিরতা দেখা যায়। এইসব সমস্যাগুলো বেশিরভাগই আমরা দেখতে পাই নিম্ন আয়ের মানুষগুলোর ভেতরে তারা আসলে জানে না কোন খাবার খেলে মুখের রোগ হবে এবং মুখের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।

চিকিৎসকরা বলছেন, মুখের স্বাস্থ্যের জন্য সুষম খাদ্য এবং শাকসবজি ফলমূল এর ওপর বেশি জোর দিতে হবে। তার পাশাপাশি ধূমপান ও পান জর্দা এবং তামাক জাতীয় খাবার বন্ধ করতে হবে। মুখের স্বাস্থ্য জন্য বেশি নির্ভরতা করে দাঁতের স্বাস্থ্যের ওপর। দাঁতের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে। নিয়মিত ব্রাশ করুন দাঁত পরিষ্কার রাখতে টুথপেস্ট এবং লেবু ব্যবহার করতে পারেন। অধিকাংশ মানুষ দাঁত পরিষ্কারের ক্ষেত্রে বা দাঁত মাজার জন্য একবার ব্রাশ করে।

তবে এর পরিবর্তে আপনি সকালে ঘুম থেকে উঠে একবার ব্রাশ করুন অথবা রাতে একবার করুন। নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করলে দাঁতের স্বাস্থ্য ও পরিষ্কার রাখতে সক্ষম এবং এটি একটি ভালো অভ্যাস। আমাদের দাঁতের ভেতরের ফাঁকা গুলিতে খাদ্য জমাট বাঁধে এগুলা চেষ্টা করব সব সময় পরিষ্কার রাখতে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন একই ব্রাশ দীর্ঘ সময় ব্যবহার করলে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

অতএব-নিয়মিত মুখ পরিষ্কার রাখা এবং নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করা তার পাশাপাশি মাউথ ওয়াশ ব্যবহার করলে মুখের স্বাস্থ্য অনেক ভালো রাখে। আপনি যদি এগুলা না করে থাকেন যত বয়স বাড়বে দাঁতের ক্ষয়সহ নানা ধরনের রোগ সমস্যা দেখা দিতে পারে। সতর্ক হোন।

আমরা অনেক সময়ই দেহের সুস্থতা নিয়ে ভেবে থাকি। এবং নানা ধরনের ব্যায়াম করি, নানা ধরনের ভিটামিন যুক্ত খাবার খায় তবুও শরীর-স্বাস্থ্য ভালো থাকে না কারণ কি জানেন? কারণ হচ্ছে মানুষের ঘুম হচ্ছে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ আপনার ভিতরে যদি ঘুমের ঘাটতি থাকে বা ঘুম কম হলে নানা ধরনের ক্ষতি হয়। তাই শরীর-স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য ঘুমের কোন বিকল্প নেই। ঘুম একটি স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি টিপস।

স্বাস্থ্য ভালো রাখতে এবং সুন্দর স্বাস্থ্য জন্য তার পাশাপাশি শরীরকে সুস্থ রাখতে নিয়মিত শরীরের চর্চা করা দরকার এতে করে স্বাস্থ্য এবং মন দুটোই ফুরফুরে থাকে। শরীর-স্বাস্থ্য ভালো রাখতে পরিমাণ মতো খাদ্য এবং পানি পান করা প্রয়োজনমতো বিশ্রাম করা সুস্থ জীবন যাপন করা খুব সহজেই সম্ভব। এর জন্য স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ। এবং শাকসবজি বেশি বেশি খেতে হবে প্রোটিনযুক্ত খাবার তালিকায় রাখতে হবে।

প্রিয় পাঠক, উপরে শরীর-স্বাস্থ্য ভালো রাখার টিপসগুলো জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে শরীর স্বাস্থ্য ভালো রাখার নিয়ম গুলো সম্পর্কে আশা করি জানাতে পেরেছি। আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনাদের কেমন লাগলো নিচে কমেন্ট বক্সে অবশ্যই জানাবেন। এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমাদের এই ওয়েবসাইটটি ঘুরে দেখতে পারেন এরকম নানান ধরনের পোস্ট পেয়ে যাবেন। এবার আসবেন ধন্যবাদ।