বাঁশ খাওয়ার উপকারিতা এবং বাঁশ খেলে কি হয় জানুন

প্রিয় পাঠক, অনেকেই জানেনা বাশঁ খাওয়ার উপকারিতা এবং বাঁশ খেলে কি হয় এসব বিষয়ে জানেনা। এর জন্য এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে বাশঁ খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আপনাদের জানাবো। আর আসলেই কি বাশঁ খাওয়া যায় এই বিষয়েই ক্লিয়ার করব তাই চিন্তার কোন কারণ নাই, এই পোষ্টির মধ্যেই আপনি সবকিছুই বিস্তারিত জানতে পারবেন।
বাঁশ খাওয়ার উপকারিতা এবং বাঁশ খেলে কি হয়
আপনারা হয়তোবা বিভিন্ন জায়গায় শুনেছেন অথবা জানেন যে বাইরের দেশগুলোতে বাশঁ খেয়ে থাকে। তাই এখন থেকে আমাদের দেশেও অনেকেই রয়েছে পাহাড়িরা বাশঁ রান্না করে খাই তবে এটা সত্যি যে বাশঁ রান্না করে খেলে অনেক ভালো লাগে। তাই চলুন দেরি না করে বাঁশ খাওয়ার উপকারিতা এবং বাঁশ খেলে কি হয় এইসব বিষয়ে জেনে নিন।

পোস্ট সূচিপত্রঃ বাঁশ খাওয়ার উপকারিতা এবং বাঁশ খেলে কি হয় জানুন

ভূমিকা

আপনি যদি বাঁশের কুড়া নরম অংশটুকু রান্না করে খান তাহলে শরীরের অনেক উপকারে আসবে বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন। অনেকেই রয়েছে বাশঁ একটি খাদ্য এসব বিষয়ে জানে না। এই আর্টিকেলটি লিখার উদ্দেশ্য হল আপনাদের বাস রান্না করার বা বাঁশ খেলে কি হয় এইসব বিষয়ে সঠিক তথ্য জানানোর জন্যই আমি এই আর্টিকেলটি লিখছি। তো চলুন শুরু করি আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য অনুরোধ রইল। আশা করি এ পোস্টটি আপনার অনেক উপকারে আসবে।

বাঁশ গাছের উপকারিতা

বাঁশ আমাদের দৈনন্দিন জীবনের জন্য অনেক কাজে লাগে এবং মানব দেহের শরীর সুস্থ রাখতে বাঁশ গাছের কোন বিকল্প নেই। ঘরবাড়ি তৈরি করার জন্য অবশ্যই আমাদের বাঁশের তৈরি খুঁটি দিয়ে ঘরবাড়ি দার করাতে হয়। গ্রাম অঞ্চলে বাঁশের ব্যবহার সবচেয়ে বেশি এবং বাঁশ ছাড়া বাড়ি করাও অসম্ভব হয়ে পড়ে অনেক সময়। বাঙালি জাতির সবচেয়ে সম্পদ বললেই চলে বাঁশ, বাসের পাতাবিভিন্ন কিছু তৈরি করা যায়। যেমন-বাড়ি ঘর, মাচান, বসার জন্য টুল, ডালি-বা ঝাকা ইত্যাদি।

বাঁশ পাতার উপকারিতা

বাঁশের পাতা অনেক কাজের এবং বাঁশ পাতার উপকারিতা কিছুটা হলেও রয়েছে। বাশঁ পাতা অনেক সময় আমাদের হাড়ি পাতিল পরিষ্কার করার জন্য লাগে। আপনি যদি কোন হাড়ি পাতিলের রান্না করেন তাহলে খুব সহজেই হাড়ি পাতিলের ভেতরটা কালো হয়ে যায়। তখন আসলে বুঝে উঠতে পারেন না কিভাবে পরিষ্কার করবেন, অথবা অনেক কিছু দিয়ে পরিষ্কার করার সময় হাত কালো হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এর জন্য আপনি যদি বাঁশপাতা কালো হয়ে যাওয়া পাতিল এর ভেতর কয়েকটা দিয়ে দেন এবং পানিগুলো ফুটন্ত অবস্থায় করেন তাহলে খুব সহজেই সে কালো ব্যক্তি উঠতে শুরু করবে। আপনি এই পদ্ধতিটা ব্যবহার করে দেখতে পারেন অনেক সুন্দর কাজ করে। গ্রামাঞ্চলে যেসব গ্রামে বাঁশ গাছ রয়েছে সেসব গ্রামগুলোনে দেখতে পাবেন অনেকেই রয়েছে বাঁশপাতা জ্বালানির কাজের জন্য ব্যবহার করে থাকে। এর জন্য বাঁশ পাতার উপকারিতা কিছুটা হলেও রয়েছে।

বাঁশ গাছের অপকারিতা

এখন বর্তমানে বাংলাদেশে বিভিন্ন অঞ্চলে বাঁশ চাষ করছেন চাষিরা। এতে লাভবান হচ্ছেন বলে জানা গেছে এক চাষী ভাইয়ের কাছ থেকে। এবং অনেকের মনেই আমাদের ভেতরে কিছু ঘটকা থেকে গেছে যেমন-হয়তো আপনি উপরে আর্টিকেলগুলো পড়ে বুঝতে পেরেছেন যে বাঁশ খাদ্য কাজেও ব্যবহার করা যায়। কিন্তু অনেকেই বলাবলি করছে যে বাঁশ গাছের অপকারিতা রয়েছে কিন্তু এটা আসলেই কতটা সত্যি জেনে নিন।

বাঁশ আমাদের জন্য একটি সম্পদ, তাই অবশ্যই এটি আমাদের জন্য ক্ষতিকার হবে না। তাই বাঁশের অপকারিতা বলে কিছু নেই। বাঁশ দিয়ে বিভিন্ন জিনিস তৈরি করা হয় আমাদের নানা কাজে জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছে এবং হচ্ছে বাঁশ। আর ভবিষ্যতের জন্য বাঁশ আমাদের সম্পদ হয়েই অবশ্যই থাকবে কালের পরিবর্তে জন্য হয়তো বাস ব্যবহারের সক্ষমতা কমে যাচ্ছে কিন্তু বাঁশ আমাদের কাজে লাগবেই।

বাঁশ কোড়ল রেসিপি

আদিবাসীদের প্রিয় খাদ্য বাঁশ কোড়ল, বাঁশঝাড়ে যখন হালকা হালকা শীত পড়ে তখন বাঁশ কোড়ল জন্ম নেয়। তখন আদিবাসীদের মনে আনন্দ দেখতে পাওয়া যায় কারণ তারা অনেক আরাম আয়েশ করে বাঁশ কোড়ল রেসিপি তৈরি করে খায়। বাঁশ কোড়ল নরম অংশটুকু কেটে নিয়ে তারা রান্নার কাজের জন্য ব্যবহার করে থাকে। এবং তারা মাংসের সঙ্গেও বাঁশ কোড়ল ব্যবহার করে।

বাঁশ কত প্রকার কী কী

মূলত আপনি হয়তো জেনে অবাক হবেন বাঁশের কিন্তু বিভিন্ন ধরনের জাত রয়েছে। আমাদের বাংলাদেশে বাঁশের জাত রয়েছে ৩৩ প্রজাতির এবং চীন দেশে ৫০০ প্রজাতির বাস রয়েছে। বর্তমানে গবেষকরা বাংলাদেশ ২৭ জাতের বাঁশ গাছের সন্ধান পেয়েছেন এখনো ৬ প্রজাতির বাঁশ খুঁজে পান নাই। চীনা জাতের বাঁশ অনেক লম্বা আকৃতির হয় যেমন ১০০ ফুট মত বাঁশের আকৃতি হয়।

বাঁশ পাতার বৈশিষ্ট্য

বাঁশ পাতার বৈশিষ্ট্য অনেক ধরনের রয়েছে যেমন বাস পাতা দিয়ে বিভিন্ন ধরনের ওষুধ তৈরি করা হয় বলে জানা গিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন বাঁশপাতার চীনে সবচেয়ে ব্যবহৃত হয় বেশি। এবং তারা এটি ঔষধের কাজের জন্য ব্যবহার করে থাকে। বিশেষজ্ঞদের মতে জানা গিয়েছে চীনেরা বাঁশ পাতার বৈশিষ্ট্য পাতা দিয়ে যে ওষুধটি তৈরি করেন সেটি হচ্ছে মানব দেহের ঘামের কাজে ব্যবহৃত হয় বেশি অতিরিক্ত ঘাম হলে বাঁশপাতার ঔষধ ব্যবহার করে থাকে।

আমাদের শেষ কথা

প্রিয় বন্ধুরা, আপনি এই আর্টিকেলটি পরে বুঝতে পেরেছেন বাঁশ খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে এবং বাঁশ আমাদের কি সব কাজে লাগে কি কি করা যায় সে সব বিষয়ে অবশ্যই আপনি বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। আর্টিকেলটি আপনার যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই নিচে কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাতে পারবেন। অথবা কোন ধরনের প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই আমাদের প্রশ্ন করে থাকবেন আমরা অবশ্যই উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url