শরীর দুর্বল হওয়ার লক্ষণ এবং এর প্রতিকার সম্পর্কে জানুন

শরীর স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায়প্রিয় পাঠক, আপনি কি শরীর দুর্বল নিয়ে চিন্তিত তাহলে সঠিক জায়গাতেই আপনি এসে গেছেন। কারণ এই পোষ্টের মাধ্যমে শরীরে দুর্বল হওয়ার লক্ষণ এবং এর প্রতিকার সম্পর্কে বিশেষ আলোচনা করব। নানা কারণেই শরীরের দুর্বলতা দেখা দেয় এর জন্য অনেকেই চিন্তিত হয়ে পড়ে। এর জন্যই মূলত আমি শরীর দুর্বল হওয়ার লক্ষণ এবং এর প্রতিকার নিয়ে এই আর্টিকেলটি লিখতে বসেছি।
শরীর দুর্বল হওয়ার লক্ষণ এবং এর প্রতিকার
আপনি যদি শরীর দুর্বল হওয়ার লক্ষণ এবং এর প্রতিকার জানতে চান তাহলে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়ুন। যাদের শরীর খুবই দুর্বল তাদের জন্য এই পোস্টটি অনেক হেল্পফুল হতে যাচ্ছে। তাই অবশ্যই এই পোস্টটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তো বন্ধুরা চলুন দেরি না করে শরীর দুর্বল হওয়ার লক্ষণ এবং এর প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত শুরু করি।

পোস্ট সূচিপত্রঃ শরীর দুর্বল হওয়ার লক্ষণ এবং এর প্রতিকার সম্পর্কে জানুন

ভূমিকা-শরীর দুর্বল হওয়ার লক্ষণ

বর্তমান সময়ে আমাদের বন্ধুবান্ধবদের অথবা আত্মীয়-স্বজনের ভেতরে অনেকের শরীর দুর্বলতা দেখা দিচ্ছে। এবং এর জন্য অনেকেই চিন্তিত এবং নানা ধরনের টেনশন মাথায় ঘুরপাক করছে। এর জন্যই মূলত এই আর্টিকেলটি শরীর দুর্বল হওয়া লক্ষণ এবং প্রতিকার নিয়ে বিশেষ আলোচনা করা হচ্ছে। আপনি যদি এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনার দুর্বলতা খুব সহজেই দূর হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

হঠাৎ শরীর দুর্বল হলে করণীয়

শারীরিক দুর্বলতার ভিতরে যে ভুগছেন সেই মাত্র বুঝতে পারে দুর্বলতা কতটা ভয়ানক রোগ। আবার অনেকেই রয়েছে তিনি যে শারীরিক দুর্বলতায় ভুগছেন কিন্তু সঠিক জানেনা। এবং নানা কারণেই শারীরিক দুর্বলতা দেখা দিতে পারে তাই বেশি চিন্তার কোন কারণ নাই। হঠাৎ করে শরীর দুর্বলতার লক্ষণ দেখা দিতে পারে এবং কেন হঠাৎ করে শরীর দুর্বল হয়। জানেন কি? জানেন না তো তাহলে জেনে নিন-

দেখুন শরীর বিভিন্ন কারণেই দুর্বল হতে পারে। এর মধ্যে কিছু প্রধান কারণ গুলো হলো-অপুষ্টিকর খাদ্য, পানি শূন্যতা, ভিটামিনের অভাব, অনিয়মিত ব্যায়াম, পটাশিয়ামের ঘাটতি, ক্যালসিয়ামের অভাব, শ্বাসকষ্ট, অনিয়মিত জ্বর ইত্যাদি। এ সকল সমস্যা থাকলেই শরীর হঠাৎ করেই দুর্বলতা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

বিশেষ করে অসুস্থতার জন্য শারীরিক দুর্বলতা শরীরে দেখা দিতে শুরু করে। আপনি যখন শারীরিকভাবে দুর্বলতা হয়ে পড়বেন তখন আপনার মেজাজ খিটখিটে ভাব দেখা দিবে। যেকোনো কাজের প্রতি আগ্রহ কমে আসবে। শরীর যখন একেবারেই দুর্বল হয়ে পড়বে তখন একটু কাজেই হাঁপিয়ে পড়বে, হঠাৎ করেই গরম লাগা শুরু হবে এবং একটুতেই ঠান্ডা লেগে যাবে।

আরো রয়েছে শরীর দুর্বলতা হলে রাতে ঘুম ভালো হয় না, খাওয়া-দাওয়ার প্রতি রুচি ভাব নাই হয়ে যায়, হাত-পা কামরায়, চুল পড়ার সমস্যা দেখা দেয়, অতিরিক্ত পানির পিপাসা লাগতে পারে, যে কোন কাজের প্রতি মনোযোগ কমে যায়, হজম শক্তি কমে যায়, যে কোন সময় পেটের ব্যথা শুরু হতে পারে ইত্যাদি। এ সকল সমস্যাতে পড়লে অবশ্যই বুঝতে হবে শরীর দুর্বলতা রয়েছে।

হঠাৎ করে শরীর দুর্বল হলে যেইসব করণীয় গুলো রয়েছে সেগুলো আপনি ঘরে বসেই করতে পারেন আসুন জেনে নেই কি কি শরীর দুর্বল হলে করনীয় রয়েছে-এবং হঠাৎ করে শরীর ঝিম ধরা অথবা দুর্বলতা দেখা দিলে যে কাজগুলো আপনি সঙ্গে সঙ্গে করবেন জানুন-
  • তাড়াতাড়ি এক গ্লাস পানি পান করুন অথবা দুধ পান করুন।
  • প্রতিদিন সকাল বিকাল হালকা পরিসরে ব্যায়াম করুন।
  • সারা দিনে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন।
  • রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস দুধ পান করুন।
  • নিয়মিত পুষ্টিকর খাদ্য খাবার তালিকায় রাখুন।
  • শরীরের দুর্বলতা দূর করার জন্য যেকোনো ভিটামিন ঔষধ খান।
  • রাতে কমপক্ষে ৮ ঘন্টা ঘুমানোর চেষ্টা করুন।

শরীর দুর্বল হলে কি খেতে হয়

শরীর দুর্বলতার দূর করার জন্য খাবার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। খাবার ছাড়া শরীরের দুর্বলতা দূর করা মুশকিল বললেই চলে। তাই দুর্বল শরীরের জন্য পুষ্টিকর খাদ্য সবচেয়ে বেশি ভূমিকা পালন করে। যেসব খাওয়ার খেলে শরীরে প্রচুর পরিমাণে এনার্জি ফিরে আসবে সেই সকল পুষ্টিকর খাদ্যগুলো খাওয়া উচিত। নিচে কিছু শারীরিক দুর্বলতা দূর করার জন্য খাবারের তালিকা দেওয়া হলো-

প্রোটিন জাতীয় খাদ্য-শরীর দুর্বলতার জন্য খাবার তালিকায় সবসময়ই প্রোটিন জাতীয় খাদ্য রাখা খুবই জরুরী। প্রোটিন জাতীয় খাদ্য যেগুলো-মাছ-মাংস, দুধ, ডাল ইত্যাদি। প্রোটিন জাতীয় খাদ্যগুলো খেলে মাংসপেশী বৃদ্ধি করে তার সঙ্গে শরীরের শক্তি যোগান দিতে সক্ষম হয়।
ফলমূল-শরীর দুর্বলতা জন্য ফলমূল খাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং শরীরের জন্য বেশ কার্যকারী। শরীরের এনার্জি এবং ভিটামিনের চাহিদা পূরণের জন্য বেশি বেশি ফলমূল খাবার তালিকায় রাখার চেষ্টা করুন। ফলমূল যেগুলো খাওয়ার তালিকায় রাখতে পারেন যেমন-খেজুর, কিসমিস, কমলা লেবু, ডালিম, কাঁচা বাদাম ইত্যাদি।

শাকসবজি-শরীরের দুর্বলতা দূর করার জন্য শাকসবজি সবচেয়ে বেশি ভূমিকা পালন করে থাকে। কারণ শারীরিক দুর্বলতা দূর করতে পারেন সবুজ শাকসবজি এর জন্য নিয়মিত প্রতিদিন প্রধান খাদ্যের সঙ্গে শাকসবজি রাখার চেষ্টা করুন। কারণ শাকসবজিতে রয়েছে মিনারেল, ভিটামিন, ফাইবার, ক্যালসিয়াম এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর রয়েছে।

কার্বোহাইড্রেট খাদ্য- কার্বোহাইড্রেট খাদ্য শরীরের দুর্বলতা দূর করার জন্য পেশ উপকারিতা রয়েছে। কার্বোহাইড্রেট খাদ্য যেগুলো আটা, কুইনো, ওয়াট মিল, পাস্তা ইত্যাদি। কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাদ্যগুলো শরীরের শক্তি যোগান দিতে সক্ষম হয়।

শরীরের শারীরিক দুর্বলতা দূর করার জন্য ভিটামিন সি খাদ্য সবচেয়ে বেশি জরুরী। তাই শরীর-স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য অবশ্যই ভিটামিন সি জাতীয় ফলমূল খাওয়ার চেষ্টা করুন। ভিটামিন সি ফলমূল হচ্ছে-কমলালেবু, লেবু, আঙ্গুর, পেয়ারা ইত্যাদি।

শরীর দুর্বল থেকে মুক্তির উপায়

শারীরিকভাবে দুর্বলতা দূর করার জন্য এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য পরিমাণ মতো পুষ্টিকর জাতীয় খাদ্য খান। সবজির ভিতরে পালং শাক, কচুর শাক, পুঁইশাক, মিষ্টি কুমড়া, গাজর এবং আলু এসব খাদ্যগুলো শারীরিক দুর্বলতা দূর করতে সক্ষম হয়। অন্যদিকে পানি জাতীয় এবং রসালো খাদ্য খাবার তালিকায় রাখুন।

পানি শূন্যতার অভাবে শরীর দুর্বল হতে পারে এর জন্য সারাদিনে প্রচুর পরিমাণে পানি খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করুন। এবং পানির শূন্যতা দূর করার জন্য যে কোন ফলের রস খেতে পারেন। অথবা নিয়মিত ডাবের পানি পান করার চেষ্টা করুন। শরীর দুর্বল থেকে মুক্তি পাওয়ার এগুলোই মূল কারণ। এবং আপনি রেস্ট নিতে পারেন কারণ শরীর বিশ্রাম পেলে দুর্বলতা খুব সহজেই দূর হয়ে যায়।

কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর দুর্বল হয়

আমাদের শরীরের জন্য নানা ধরনের ভিটামিনের প্রয়োজন রয়েছে এর মধ্যে ভিটামিন ডি এর বিশেষ কর্ম কাজ রয়েছে শরীরের জন্য। শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাব দেখা দিলে খুব সহজেই শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে এর জন্য আমাদের ভিটামিন ডি পর্যাপ্ত পরিমাণে শরীরে থাকা উচিত। ভিটামিন ডি এর উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন-
  • শরীরের ক্যালসিয়াম শোষণের জন্য ভিটামিন ডি অতি জরুরী এবং প্রয়োজন।
  • ভিটামিন ডি হাড়ের গঠন শক্তি তৈরি করে।
  • শিশুদের জন্য ভিটামিন ডি খুবই প্রয়োজন কেননা ভিটামিন ডি শিশুদের হাড়ের গঠনের জন্য জরুরী।
  • ভিটামিন ডি এর অভাবে দাঁতের সমস্যা দেখা দিতে পারে তাই অবশ্যই ভিটামিন ডি খাদ্য খান।
  • ভিটামিন ডি ওজন কমানোর জন্য বেশ কার্যকারী এবং ক্লান্ত ভাব দূর করে।
  • মাংসপেশির কার্যকরিতা বৃদ্ধি করার জন্য ভিটামিন ডি জরুরী।
এর জন্য বুঝতে পারছেন ভিটামিন ডি এর অভাবে সবচেয়ে বেশি শারীরিক দুর্বলতা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ভিটামিন ডি এর অভাবে মাংসপেশীর কার্যকারিতা কমে যায় এর ফলে শারীরিক দুর্বলতা খুব সহজেই দেখা দিতে শুরু করে। তাই অবশ্যই মাংসপেশীর দুর্বলতা দূর করার জন্য প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন গ্রহণ করুন।

সহবাসের পর শরীর দুর্বল হলে করণীয়

সহবাস এই কথাটি শুনলেই অনেকেই লজ্জাতে মুখ লুকাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। আমাদের কে অনেকেই প্রশ্ন করেছেন সহবাসের পর শরীর দুর্বল হলে করণীয় কি? একটি কথা সবসময় মনে রাখবেন অবস্থার ব্যবস্থা রয়েছে। এর জন্য সহবাসের পর শরীর দুর্বল হলে অবশ্যই কিছু করণীয় রয়েছে যার মাধ্যমে আপনি আপনার আবার শক্তি ফিরে পাবেন।

সহবাস এটি হচ্ছে স্বামী-স্ত্রী জীবনের জন্য সুখ পালন করে থাকে। বিশেষ করে সহবাসের সময় পুরুষের মস্তিষ্কের ওপর প্রচুর পরিমাণে চাপ পড়ে। এবং তারপরে পুরুষের বীর্যপাত হয়ে গেলে কিছুটা দুর্বলতা প্রকাশ পায়। আর এ বীর্য তৈরি হয় বিভিন্ন পুষ্টিকর খাদ্য থেকে। যেহেতু পুরুষের বীর্য বের হয়ে যায় এর জন্য সহবাসের পর দুর্বলতা হওয়াটা স্বাভাবিক বিষয়।

যাদের সহবাসের পর বেশি দুর্বলতা হয়ে পড়ে তাদেরকে বলা হয় শারীরিক দুর্বলতা। তবে এই শারীরিক দুর্বলতা দূর করার জন্য কিছু অবলম্বন করা জরুরী এবং সহবাসের পর এই শারীরিক দুর্বলতা খুব সহজেই দূর করা সম্ভব। শারীরিক দুর্বলতা দূর করার জন্য যে খাদ্যগুলো খেতে পারেন এবং খাওয়া জরুরী জেনে নিন-

সহবাসের আগে অবশ্যই মধু, দুধ, খেজুর, কিসমিস, কাচা বাদাম এবং কাঁচা ভেজানো ছোলা ইত্যাদি। এ সকল খাদ্যগুলো যদি নিয়মিত খেতে তাহলে শারীরিক দুর্বলতা খুব সহজেই দূর হয়ে যাবে। তবে সহবাসের আগে অথবা পরে এ খাদ্যগুলো খাওয়া জরুরী। এ সকল খাদ্যর কারণে বীর্যের অভাবটি দূর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এবং এসব খাদ্যগুলো খেয়ে সহবাস করলে তেমন একটা দুর্বলতা শরীরে দেখা দিবে না। তবে একটি কথা মাথায় রাখবেন সহবাসের আগে কোন কিছু পেট ভরে খাবেন না এবং অতিরিক্ত পানি পান থেকে বিরত থাকুন। কারণ সহবাসের আগে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করলে দ্রুত বীর্যপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

শরীর দুর্বল হয় কেন

শরীর দুর্বল হওয়ার বিশেষ কিছু কারণ রয়েছে যার ফলে দ্রুত এবং যেকোনো সময়ই শরীর দুর্বল হয়ে পড়তে পারে। ক্যালসিয়াম অথবা আয়রনের ঘাটতির কারণে শরীর দুর্বল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এবং রক্তশূন্যতা যদি শরীরে দেখা দেয় তাহলে অবশ্যই যে কোন সময় দুর্বল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে মেয়েদের দুর্বলতার সমস্যা বেশি দেখা দেয় কারণ তাদের রক্তের শূন্যতা বেশি দেখা যায়।

যাদের ডায়াবেটিস রোগ রয়েছে তাদেরও হঠাৎ করেই শরীর দুর্বল হয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বর্তমানে শরীর দুর্বলতার সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে রাতে ঠিকমতো ঘুম না হওয়ার কারণে। অনেক স্টুডেন্টরা রয়েছে পড়াশোনার জন্য রাত জাগেন এর জন্য হঠাৎ করেই শরীর দুর্বল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

ঠিকমতো যদি ঘুম না হয় তাহলে যে কোন কাজেই শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়বে। তাই প্রতিদিন নিয়মিত ৭-৮ ঘন্টা ঘুমানোর অভ্যাস তৈরি করুন। এবং যাদের টেনশন বেশি এবং হতাশায় ভুগছেন তাদেরও শরীর দ্রুত দুর্বল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই শরীর দুর্বলতা দূর করার জন্য বিষন্নতা দূর করে স্বাভাবিক জীবন যাপন শুরু করা উচিত এবং পাশাপাশি নিয়মিত শরীর চর্চা করা উচিত। এতে শরীর ও মন সব কিছুই ভালো থাকবে।

মেয়েদের শরীর দুর্বল হলে করণীয়

মেয়েদের জীবনে সবচেয়ে বেশি দুর্বলতার প্রবণতা দেখা দেয়। এর মূল কারণ হচ্ছে খাওয়া দাওয়া কারণ মেয়েরা খাওয়া-দাওয়া থেকে অনিহার্য বিরাজ করে। তারা ঠিকমতো পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ না করার ফলে শরীর খুব সহজেই দুর্বল হয়ে পড়ে। মেয়েদের শরীর দুর্বল হলে যে সকল কাজগুলো করা উচিত এবং খাদ্য খাওয়া উচিত জেনে নিন।

মেয়েরা সংসারের কাজের জন্য সারাদিন এবং রাতেও পরিশ্রম করে থাকে এর জন্য মূলত শরীর বিশ্রাম নিতে পারেনা তার কারণেই মেয়েদের শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। তাই মেয়েদের শরীর দুর্বলতার সমস্যা বেশি দেখা দিলে অবশ্যই বিশ্রাম নেওয়া উচিত। ঠিকমতো বিশ্রাম এবং পুষ্টিকর খাদ্য খেলে খুব সহজেই মেয়েদের শরীরের দুর্বলতা কাটিয়ে উঠবে।

মেয়েদের শরীর দুর্বলতার জন্য আয়রন খাদ্য অতি জরুরী এর জন্য যে সকল খাদ্যগুলোতে আয়রন রয়েছে ঐ সকল খাদ্যগুলো সব সময় খাবার তালিকায় রাখার চেষ্টা করুন। এবং টক জাতীয় খাদ্য তেও আয়রন পাওয়া সম্ভব। এবং ফার্মেসীতে আয়রনের ট্যাবলেট পাওয়া যায় চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে মেয়েরা আয়রনের ট্যাবলেট খেতে পারে।

এছাড়াও ঠিকমতো বিশ্রাম নেওয়া উচিত। এবং রাতে ৭-৮ ঘন্টা ঘুম অতি জরুরী। মেয়েদের শরীর দুর্বলতা দূর করার জন্য প্রতিদিন ঘুমানোর আগে এক গ্লাস করে গরম দুধ খেতে পারে। এবং ঘুম থেকে উঠে কয়েকটি খেজুর এবং কিসমিস খাওয়া যেতে পারে। এ সকল খাদ্য এবং বিশ্রাম ঠিকমতো নিলেই শরীর দুর্বলতা দূর হয়ে যাবে।

শরীর দুর্বল এর ওষুধ

অনেকে রয়েছে শরীর দুর্বল হয়ে পড়লে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই বিভিন্ন ধরনের ঔষধ খেয়ে থাকে। কিন্তু এটি মোটেও ঠিক নয় কারণ কিসের জন্য দুর্বলতা দেখা দিতে পারে কেউ পরীক্ষা নিরক্ষা ছাড়া বলতে পারবে না তাই কেউ কখনোই শরীর দুর্বল হওয়ার পর ঔষধ সেবন করবেন না। আপনি যদি ঔষধ সেবন করতে চান তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ভিটামিন ঔষধ খেতে পারেন।

তবে আমি বলব শরীর দুর্বল হলে পুষ্টিকর খাদ্য খাওয়া উচিত। কেন না পুষ্টিকর খাদ্য শরীরের দুর্বলতা এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। তার সঙ্গে যে কোন সমস্যা দূর করতে সক্ষম হয়। তাই প্রিয় বন্ধুরা দুর্বল যেই হোক না কেন অবশ্যই ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রন এবং প্রোটিন জাতীয় খাদ্য যেন গ্রহণ করে। তার সঙ্গে বেশি বেশি পানি পান করার অভ্যাস তৈরি করা উচিত।

শরীর বেশি দুর্বল হয়ে পড়লে অথবা শারীরিক দুর্বলতার সম্মুখীন হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত। তাই বেশি সমস্যা হলে নিজেই নিজে হাত বাড়িয়ে কোন কিছু করতে যাবেন না কারণ এর জন্য উপকারিতা চেয়ে অপকারিতার সম্ভাবনা বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

উপস্থাপনা-শরীর দুর্বল হওয়ার লক্ষণ এবং এর প্রতিকার

প্রিয় পাঠক, আপনি হয়তো এতক্ষণে জেনে গেছেন শরীর দুর্বল হওয়ার লক্ষণ এবং এর প্রতিকার সম্পর্কে। আশা করি এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনার ধারণা হয়ে গেছে কিভাবে শরীর দুর্বলতা হলে চিকিৎসা নেয়া উচিত এবং কি খাওয়ার খাওয়া উচিত। আপনি যদি কোন কিছু না বুঝতে পারেন তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে প্রশ্ন করতে পারেন আমরা অবশ্যই আপনার প্রশ্নের উত্তর দিয়ে সহযোগিতা করব।

এই পোস্টটি পড়ে আপনার কেমন লাগলো অবশ্যই মতামত দিয়ে আমাদের উৎসর্গ করবেন। এই ধরনের আর্টিকেল পড়ার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটটি রেগুলার ভিজিট করুন। এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ এবং এ আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url