বাচ্চাদের কি খাওয়ালে ব্রেন ভালো হয় সে সম্পর্কে জানুন

শরীর স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায়-নিয়মপ্রিয় পাঠক, আপনি কি বাচ্চাদের কি খাওয়ালে ব্রেন ভালো হয় সে সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে সঠিক জায়গাতেই আপনি এসে গেছেন। কারণ এই আর্টিকেলটি মাধ্যমে বাচ্চাদের কি খাওয়ালে ব্রেন ভালো হয় সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। তাই শেষ পর্যন্ত সঙ্গে থেকে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
বাচ্চাদের কি খাওয়ালে ব্রেন ভালো হয়
আপনার সন্তানকে নিয়ে আপনি যদি চিন্তিত থাকেন, তাহলে এই পোষ্টের মাধ্যমে অনেক কিছুই আপনি জানতে পারবেন। এবং বাচ্চাদের কি খাওয়ালে ব্রেন ভালো হয় সে সকল সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। এখন প্রধান সমস্যা হচ্ছে শিশুদের মেধাবিকাশের নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এই সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসার জন্যই এই আর্টিকেলটি লিখতে বসেছি। তাই চলুন দেরি না করে বাচ্চাদের কি খাওয়ালে ব্রেন ভালো হয় সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন।

পোস্ট সূচিপত্রঃ বাচ্চাদের কি খাওয়ালে ব্রেন ভালো হয় সে সম্পর্কে জানুন

ভূমিকা-বাচ্চাদের কি খাওয়ালে ব্রেন ভালো হয়

বাচ্চাদের পুষ্টিগুণের অভাব থাকলে ব্রেনের কার্যকরী ক্ষমতা কমে যায়। এর জন্য শিশুদের মেধা বিকাশের জন্য অবশ্যই নজরদারি করা উচিত। বিশেষ করে মায়েদের সন্তান লালন পালন করার জন্য সব দায়িত্ব একটি মেয়ের উপরেই বেশি থাকে। তার পাশাপাশি তার বাবারও সহযোগিতা করা উচিত, পাশাপাশি খাওয়ার দলের ওপর তাকেও নজরদারি করা উচিত।

বাচ্চাদের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির উপায়

বর্তমানে শিশুদের মেধাবিকাশে নানা ধরনের সমস্যার প্রবণতা দেখা দিচ্ছে। এবং বাচ্চাদের স্মৃতিশক্তির মূল কারণ হচ্ছে আল্লাহর সর্বোত্তম নেয়ামত। এবং নিজের হাতেও কিছু রয়েছে যেগুলো মেনে চললে বাচ্চাদের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পাবে। কিছু খাদ্যের ওপর নির্ভর করে বাচ্চাদের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায় এবং স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির পাশাপাশি বুদ্ধিও বাড়ে। এর কারণে পড়াশোনায় ভালো দক্ষতা অর্জন করে।

শিশুদের স্মৃতিশক্তির জন্য সময়মতো খেলাধুলা করানোর অভ্যাস তৈরি করুন। খেলাধুলার ওপর বাচ্চাদের নির্ভর করে স্মৃতিশক্তি। তাই আপনি আপনার বাচ্চাকে আপনার মত করে খেলাধুলা করার জন্য জায়গা করে দিন এবং বন্ধুদের সঙ্গেও খেলার ব্যবস্থা করে দিন। খেলাধুলা করলে মন-মানসিকতা এবং শরীর-স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।

স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর জন্য সঠিক পরিমাণে পুষ্টিকর খাদ্য খাওয়া ও ব্যায়ামের উপর বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। যত বেশি ব্যায়াম করবে তত বেশি স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পাবে এবং রক্ত সঞ্চালন হওয়া শুরু করবে। মেধা বিকাশের জন্য শিশুদের দৌড়ঝাঁপ এবং নিয়মিত ব্যায়াম করার সুযোগ করে দিন। শিশুদের ছোট থেকেই খেলাধুলার প্রতি আকর্ষণ তৈরি করুন।

তবে খেয়াল রাখতে হবে কোন কিছুতে যেন বেশি পরিমাণে আসক্ত হয়ে না পড়ে। এতে উপকারী চেয়ে অপকারিতা দেখা দিতে পারে। তাই সতর্কতার সঙ্গে শিশু লালন পালন করার ব্যবস্থা করুন। অনেক পরিবারেই রয়েছে শিশুকে দিয়ে প্রতিযোগিতার জন্য লড়াই করে কিন্তু বাচ্চাদেরকে আনন্দের জন্য সুযোগ করে দেয়া উচিত তাকে নিয়ে প্রতিযোগিতা করা মানসিক চাপ দেওয়া একই ব্যাপার।

শিশুর মানসিক বিকাশের জন্য সবচেয়ে বেশি দরকার কি

শিশুদের মানসিক বিকাশের জন্য অবশ্যই কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস জরুরী। যেগুলো মেনে চললে শিশু সুস্থ ও শারীরিকভাবে বেড়ে উঠবে। আমরা শিশুদের যত্নের প্রতি প্রচুর পরিমাণে অনীহার্য করে থাকি এর ফলে শিশুদের মেধাবিকাশের নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে। সাধারণভাবে আমরা শিশুর শারীরিক সুস্থতাকে যেভাবে মনোযোগ দেই ঠিক এই ভাবেই শিশুর মানসিক বিকাশেও নজরদারি করা উচিত।

তাই চিকিৎসকরা কিছু ব্যাপারে বলে রেখেছেন। সেগুলো ঠিকঠাক ভাবে শিশুদের মানসিক বিকাশের জন্য তৈরি করতে সক্ষম হয়। কয়েকটি বিষয়ে জানা জরুরী এবং শিশু মানসিক বিকাশের জন্য সবচেয়ে বেশি দরকার আসন জেনে নিন-

খেলাধুলা-শিশুকে এমন ধরনের খেলনার ব্যবস্থা করে দিন যেগুলো বাইরে এবং ঘরেও বসে থেকে খেলা করতে পারে। কারণ এ ধরনের খেলনা খেললে শিশুর মানসিক বিকাশ খুব সহজেই বৃদ্ধি করবে। পাশাপাশি এমন ধরনের খেলা গুলো খেলানো দরকার যেগুলো খেললে শিশুর ব্রেন বুদ্ধি করতে সাহায্য করবে।

ছবি আঁকা-অনেকেই ছবি আঁকা খুবই পছন্দ বোধ মনে করেন। এবং শিশুদের মেধাবী কাজের জন্য ছবি আঁকা ব্রেন বুদ্ধির জন্য বেশ কার্যকারী। তাই আপনার শিশুকে ছবি আঁকার সুযোগ করে দিন এবং মনোযোগ সহকারে শেখানোর চেষ্টা করুন। শিল্পকলা জন্য শিশুদের মেধা এবং ব্রেন ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

বই পড়া-বাচ্চাদেরকে পড়াশোনায় অভ্যস্ত করুন। এবং খেলাধুলার পাশাপাশি সময় পেলেই এক ঘন্টা যেকোনো সময় পড়াশোনা করার জন্য সুযোগ করে দিন। এবং সাধারণ বইগুলো পড়ানোর চেষ্টা করুন। আপনাকে মনে রাখতে হবে শিশুদের ছোট বয়স থেকেই পড়াশোনা করার প্রতি আসক্ত করে তুলতে হবে। বেশি বেশি শিক্ষানীয় গল্পের বই পড়ানোর চেষ্টা করুন এবং অভ্যাস গড়ে তুলুন।

বাচ্চাদের স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর উপায়

বাচ্চাদের স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর জন্য পরিমাণ মতো পুষ্টিকর খাদ্য খাবার তালিকায় নিয়মিত রাখার চেষ্টা করুন। কারণ শিশুকালে খাদ্যই পারে তার ব্রেন বুদ্ধি বৃদ্ধি করতে। তাই তাকে প্রতিদিন প্রোটিন এবং ভিটামিন মূলক খাদ্য খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করুন। তার সঙ্গে এনার্জি ফিরে আসে এই ধরনের পুষ্টিকর খাদ্য খাবার তালিকা।

বাচ্চাদের স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর জন্য প্রতিদিন নিয়মিত গরুর দুধ পান করান। তার সঙ্গে এক দুই পিচ খেজুর ও কিসমিস খাওয়ানোর অভ্যাস তৈরি করুন। এবং বাদাম জাতীয় খাদ্য খাওয়ান। পুষ্টিকর খাদ্য পেলেই বাচ্চা দ্রুত বেড়ে উঠবে এবং তার সঙ্গে স্মৃতিশক্তির বাড়ানোর প্রবণতা দেখা দিবে। তাই আপনার শিশুকে খাদ্যের উপর যত্নশীল হওয়ার চেষ্টা করুন।

স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির ঔষধ

স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করার জন্য তেমন কোনো ঔষধ নেই। তবে খাদ্যের উপর নির্ভরশীল হতে হবে এবং অতিরক্ত চিন্তামুক্ত থাকতে হবে। কারণ অতিরিক্ত চিন্তামুক্ত এবং টেনশন ভোগ করলে স্মৃতিশক্তি হারানোর সম্ভাবনা রয়েছে তাই অবশ্যই আপনার ব্রেন কে রেস্ট দিন এবং বিশ্রাম নিন। অতিরিক্ত কাজকে না বলুন কারণ অতিরক্ত কোন কিছুই ভালো নয়।

আপনার মস্তিষ্কের উপর চাপ পড়ে এরকম ধরনের কোন কাজেই করবেন না। এবং ৭-৮ ঘন্টা ঘুমান, ঘুম যদি ঠিকমতো না হয় তাহলে স্মৃতিশক্তি সমস্যা দেখা দিতে পারে এবং যেকোনো সময় যে কোন জিনিস রাখলে ভুলে যাওয়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে। স্মৃতিশক্তির জন্য আপনি ভিটামিন মূলক খাদ্য খেতে পারেন যেমন শাকসবজি এবং প্রোটিন জাতীয় খাদ্য খাবার তালিকায় নিয়মিত রাখুন।

কি খাওয়ালে বাচ্চাদের বুদ্ধি বাড়ে

বর্তমানে বাচ্চাদের কম বয়সেই ভালই কথাবার্তা শিখে যায়। কিন্তু পড়াশোনা অথবা নানা ধরনের জ্ঞান বুদ্ধির অবসান ঘটে। তাই মেধা বিকাশের জন্য অবশ্যই প্রোটিন এবং ভিটামিন প্রচুর পরিমাণে খাওয়া উচিত। অনেকেই প্রশ্ন করেছেন কি খাওয়ালে বাচ্চাদের বুদ্ধি বাড়ে? অনেক খাদ্যই রয়েছে যেগুলো খেলে শিশুদের বুদ্ধি বৃদ্ধি পায়।
  • গরুর দুধ
  • খেজুর
  • কিসমিস
  • খাটি মধু
  • কমলা লেবু
  • আঙ্গুর
  • ডালিম
  • বাদাম
  • লাউয়ের বীজ

এ সকল ফলমূল নিয়মিত বাচ্চাদের খাওয়ালে বুদ্ধির বিকাশ খুলে যায়। এবং শরীর স্বাস্থ্য বৃদ্ধি পায় তার সঙ্গে শরীরের হাড় গঠনে সহযোগিতা করে। তাই অবশ্যই বাচ্চাদেরকে ফলমূল বেশি পরিমাণে নিয়মিত খাওয়ানোর অভ্যাস করুন। বাচ্চারা হয়তো খেতে অপছন্দ বোধ মনে করতে পারে অথবা খেতে না চাই তাও জোর করে খাওয়ানোর অভ্যাস তৈরি করুন।

শিশুর ব্রেইন ডেভেলপমেন্ট

শিশুদেরকে বেশি চাপ দিবেন না অনেকে রয়েছে শিশুদের অনেক ধরনের চাপ সৃষ্টি করে এর ফলে শিশু দুর্বল হয়ে পড়ে। আর ব্রেন অকেজ হয়ে যায় এর জন্যই শিশুদেরকে সবসময় হাসিখুশি রাখার চেষ্টা করুন। শিশুর ব্রেন ডেভেলপমেন্ট হবে তার হাসিখুশি এবং খেলাধুলা আর খাওয়া-দাওয়ায় তাই এ তিনটি জিনিস সবসময় আপনার শিশুর পেছনে রাখুন।

শিশুর পুষ্টির অভাব থাকলে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে যেমন-অতিরিক্ত কান্নাকাটি, ঠিকমতো না খাওয়া, খেলাধুলা না করা, হাসিখুশি না থাকা এবং সবসময়ই অমনোযোগী ভাব ইত্যাদি। তাই অবশ্যই পুষ্টিকর খাদ্যের পাশাপাশি চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে বাচ্চার প্রতি মনোযোগী হয়ে উঠুন। কারণ বাচ্চা সঠিকভাবে মানুষ করতে হলে ছোট থেকেই সবকিছু মেন্টেন করা জরুরী।

আপনি যদি ঠিকমতো শিশুর যত্ন না নিতে পারেন তাহলে শিশুর ব্রেন ডেভেলপমেন্ট থেকে ছিটকে পড়বে। আর পরবর্তী সময়ে নানা ধরনের সমস্যায় পড়তে হতে পারে, তাই শিশুর যত্নের ওপর নজরদারি করুন এবং খাওয়া দাওয়ায় অমনোযোগী থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খাওয়া-দাওয়ার ওপর নির্ভরশীল হন।

উপস্থাপনা-বাচ্চাদের কি খাওয়ালে ব্রেন ভালো হয়

প্রিয় পাঠক, আশা করি আপনি বাচ্চাদের কি খাওয়ালে ব্রেন ভালো হয় সে সম্পর্কে বিস্তারিত এতক্ষণে জেনে গেছেন। শিশুদের নিয়ে অভিভাবকের সব সময় চিন্তিত থাকতে হয় সবচেয়ে চিন্তার বিষয় হচ্ছে শিশুদের ব্রেন বৃদ্ধির যে বিষয়টি এটা নিয়ে তাই শিশুকে সঠিক মাত্রায় যত্ন সহকারে গড়ে তুলুন তাহলে অবশ্যই আপনার শিশুর ব্রেন এবং স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পাবে তার সঙ্গে পুষ্টিকর খাদ্য সবসময় রাখুন।

এই আর্টিকেলটি আপনার কেমন লাগলো অবশ্যই কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে আমাদের জানাবেন। এবং আপনি যদি কোন কিছু না বুঝতে পারেন তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে প্রশ্ন করবেন অবশ্যই আমরা সে প্রশ্নের উত্তর দিয়ে সহযোগিতা করব। এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url