১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস কি এবং এর গুরুত্ব কি জেনে নিন

প্রিয় পাঠক, আপনি কি ১৬ই ডিসেম্বরের বিজয় দিবস কি এবং এর গুরুত্ব জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আপনি সঠিক জায়গাতেই পৌঁছে গেছেন কারণ ১৬ই ডিসেম্বরের বিজয় দিবস কি এবং এর গুরুত্ব কি সে সম্পর্কে বিশেষ আলোচনা করব। ১৬ই ডিসেম্বর আমাদের একটি আনন্দ দিন এবং এই দিনে দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধের পর 1971 সালের 16ই ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনীরা প্রায় ৯১ হাজার ৬৩৪ জন আত্মসমর্পণ করেন।
১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস কি এবং এর গুরুত্ব কি
এর জন্যই ১৬ই ডিসেম্বর আমরা বিজয় দিবস পালন করে থাকি। এবং সেটি আমাদের মহান বিজয়ের দিন এবং বাংলাদেশে প্রতি বছরেই ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবস পালন করা হয়। তার সঙ্গে বাংলাদেশের জাতীয় দিবস হিসাবে পরিচিত রয়েছে একই সঙ্গে সেই দিন সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়। 16 ডিসেম্বর বিজয় দিবস কি এবং এর গুরুত্ব কি এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে বিস্তারিত আলোচনা করব। তো চলুন বন্ধুরা দেরি না করে আজকের আর্টিকেলটি শুরু করা যাক।


পোষ্ট সূচিপত্রঃ ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস কি এবং এর গুরুত্ব কি জেনে নিন



ভূমিকা-১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস কি এবং এর গুরুত্ব কি

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে যে সকল বিষয়ে আলোচনা করব এবং ১৬ই ডিসেম্বরের বিজয় দিবস কি কি এবং এর গুরুত্ব কি? এসব বিষয়ে যেগুলো আলোচনা করব-যেমন ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস বক্তব্য, ১৬ ডিসেম্বর কি দিবস, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর কি বার ছিল, বিজয় দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য, ১৬ ডিসেম্বরের গুরুত্ব, বিজয় দিবস কেন বলা হয়, স্বাধীনতা দিবস ও বিজয় দিবসের মধ্যে কি ঘটেছিল এই সকল বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।

১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস বক্তব্য

১৯৭১ সালে ১৬ তারিখ ডিসেম্বর মাস যে বক্তব্যটি বিষয় উপলক্ষে দিয়েছিলেন চলুন জেনে নেই এবং স্পষ্টভাবে বুঝে নেই।

মা আমি ফিরে এলাম তোমার বুকে কিংবা মাটির বুকে,

বুঝে নাও রক্তের দামে কেনা তোমারে রক্তাক্ত বিজয়।

অদ্যকার বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত সভার মধ্যমণি সম্মানিত সভাপতি সাহেব, বিশিষ্ট শিক্ষক, আরো উপস্থিত শ্রদ্ধেয় অতিথি বিন্দু এবং আমার প্রাণাধিক প্রিয় সহপাঠীবৃন্দ সকলকে আমার পক্ষ থেকে জানাই বিজয়ের শুভেচ্ছা ও সালাম।।

১৯৭১ সাল ডিসেম্বরের মাস ১৬ তারিখ।

আমাদের বিজয় এই স্বাধীনতার বিজয়, যা বাঙালির ইতিহাস সর্বোপরি বিশ্ব ইতিহাসে নজির বিহীন।

৩০ লক্ষাধিক মানুষের প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত এ বিজয়। মা বোনের সংরক্ষিত সম্ভমের লুট পাটে এ বিজয়। আমরা সেই সব আলোকিত মানুষকে স্মরণ করছি যাদের আলোর পরশে এসেছে মুক্ত মনে বাঁচার অধিকার। এরা সূর্যসন্তান এ বাংলার।

প্রাণের মায়া ত্যাগে যারা দিল এ বিজয় তাদের হাজারো সালাম। কত অন্তরায় কত বাধা পেরিয়ে বিজয় অর্জন। হাজারো দেশদ্রোহী জঙ্গলে উত্তপ্ত ছিল এ মাটি। দেশদ্রোহী সন্তানেরা আজ নিশ্চিহ।

যারা প্রাণ দিল তারাই ছিল জয়ের সারথি।

মা মাটি চাই, চাই ওরা মায়ের স্বাধীনতা যেখানে থাকবে না চলার পথে কোন অবৈধ নিয়ন্ত্রণ।

তাই কবি বলেছেন এভাবেই,

এ আমার মায়ের মাটি আমার ভাইয়ের রক্তের

প্রতিদানে ভাষার দেশ।

আমাকে নিষেধ করোনা মা।

তোমার অস্তিত্ব আমাকে রক্ষা করতে হবে।

ভেবে নাও মা আমি ফিরব বিজয় নিয়ে রক্তের দামে।

বিজয়ের সুখ পেল বাঙালি। উজ্জীবিত বাংলার আকাশ বাতাস বিজয়ের সর্বঞ্জনে।

বিজয়ের ৪ দশক পরে এ বাংলার মাটিতে বিজয়ের সেই সুখটা হারাতে বসেছে। বাঙালি আজ বিভক্ত স্বার্থের মায়াজালে। নিজের সুখকে আঁকড়ে ধরে বাঁচার চেষ্টা প্রাণপণে। অদূর ভবিষ্যতে এর চিত্র বিরাজ করলে বাঙালি সামান্য আঘাতে অস্তিত্ব হারাবে তা বলাই বাহুল্য।

তাই সকল বাংলার মানুষের প্রতি আমার করোজরে নিবেদন এই দেশটাকে ভালবেসে মা মাটির অস্তিত্ব রক্ষার্থে এ বিজয় দিবসের মহত্ব নিয়ে আমরা আবার সেই বাঙালি হয় যেখানে অজ্ঞবিজ্ঞ উঁচুনিচুর দৌড়ান্ত নেই। তবেই পাবো আমরা সত্যিকারের বিজয় নতুবা এ বিজয় শুধুমাত্র।

সকলকে আবারও বিজয়ের শুভেচ্ছা বিদায় নিচ্ছি।

১৬ ডিসেম্বর কি দিবস

16 ডিসেম্বর আসলেই কি দিবস? 16ই ডিসেম্বর আমাদের বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা দিবস। এই দিনটি বাংলাদেশ সহ ভারত বিজয় দিবস উপলক্ষে উদযাপন করে থাকে। তারা পালন করার কারণ হচ্ছে ১৯৭১ ভারতীয় সেনারা মুক্তিবাহিনীর কাছ থেকে ঢাকায় আত্মসমর্থন করেছিল পাকিস্তান বাহিনীরা। কিন্তু ভারতেরই একটি বড় দল রাজনৈতিক, বিচ্ছিন্নবাদী আন্দোলনের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে।

ভারতীয় সেনা ও মুক্তিযোদ্ধারা ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রামে তাদেরকে ঘিরে ফেলে রেখেছিলেন। এবং এর ভিতরে প্রায় সাদা আটশ জন মেজ গিরিলা গুলো আরকানে পালিয়ে যেতে হয়েছিল। এর জন্য ভারতীয়রা এখনো এই দিনকে নিকৃষ্ট মনের দিন হিসাবে উদযাপন করে থাকে।

১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর কি বার ছিল

১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর আমাদের মহান বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়। ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার ছিল। ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর সোহরাওয়ার্দী মাঠে বাংলাদেশ এবং ভারতের কাছে পাকিস্তানি রা আত্মসমর্পণ করেছিলেন। এরপরেই সবাই একইসঙ্গে ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে বলে ওঠেন জয় বাংলা।।

বিজয় দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য

এই বিজয় দিবস ১৯৭২ সাল থেকেই রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করা হয়ে থাকে, এবং এই দিন সরকারিভাবে সবকিছু ছুটি থাকে। এখন ডিসেম্বর মাস চলছে। আর এই ডিসেম্বর মাস মানেই আমাদের বিজয়ের মাস। এ বিজয় ডিসেম্বর এর ১৬ তারিখে গোলামী জীবনের অবসানের মধ্য দিয়ে আমাদের স্বাধীনতা চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করেন। এবং এই এই উপলক্ষেই আমাদের দেশে সারা বছর ডিসেম্বর মাস আসলেই মহান বিজয় দিবস পালন করে থাকে।

১৬ ডিসেম্বরের গুরুত্ব

১৬ই ডিসেম্বর আমাদের জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। এই দিনে টানা ৯ মাস যুদ্ধের পর 1971 সালের 16 ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনী প্রায় ৯১,৬৩৪ সদস্য আত্মসমর্পণ করে। এর ফলেই আমাদের রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ স্বীকৃতি ঘটে। এর জন্যই এই উপলক্ষে প্রতি বছরই ডিসেম্বর মাসের ১৬ তারিখে বিজয় দিবস পালন করা হয়ে থাকে। আর এর জন্যই ১৬ ডিসেম্বরের এত গুরুত্ব দেওয়া হয়।

বিজয় দিবস কেন বলা হয়

আসলেই বিয়াই দিবস কেন বলা হয়? বলা হয় এর কারণেই কারণ ১৯৭১ সালে ১৬ই ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনীরা আত্মসমর্পণ করেছিলেন। এর মধ্য দিয়ে আমাদের বাংলাদেশ বিজয়ের দেখা পেয়েছিল এর কারণেই বিজয় দিবস বলা হয়। আর রাষ্ট্রীয়ভাবেই এই বিজয় দিবস উদযাপন করে থাকে।

স্বাধীনতা দিবস ও বিজয় দিবসের মধ্যে কি ঘটেছিল

আমাদের স্বাধীনতা দিবস হচ্ছে ২৬ শে মার্চ, মানে এই ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চেই বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয় স্বাধীনতা লাভ করে। আর আমাদের মহান বিজয় দিবস হচ্ছে ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর অর্থাৎ ১৬ই ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধারা সকলেই জয়ী হয়েছিলেন। এর জন্যই স্বাধীনতা দিবস ও বিজয়ের দিবসের মধ্যে দিয়েও স্বাধীনতা বলা যায়। কারণ বাংলাদেশের বিজয় দিবসের দিনকেই প্রকৃতভাবে স্বাধীনতা দিবস।

২৬ শে মার্চ মূলত জাতীয় মুক্তিযুদ্ধ দিবস কারণ স্বাধীনতা ঘোষণা দেওয়া আর স্বাধীন হওয়া একই নয় এর জন্যই ১৬ই ডিসেম্বর বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন।

উপস্থাপনা-১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস কি

প্রিয় পাঠক, আপনি হয়তো এতক্ষণে স্পষ্টভাবে জেনে গেছেন ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবস কি এবং এর গুরুত্ব কি সে সম্পর্কে আশা করি বিস্তারিত জেনে গেছেন। এ পোস্টটি পড়ে আপনার কেমন লাগলো অবশ্যই কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাবেন। এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url