অনলাইন থেকে ভোটার আইডি কার্ড বের করার নিয়ম জানুন
১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট করতে কি কি লাগেপ্রিয় পাঠক, আপনি কি অনলাইন থেকে ভোটার আইডি কার্ড বের করার নিয়ম জানতে
চাচ্ছেন? তাহলে সঠিক জায়গাতেই আপনি পৌঁছে গেছেন কারণ অনলাইন থেকে ভোটার আইডি
কার্ড বের করার নিয়ম সম্পর্কে আমি বিশেষ আলোচনা করব। অনেকেই চাই নির্বাচন অফিসে
গিয়ে ঝামেলাতে না পড়ে অনলাইন থেকে ভোটার আইডি কার্ড সংরক্ষণ করার।
তাই বিভিন্ন ওয়েবসাইটে সার্চ করে অনলাইন থেকে ভোটার আইডি কার্ড বের করার নিয়ম
জানতে চাই? এবং সঠিকভাবে অনেকেই অনলাইন থেকে ভোটার আইডি কার্ড সংরক্ষণ করতে
পারেনা এর জন্যই মূলত আমি অনলাইন থেকে ভোটার আইডি কার্ড বের করার নিয়ম সম্পর্কে
লিখতে বসেছি। আপনি যদি সহজেই অনলাইন থেকে ভোটার আইডি কার্ড বের করতে চান, তাহলে
এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
পোস্ট সূচীপত্রঃ অনলাইন থেকে ভোটার আইডি কার্ড বের করার নিয়ম
ভূমিকা
ভোটার আইডি কার্ড আমাদের দেশের জাতীয় পরিচয় পত্র হিসাবে পরিচিত। এই জাতীয়
পরিচয় পত্র না হলে কোন কিছুই করা সম্ভব নয়। তাই দেশের নাগরিক হিসাবে জাতীয়
পরিচয় পত্র করাটা বাধ্যতামূলক, এর জন্যই জাতীয় পরিচয় পত্র করার পর অনেকেই
অপেক্ষা করে কিন্তু নির্বাচন অফিসের আগেই অনলাইনে খুব সহজেই ভোটার আইডি কার্ড
সংরক্ষণ করা যায়।
ভোটার নাম্বার দিয়ে আইডি কার্ড বের করার নিয়ম
আপনি কি জানেন অনলাইন থেকেই ভোটার নাম্বার দিয়ে আইডি কার্ড বের করা সম্ভব? যদি
না জানা থাকে তাহলে আজকের পোষ্টের মাধ্যমে খুব সহজেই আপনি ভোটার নাম্বার দিয়ে
আইডি কার্ড বের করতে পারবেন। সাধারণত আমরা যখন ভোটার আইডি কার্ডের জন্য আবেদন করি
এরপর আবেদন সম্পন্ন হয়ে গেলে তারা আপনাকে একটি স্লিপ প্রদান করে সেই স্লিপের
মাধ্যমেও আপনি অনলাইন থেকে ভোটার আইডি কার্ড সংরক্ষণ করতে পারবেন।
ভোটার স্লিপ নাম্বার মানে হচ্ছে আপনাকে যে স্লিপটি প্রদান করা হয়েছে সেখানেই
কয়েক সংখ্যার নম্বর দেওয়া হয়েছে। আর সেই স্লিপের নম্বর দ্বারা আপনার ভোটার
আইডি কার্ডটি অনলাইনে সংরক্ষণ করা যাবে। আর যদি আপনি স্লিপটি হারিয়ে ফেলেন তাহলে
ভোটার আইডি কার্ড সংরক্ষণের জন্য নানা সমস্যায় সম্মুখীন হতে হবে এবং অনলাইন
থেকেও আপনি ভোটার আইডি কার্ড সংরক্ষণ করতে পারবেন না।
তাই ভোটার স্লিপটি হারিয়ে যাওয়ার কারণে আপনার ইউনিয়ন পরিষদ অথবা নির্বাচন
অফিসে গিয়ে যোগাযোগ করতে হবে। এবং কিছু ডকুমেন্ট দিয়ে আবার ভোটার স্লিপটি
সংরক্ষণ করতে পারবেন। আমরা ভোটার আইডি কার্ডের জন্য যখন আবেদন করি, তারপরে অনেক
সময় লেগে যায় আমাদের হাতে ভোটার আইডি কার্ডটি আসতে। এর জন্য আপনি অনলাইনেই
ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন।
জাতীয় পরিচয় পত্র বের করতে হলে আপনাকে যা যা সঙ্গে রাখা উচিত-
- ভোটার আইডি কার্ড অথবা স্লিপ নাম্বার সঙ্গে রাখতে হবে।
- সঠিক জন্ম তারিখটি সঙ্গে রাখতে হবে।
ভোটার আইডি কার্ডের জন্য যারা নির্মাণ করেছেন তাদের অবশ্যই ভোটার নাম্বারটি বের
করতে হবে এবং ভোটার নাম্বার বের করার জন্য আপনার স্লিপ টা সঙ্গে থাকা
বাধ্যতামূলক। তাই চলুন জেনে নেই কিভাবে আপনি ভোটার আইডি কার্ডের নাম্বারটি
কালেক্ট করবেন।
ভোটার স্লিপটি সঙ্গে রেখে আপনাকে এখন একটি ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।
services.nidw.gov.bd এই ওয়েবসাইট ঢুকে মূল পেজে প্রবেশ করতে হবে এবং ভোটার
স্লিপ এবং সঠিক জন্ম তারিখ দিয়ে ক্লিক বাটনে ক্লিক করুন, এবং তখনই আপনি আপনার
ভোটার আইডি কার্ডের নাম্বার জানতে পারবেন।
একইভাবে আপনি যদি ভোটার নাম্বার দিয়ে আইডি কার্ড বের করতে চান তাহলে আবারও
services.nidw.gov.bd এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন এবং ভোটার স্লিপের নম্বর এবং
জন্মতারিখ টা প্রবেশ করে ক্যাপচার পূরণ করে সাবমিট করুন এবং দেখবেন আপনার ভোটার
আইডি কার্ড আপনার সামনে রয়েছে। এবং পাশেই লেখা আছে ভোটার তথ্য অথবা ডাউনলোড,
আপনি ডাউনলোড করলেই ভোটার আইডি কার্ড প্রিন্ট করে বের করে নিতে পারবেন।
আইডি কার্ড বের করার সফটওয়্যার
আইডি কার্ড বের করার জন্য কোন ধরনের সফটওয়্যার এর প্রয়োজন নেই। আপনি খুব সহজেই
google অথবা গুগল ক্রোম ব্যবহার করে আইডি কার্ড বের করতে পারবেন। তাই সফটওয়্যার
এর ঝামেলাতে না গিয়ে সরাসরি services.nidw.gov.bd এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে
আপনার আইডি কার্ড বের করুন অথবা আপনার আইডি কার্ডের তথ্য সংরক্ষণ করুন।
স্মার্ট আইডি কার্ড বের করার নিয়ম
আপনার এনআইডিটা স্মার্ট কিনা চেক করতে
services.nidw.gov.bd/nid-pub/card-status/এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন। এবং
এনআইডির নাম্বার লিখুন তারপর ফোন নাম্বার লিখে, জন্ম তারিখ লিখুন, দিয়ে ক্যাপচার
পূরণ করে সাবমিট বাটনে চাপ দিয়ে সাবমিট করুন। তাহলে আপনি যাচাই করতে পারবেন
আপনার স্মার্ট কার্ড টি সঠিক কিনা।
অনলাইন থেকে স্মার্ট কার্ড সংরক্ষণ করার ধাপগুলো জেনে নিন-
- services.nidw.gov.bd/nid-pub/card-status/এ লিংকে প্রবেশ করুন।
- এন আই ডি এবং ফরম নম্বর তার সঙ্গে জন্ম তারিখ লিখুন।
- তারপর ক্যাপচারটি পূরণ করে সাবমিট করে দিন।
- স্থায়ীও ঠিকানা সিলেক্ট করুন।
- আপনার যে নাম্বার দিয়ে এনআইডি কার্ড রেজিস্ট্রেশন করেছেন বা করবেন সেটাকে ভেরিফিকেশন করুন।
- তারপর অন্য একটি ফোনে একটি অ্যাপস ডাউনলোড করুন, nid wallet এই অ্যাপসটির মাধ্যমে আপনার ছবি ভেরিফিকেশন করুন।
- এরপর সবকিছুই ওকে আপনি লগইন করে স্মার্ট কার্ড বের করুন।
এই প্রসেসে এন আই ডি কার্ড ডাউনলোড করে আপনি যে কোন ফটোকপির দোকানে গিয়ে প্রিন্ট
করে এনআইডি কার্ড ব্যবহার করুন।
পুরাতন আইডি কার্ড বের করার নিয়ম
যারা পুরাতন আইডি কার্ড বের করতে যাচ্ছেন তাদের অবশ্যই থানাতে জিডি করতে হবে।
কারণ অনলাইনে শুধুমাত্র নতুনদের ভোটার আইডি কার্ড বের করার পারমিশন দিয়ে থাকে।
যারা পুরানো ভোটার এবং তারা এখনো ভোটার আইডি কার্ড হাতে পায়নি তাদের অবশ্যই জিডি
করে আইডি কার্ডের জন্য আবার রেজিস্ট্রেশন করার জন্যservices.nidw.gov.bd এই
ওয়েবসাইটে গিয়ে ভোটার আইডি কার্ডের আবেদন করুন।
আর যদি আপনি আবেদন করে থাকেন আর আবেদন যদি অনুমোদন পেয়ে যায় তাহলে আপনিও উপরের
প্রসেস অনুযায়ী ফরম পূরণ করলে অনলাইন থেকেই পুরাতন আইডি কার্ড বের করতে পারবেন।
ভোটার আইডি কার্ড চেক
ভোটার আইডি চেক করার জন্য নিজের ধাপগুলো অনুসন্ধান করুনঃ
- services.nidw.gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন অপশনে যান
- তারপর এনআইডির ফরম নম্বর অথবা স্লিপ নম্বরটি দিন, ফরম নম্বরের শুরুতে NIDFN লিখুন এবং সঠিক জন্ম তারিখ লিখুন।
- ক্যাপচার পূরণ করে তারপর সাবমিট করুন।
- সবকিছু কমপ্লিট হলে এনআইডি কার্ডের জন্য ঠিকানার অপশন আসবে।
- তারপর আপনার বর্তমান ঠিকানা এবং স্থায়ী ও ঠিকানা দিয়ে ভেরিফিকেশন করে আইডি কার্ড চেক করুন।
এই প্রসেসে আপনি আপনার ভোটার আইডি কার্ডটি খুব সহজেই অনলাইন থেকে চেক করতে
পারবেন। কোন নির্বাচন অফিসে গিয়ে ঝামেলা না করে ঘরে বসেই আপনার স্মার্ট ফোন
দিয়ে ভোটার আইডি কার্ড চেক করে দেখে নিন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url