ঘন ঘন জ্বর হওয়ার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জেনে নিন

শরীর দুর্বল হওয়ার লক্ষণ এবং এর প্রতিকারপ্রিয় পাঠক, আজকে আমরা জানবো ঘন ঘন জ্বর হওয়ার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে। আপনি যদি ঘনঘন জ্বরে আক্রান্ত হয়ে থাকেন তাহলে এই আর্টিকেলটি শুধুমাত্র আপনার জন্য হতে চলেছে। ঘন ঘন জ্বর হওয়ার কারণে শরীরের নানা ধরনের ক্ষতি হয়ে থাকে এবং আস্তে আস্তে রোগাপাতলা শরীর অনুভব হয়। এর জন্যই আমরা ঘন ঘন জ্বর হওয়ার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে বিশেষ আলোচনা করব।
ঘন ঘন জ্বর হওয়ার কারণ ও প্রতিকার
আপনি যদি ঘন ঘন জ্বর হওয়ার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়লেই আপনি সঠিকভাবে চিকিৎসার কারণ সহ প্রতিকার খুঁজে পাবেন। তাই চলুন দেরি না করে জেনে নিন ঘন ঘন জ্বর হওয়ার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে। এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়ুন আশা করি আপনার অনেক উপকারে আসবে।

সূচিপত্রঃঘন ঘন জ্বর হওয়ার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জেনে নিন

ভূমিকা-ঘন ঘন জ্বর হওয়ার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জেনে নিন

ঘন ঘন জ্বর হওয়ার কারণে আমাদের ভেতরে অনেকের টেনশন ও দুশ্চিন্তা শুরু হয়। আপনি যদি আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়তে পারেন। তাহলে অবশ্যই ঘন ঘন জ্বর হওয়ার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। কেননা আমরা বিভিন্ন চিকিৎসকের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করে থাকি। তাই চলুন দেরি না করে শুরু করা যাক।

শিশুর ঘন ঘন জ্বর হওয়ার কারণ

বিশেষভাবে দেখা গিয়েছে শিশুরা ঘন ঘন জ্বরে আক্রান্ত হয় মূলত যে কোন ভাইরাসের কারণে। আবার বিভিন্ন সময় জীবাণু অনুপবেশের বিরুদ্ধে লড়াই করার মাধ্যমে জ্বরে আক্রান্ত হয়। শিশুদের কিছু রোগ রয়েছে সে রোগগুলোর কারণে বারবার জ্বরে আক্রান্ত হতে পারে যেমন-যক্ষা, টাইফয়েড জ্বর সহ ম্যালেরিয়া হতে পারে।

আবার যদি জন্মগত কোন ধরনের ত্রুটি থেকে থাকে তাহলে প্রসাবে আক্রান্ত হয়ে জ্বর আসতে পারে। যদি একটি শিশু বারবার জ্বরে আক্রান্ত হয় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে। কেননা বারবার জ্বর আসার কারণ বড় কোন ধরনের সমস্যা হতে পারে যেমন-কিডনি সহ ক্যান্সারের ঝুঁকি থাকতে পারে। তাই অবশ্যই এ ধরনের সমস্যা হলে অথবা বারবার জ্বর আসলে তাৎক্ষণিক চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী শিশুর চিকিৎসা গ্রহণ করুন।

ঘন ঘন জ্বর আসার কারণ কি

সহকারী অধ্যাপক ডঃ তৌফিক আহমেদ বলেছেন, ঘনঘন জ্বর আসার কারণ অনেক কয়টায় হতে পারে। সবচেয়ে বেশি জ্বরে আক্রান্ত হয় যেসব কারণে যেমন-ঠান্ডা লেগে জ্বর হওয়া, সর্দি কাশির মাধ্যমে জ্বর হওয়া এছাড়াও শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি হলে জ্বর হওয়ার প্রবণতা দেখা দেয়। এছাড়াও শরীরে কোন ধরনের ব্যাকটেরিয়া ও যেকোনো ভাইরাসে আক্রান্ত হলে ইনফেকশনের মাধ্যমে জ্বর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

আরো রয়েছে ক্যান্সারের কারণেও জ্বর হতে পারে এবং ফাঙ্গাস ইনফেকশনের কারণেও জ্বর আসার সম্ভাবনা রয়েছে। কেউ যদি টিকা গ্রহণ করে এবং প্রসবের রাস্তায় ইনফেকশন হলে এছাড়াও মানসিকভাবে আঘাত পেলে জ্বর হয়। এবং অনেকে রয়েছে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভয় পেয়ে থাকে এর কারণে ও জ্বর আসার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও মরণঘাতী করোনাভাইরাসের কারণেও জ্বর আসতে পারে।

কোন ভিটামিনের অভাবে ঘন ঘন জ্বর হয়

আমাদের ভেতরে একটি কমন প্রশ্ন থেকে থাকে কোন ভিটামিনের অভাবে ঘন ঘন জ্বর হয়? এর জন্য আমরা কিছু ডক্টরের পরামর্শ নিয়ে কিছু টিপসের ব্যবস্থা করেছি এবং জানতে পেরেছি কি কি ভিটামিনের অভাবে ঘন ঘন জ্বর হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বেশি কিছু ভিটামিনের অভাবে জ্বর হয় না অল্প কিছু ভিটামিনের কারণেই জ্বর হওয়ার প্রবণতা দেখা দেয়।

আমাদের ভেতরে অনেকেই ঘনঘন জ্বরে আক্রান্ত হয়ে পড়ে এবং বিভিন্ন কারণেই জ্বরে আক্রান্ত হতে পারে। তার মধ্যে একটি বিশেষ কারণ হচ্ছে ভিটামিনের অভাব, শরীরের যদি ভিটামিন সি এর অভাব দেখা দেয় তাহলে জ্বর আসার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই ত্বক ও শরীরের নানা ধরনের যত্নের জন্য অবশ্যই ভিটামিন সি জাতীয় খাদ্য আমাদের খাওয়া উচিত।

ভিটামিন সি এর অভাবের কারণে জ্বর সহ নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে যেমন-দাঁতের মাড়ি দুর্বল হয়ে পড়া, ত্বকের উজ্জ্বলতা কমে যায়, চুল পড়া সমস্যা দেখা দেয়, ঘন ঘন জ্বর হতে পারে ইত্যাদি। ভিটামিন সি মানব দেহের জন্য একটি উন্নতম ভিটামিন। তাই অবশ্যই আপনারা ভিটামিন সি পর্যাপ্ত পরিমাণে খাওয়ার তালিকায় অবশ্যই রাখার চেষ্টা করুন।

বার বার জ্বর আসার কারণ

অনেকে রয়েছে কিছুদিন অন্তর অন্তর অথবা সপ্তাহে দুই একবার করে জ্বরে বারবার আক্রান্ত হয়ে থাকে। বারবার জ্বর আসার কারণ যেমন-যক্ষা, ম্যালেরিয়া, এইচ আইভি ইনফেকশন, শরীরের বিভিন্ন জায়গায় বিষ ফোড়া, ফুসফুস অথবা লিভারের সমস্যা, লিভার ও কিডনি সহ ক্যান্সার হওয়ার কারণে ও বারবার জ্বর আসার সম্ভাবনা দেখা দেয়।

এমনও রয়েছে অনেকের দীর্ঘ মেয়াদী জ্বর হয়ে থাকে। যদি কারো দীর্ঘমেয়াদী জ্বর শরীরে বাসা বেঁধে থাকে তাহলে অবশ্যই তাৎক্ষণিক চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। না হলে হিতে বিপরীত হতে পারে তাই অবশ্যই আপনারা হেঁয়ালি না করে সঠিক মাত্রায় চিকিৎসা গ্রহণ করবেন।

বাচ্চাদের ঘন ঘন জ্বর হলে করণীয়

অনেক শিশু রয়েছে তাদের ঘনঘন জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা দেখা দেয়। এর মূলত অনেক কারণই রয়েছে তা উপরে আলোচনা করা হয়েছে। এছাড়াও বাচ্চাদের ঘনঘন জ্বর হলে অবশ্যই তাদের বিশ্রামে রাখতে হবে। মাঝে মাঝে শিশুদের জ্বরের লক্ষণ খুঁজে পাওয়া যায় না তখন ধরে নিতে হয় এই রোগটি বা এই জ্বর ভাইরাসজনিত কারণে জন্য হতে পারে। এবং শিশুদের জ্বর হলে অবশ্যই পানি জাতীয় খাদ্য অথবা তরল খাদ্য খাওয়ানো উচিত।

ঘন ঘন জ্বর হলে করণীয়

বিভিন্ন সময় ঘন ঘন জ্বর হয়। তার মূলত কিছু কারণ ও রয়েছে যেমন আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে জ্বর হতে পারে। এছাড়াও সর্দি কাশি হতে পারে। তবে চিন্তার কিছু কারণ নেই এক দুই দিনের ভিতরেই জ্বর সর্দি কাশি ভালো হয়ে যায়। আর যদি দুই তিন দিনের ভেতরে অথবা এক সপ্তাহের ভিতরে জ্বর, সর্দি কাশি ভালো না হয় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ খেতে হবে।

ঘনঘন জ্বর হলে করণীয় যেমন-

বিশ্রাম-অসুস্থ অবস্থায় যতই আপনি বিশ্রাম নিতে পারবেন অথবা আরাম করতে পারবে ততই সুস্থতার দিকে ফিরে আসবেন। এছাড়াও জ্বর হলে সব সময় ঔষধ খাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। যদি জ্বরের সঙ্গে শরীর ব্যথা সহ মাথা ব্যথা এবং বমি বমি ভাব হলে তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ঔষধ খাওয়া উচিত।

তরল পানি-হঠাৎ করে ঘন ঘন জ্বর হলে তরল জাতীয় খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। কেননা আপনি যদি চিকিৎসকের কাছে পরামর্শ নিতে চান ঘন ঘন জ্বর হওয়ার কারণ বিষয়ে, তাহলে অবশ্যই তারা আপনাকে বলবে পানি অথবা বিভিন্ন তরল জাতীয় খাদ্য গ্রহণ করার জন্য। তাই জ্বর হলে অবশ্যই তরল জাতীয় খাদ্য খাওয়ার তালিকায় রাখুন।

উপস্থাপনা-ঘন ঘন জ্বর হওয়ার কারণ ও প্রতিকার

প্রিয় বন্ধুরা, আপনি হয়তো এতক্ষণে জেনে গেছেন ঘন ঘন জ্বর হওয়ার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে। তাই আপনি চাইলে এখন নিজেই জ্বর সম্পর্কে বন্ধু অথবা ফ্যামিলি সঙ্গে শেয়ার করতে পারবেন। আমাদের ভিতরে এরকম অনেকেই রয়েছে জ্বরে আক্রান্ত হয়। তো দীর্ঘমেয়াদি জ্বর হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহণ করবেন। এবং নিজের ও ফ্যামিলির যত্ন নেবেন।

এ ধরনের আর্টিকেল পড়ার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেন। এছাড়াও কোন কিছু যদি না বুঝতে পারেন তাহলে আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। এবং আর্টিকেলটি পড়ে আপনার কেমন লেগেছে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করুন। এতক্ষন আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ এছাড়াও এর আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য আবারো আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url