শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকার উপায় বিস্তারিত জানুন
শরীর দুর্বল হওয়ার লক্ষণ এবং এর প্রতিকারপ্রিয় পাঠক, আপনি কি শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকার উপায় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে এই আর্টিকেলটি শুধুমাত্র আপনার জন্য হতে চলেছে। কারণ এই পোষ্টের মাধ্যমে শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকার উপায় সম্পর্কে বিশেষ আলোচনা করব। আপনি যদি শারীরিকভাবে অসুস্থতায় ভোগেন তাহলে আশা করি এই পোস্টের মাধ্যমে খুব সহজেই শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকার উপায় সম্পর্কে জেনে যাবেন।
তাই দেরি না করে চলুন জেনে নিন শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকার উপায় সম্পর্কে। বিশেষ করে মানবদেহের জন্য সবচেয়ে বড় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে সুস্থ জীবন যাপনের। শরীর অসুস্থতা ও মন মানসিকতা যদি ঠিক না থাকে তাহলে কোন কিছুই ঠিক থাকে না। এটা সকলেই জানে কিন্তু মানতে পারে না, এর জন্যই শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকার উপায় সম্পর্কে আপনি সঠিকভাবে আর্টিকেলটির মাধ্যমে জানতে পারবেন। শারীরিক ও মানসিক ভাবে সুস্থ থাকার জন্য অবশ্যই এই আর্টিকেলটি আপনাকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।
পোস্ট সূচিপত্রঃ শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকার উপায় বিস্তারিত জানুন
ভূমিকা-শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকার উপায়
বর্তমানে সময়ের পরিবর্তে সবচেয়ে বেশি এখন যে সমস্যাগুলো দেখা যাচ্ছে সেগুলো হচ্ছে শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ অবলম্বন করা। এই অসুস্থতার কারণ হচ্ছে শারীরিক সমস্যা ও মানসিকভাবে দুর্বলতা। এগুলার কারণেই মূলত মানুষ চিন্তিত পাশাপাশি নানা রোগের সঙ্গে আক্রান্ত হয়ে পড়ছে। তাই এ সকল রোগ থেকে মুক্তি পেতে হলে অবশ্যই আপনাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকার অভ্যাস গুলো গড়ে তুলতে হবে।
এছাড়াও সুস্থ থাকার জন্য অবশ্যই স্বাস্থ্যকর খাদ্য খাওয়া দাওয়া করতে হবে। জীবন চলার পথে মস্তিষ্ককে সব সময় জাগিয়ে রাখা উচিত। না হলে নানা ধরনের সমস্যায় পড়তে হতে পারে, এছাড়াও শরীর স্বাস্থ্য ভালো রাখার পাশাপাশি শারীরিক ও মানসিকতা ঠিক রাখতে হবে। তাই এখন আলোচনা করব শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকার উপায় সম্পর্কে।
শরীর স্বাস্থ্য ভালো করার উপায়
শরীর স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে স্বাস্থ্যকর খাদ্য। স্বাস্থ্যকর খাদ্য ছাড়া আপনার শরীর ভালো রাখা সম্ভব নয়। এর জন্য খাদ্য তালিকায় অবশ্যই শাকসবজি পাশাপাশি পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করুন। এছাড়াও প্রোটিন জাতীয় খাদ্য খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। এছাড়াও শারীরিকভাবে ব্যায়াম অথবা হাঁটাহাঁটি করতে পারেন। শরীর স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায় গুলো নিচে দেওয়া হল-
ব্যায়াম-নিয়মিত প্রতিদিন শরীরচর্চা করাটা বাধ্যতামূলক করে তুলুন। কারণ নিয়মিত শরীরচর্চা করলে রক্তচাপ স্বাভাবিক করে তোলে এবং দৃষ্টিশক্তি উন্নত পর্যায় নিয়ে যায়। অথবা আপনি জিমে গিয়ে জিম করতে পারেন। এবং সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে অন্তত 30 থেকে 60 মিনিট ওয়ার্কআউট করার চেষ্টা করুন। নিয়মিত ব্যায়াম করলে আপনার মন-মানসিকতা ও শারীরিকভাবে ফিট রাখতে সাহায্য করবে।
পানি পান করুন-শরীর-স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য সবচেয়ে ভূমিকা পালন করে বেশি পানি। এর জন্য দেহের সুস্থতা বজায় রাখার খুবই জরুরী পানি পান করা। পানি হজমে সাহায্য করে, শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং মাংসপেশীর শক্তিশালী করে তোলে। এছাড়াও আপনি যে কোন ফলের রস খেতে পারেন, অথবা ডাবের পানি খেতে পারেন এগুলো ডায়েটের জন্য বেশ কার্যকারী হবে।
স্বাস্থ্যকর খাদ্য-শরীর-স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে সবজি খাওয়া দেহের জন্য অতি জরুরী এবং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সারাদিনে অন্তত চার পাঁচ রকমের সবজি খাবার তালিকায় রাখার চেষ্টা করুন। এবং সেগুলো আপনার পছন্দমত রাখতে পারেন। আপনি যদি ডায়েট কন্ট্রোল করতে চান তাহলে অবশ্যই সবজি খাদ্যের জন্য সবচেয়ে বেশি উপকারিতা পাওয়া সম্ভব।
শাকসবজির পরিমাণ বেশি হলে জরায়ু, পাকস্থলী, ফুসফুস, খাদ্যনালী, স্তন এবং ডিম্বাশয়ের ক্যান্সার হওয়া থেকে অনেকটাই ঝুঁকি কমে দেয়। একটি কথা মনে রাখবেন সঠিক খাদ্য আপনার ওজন ও শরীর স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে ভালো ফলাফল দেবে। এছাড়াও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে এবং শরীর স্বাস্থ্য সুস্থ বজায় রাখবে।
খাদ্য তালিকা থেকে ঠান্ডা পানীয় খাদ্য, ক্যান্ডি, চিপস বাইরের ফাস্টফুড এসব প্রজাতের খাদ্যগুলো থেকে বেরিয়ে আসা আপনার জন্য অতি জরুরী যদি আপনি সুস্থ থাকতে চান। কেননা এগুলো খাদ্য গ্রহণ করলে শরীরের যে সকল পুষ্টি যোগান দিতে সাহায্য করে সেগুলো কোষগুলো নষ্ট হয়ে যায় এর পাশাপাশি তুলনা মূলকভাবে শরীরে বেশি পরিমাণ ক্যালরি পৌঁছে দেয়।
আমাদের ভেতর চা-কফি খেতে পছন্দ করে না এরকম মানুষ খুবই কমই দেখা যায়। তবে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে দিনে আপনি কয় কাপ চা-কফি খাচ্ছেন। কারণ দুই কাপের বেশি চা কফি খেয়ে থাকলে আপনার ঘুমের ব্যাঘাত করতে পারে। তাই এর জন্য শরীর স্বাস্থ্যর ব্যাঘাত ঘটার সম্ভাবনাও রয়েছে।
শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ-অনেকেই ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে অলসতা বোধ করেন। কিন্তু ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখার জন্য অবশ্যই গুরুত্ব দেওয়া উচিত। কেননা শরীরে ওজন বয়সের চেয়ে বেড়ে গেলে শরীর স্বাস্থ্য খারাপ থাকাটা স্বাভাবিক হয়ে ওঠে। এর জন্য শরীর সুস্থ রাখার জন্য অবশ্যই ওজন নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করুন। পাশাপাশি যদি ওজন ঠিক না থাকে তাহলে আশেপাশে ডায়টিশিয়ান দের পরামর্শ নিন। এছাড়াও কোন ধরনের সন্দেহমূলক মনে হলে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
রাতে ভালো ঘুমান-শরীর-স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্য বিশ্রামের খুবই প্রয়োজন। রাতে ভালো ঘুমানোর জন্য কুসুম গরম দুধ খেতে পারেন। কেননা রাতে হালকা গরম দুধ খেলে রাতে ভালো ঘুমাতে সাহায্য করে। এবং রাতের প্রধান খাদ্য কমানোর আগে খাবেন না। কমপক্ষে এক থেকে দেড় ঘন্টা আগে রাতের খাদ্য গ্রহণ করুন। অতিরিক্ত চিন্তা থেকে বেরিয়ে আসুন এবং অন্ধকার রুমে ঘুমিয়ে পড়ুন।
নিজে ভালো থাকার উপায়
বর্তমানের সময়ে নিজেকে ভালো রাখা মুশকিল আসনে বসে গেছে। এবং এ সকল রোগ থেকে অনেকেই বেরিয়ে আসতে চাইলেও তা বেরিয়ে আসা সম্ভব হয় না। কিন্তু আপনার একটু বুদ্ধি থাকলে আপনি খুব সহজেই নিজেকে ভালো রাখতে সক্ষম হবেন। নিজেকে ভালো রাখতে কোন মন্ত্রর প্রয়োজন পড়ে না অথবা কোন অর্থের প্রয়োজন পড়ে না। তাই খুব সহজেই নিজেকে ভালো রাখা যেতে পারে কিছু টিপসের মাধ্যমে। তো চলুন জেনে নেই কি কি টিপস গুলো-
ইতিবাচক থাকুন-বিশেষ করে আপনি যে কাজটি করবেন সেটির ফল সেভাবেই পাবেন এটা অবশ্যই আপনি জানেন। এর জন্যই ভালো ফলাফলের জন্য অবশ্যই মনোযোগ সহকারে কাজ শুরু করুন। পরে কি হবে সেগুলো চিন্তা বাদ দিয়ে কাজে মনোযোগ দিন। আর নিজের প্রতি কনফিডেন্স তৈরি করুন। জীবনে চলার পথে দুইটি জিনিসই থাকে একটি ইতিবাচক অপরটি নেতিবাচক। তাই জীবনের চলার পথে সহজ করার জন্য সব সময় ইতিবাচক দিনগুলো বের করার চেষ্টা করুন।
নিজেকে ভালোবাসুন-নিজেকে সবার আগে ভালবাসার চেষ্টা করুন। নিজের প্রতি নিজেকে সময় দেওয়ার চেষ্টা করুন। কোন মানুষের ওপর ভরসা করে বসে না থেকে অথবা তাদের জন্য সময় নষ্ট না করে নিজের কাজে মনোযোগ দিন। অথবা পরিবারের সঙ্গে ভালো সময় পার করুন এছাড়াও পছন্দের কোন জায়গাতে ঘুরে আসতে পারেন। এগুলো করলে অবশ্যই আপনাকে আপনি ভালো রাখতে সক্ষম হবেন।
কৃতজ্ঞ থাকুন-দিনশেষে বাড়ি ফেরার পথে নিজেকে প্রশ্ন করুন আপনি কতটা সফল। এমনও রয়েছে অনেক মানুষ আপনার জায়গায় আসার জন্য অনেক তদবির করে যাচ্ছে। তাই নিজের প্রতি সবসময় শক্ত মনোবল সহ কনফিডেন্স রাখুন।
পরিবার ও বন্ধুবান্ধব-শরীর-স্বাস্থ্য ভালো রাখার পাশাপাশি মুনমেজাজ ভালো এবং আনন্দ রাখাটাও সবচেয়ে বেশি ভূমিকা পালন করে। তাই আশেপাশে আপনার যদি ভালো বন্ধু থেকে থাকে তাহলে তাদের সঙ্গে সময় কাটান। এছাড়াও তাদের সঙ্গে সুখ-দুঃখের গল্প করতে পারেন। এমনও সময় রয়েছে বন্ধুদের সঙ্গে সবকিছু শেয়ার করলে অনেক সময় উপকারিতা পাওয়া যায়।
নিজের উপর ভরসা রাখুন-নিজের প্রতি নিজেকে ভালোবাসা থেকে নিজেকে সান্ত্বনা দেওয়ার মত মজা আর কোথাও নেই। তাই যতই যাই হয়ে যাক না কেন নিজে কে বোঝার ক্ষমতা রাখুন। কেননা আপনি আপনার ক্ষমতার বোঝার মত আর কেউ নেই তাই নেতিবাচক এড়িয়ে চলুন এবং দিনশেষে বলে উঠুন আমি জয়ী এবং সফল ব্যক্তি।
মন ভালো করার উপায়
মন খারাপ মানেই শারীরিক সমস্যা নয় এটি একটি সাধারণ আবেগ কাজ করে। এছাড়াও নানা কারণেই আমাদের মন খারাপ হতে পারে এটা স্বাভাবিক বিষয়। যখন মন খারাপ থাকে তখন আশেপাশের কোন কিছুই যেন আর ভালো লাগেনা, এছাড়াও প্রিয় মানুষের কথাবাত্রা ও কেমন যেন অন্যরকম মনে হয়। কিন্তু অথচ কেউ চাইলেই কিছুক্ষণের ভিতরেই তার মন ভালো করা সম্ভব।
মন ভালো করার জন্য কয়েকটা পদ্ধতি রয়েছে-
প্রিয় মানুষ-আপনার যখন খুব বেশি করে মন খারাপ হবে তখন প্রিয় মানুষটির সঙ্গে গল্পের দুনিয়ায় হারিয়ে যান। তাকে বুঝতে দেবেন না আপনার মন খারাপ তাকে বলারও দরকার নেই আপনার মন খারাপ হয়ে আছে। অনেকে রয়েছে মন খারাপের সময় প্রিয় মানুষটিকে বলে আমাকে এখন একা থাকতে দাও এটা ভুল করেও বলবেন না।
মন ভালো করতে চাইলে অবশ্যই প্রিয় মানুষটির সঙ্গে সরাসরি কথা বলুন অথবা হাতে হাত রেখে কথা বলার চেষ্টা করুন দেখবেন আস্তে আস্তে আপনার মন আনন্দময় হয়ে উঠছে। আর যদি দুজনে গল্পের সঙ্গে মেতে গিয়ে থাকেন তাহলে তাকে বলুন আপনার মন খারাপের কথাগুলো এবং তাকে ধন্যবাদ দেওয়ার চেষ্টা করুন তাহলে তিনিও অনেকটা খুশি হয়ে যাবে।
স্বাভাবিক হন-মন খারাপ থাকলে চোখে মুখে ঠান্ডা পানি দিয়ে চোখমুখ ভালো মতো পরিষ্কার করুন। এছাড়াও দ্রুত গোসল সেরে নিতে পারেন কারণ ঠান্ডা পানি অথবা গোসল করে নিলে খুব সহজেই আপনি নিজেকে স্বাভাবিকভাবে রাখতে পারবেন এবং মন মানসিকতা ভালো হয়ে যাবে।
খেলাধুলা-মন খারাপ করে বাসায় কখনোই বসে থাকবেন না আশেপাশে ঘোরাঘুরি করুন অথবা বন্ধুদের সঙ্গে খেলাধুলায় মেতে উঠুন। বন্ধুদের সঙ্গে খেলাধুলার সময় অনেক সময় আনন্দ উৎসবে মেটে ওঠা যায় এর জন্যই খুব সহজেই মন ভালো হয়ে যেতে পারে।
নিজেকে হাসিখুশি রাখুন-যখন আমাদের মন খারাপ থাকে তখন আসলেই হাসি যেন মুখে আসতে চায় না এটা বড়ই কঠিন একটি স্বভাব। তবে এমন কিছু নিয়ে ভাবুন অথবা বই পড়ুন যেন কিছুক্ষণের জন্য হলেও আপনার মুখে আশেপাশে হাসি অনুভব কাজ করে। নিজের মুখে হাসি রাখলে মস্তিষ্ককে সুস্থ সবল রাখে এবং আমাদের মন মানসিকতা ভালো রাখতে সক্ষম হয়।
শারীরিক সুস্থ থাকার উপায়
শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে হলে খাদ্য অতি জরুরী যেমন শাকসবজি, ফল এবং প্রোটিন জাতীয় খাদ্য সমূহ যা আপনার রোগ প্রতিরক্ষ ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে এবং ক্ষতিকারক ভাইরাস থেকে খুব সহজেই মুক্তি দিবে। এছাড়াও নিয়মিত ফল ও শাকসবজি খেলে ভালো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া সম্ভব। এছাড়াও অ্যালকোহল যুক্ত অথবা চিনিযুক্ত ও চর্বিযুক্ত খাদ্য না খাওয়াই উচিত।
আরো পড়ুনঃ শরীর স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায়
অতিরিক্ত মানসিক চাপ থেকে বেরিয়ে আসুন। কেননা মানসিক চাপ উচ্চ রক্তচাপের কারণ ও হতে পারে তাই অতিরিক্ত চিন্তা চেতনা থেকে বেরিয়ে আসা অতি জরুরী ও শরীর অসুস্থ করে তোলে। এর জন্য নিজেকে সবসময় আনন্দময়ক ভাবে গড়ে তুলুন পাশাপাশি ইতিবাচক চিন্তা ভাবনা গড়ে তুলুন।
খাবার খাওয়ার আগে সবসময় হাত ধোঁয়া অতি জরুরী। তাই বাইরে থেকে যখনই বাসায় প্রবেশ করবেন অথবা খাওয়ার আগে ভালোমতো হাত ধুয়ে খাওয়ার খাওয়ার চেষ্টা করুন। কেননা খাবারের সঙ্গে হাতের জীবাণুগুলো শরীরে প্রবেশ করলে নানা ধরনের রোগ বালাই দেখা দিতে শুরু করে। আর এর মাধ্যমেই শুরু হয় শারীরিক অসুস্থতার লক্ষণ।
আজীবন সুস্থ থাকার উপায়
সাধারণত বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই অসুস্থতা অনুভব শুরু হয়। এবং বয়স বাড়ার সাথে সাথে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় এর জন্যই মূলত অসুস্থতা পেছনে পড়ে যায়। যখন বয়স ৬০ থেকে ৬৫ বছর হয়ে যায় তখন থেকেই শুরু হয় শারীরিক জটিলতার আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা। তবে কিছু টিপস ফলো করলে ৬০-৬৫ বছর বয়সেও সুস্থ থাকা সম্ভব।
ব্যায়াম-প্রতিদিন অল্প হলেও ব্যায়াম অথবা ওরক আউট করার চেষ্টা করুন। যেমন, হাঁটাহাঁটি. বাসার কাজগুলো মনোযোগ সহকারে করা, এছাড়াও সহজ পদ্ধতিতে শরীরকে কাজে লাগানো ইত্যাদি। এছাড়াও যোগব্যায়াম করা যেতে পারে। শরীরকে যত আপনি কাজে লাগাবেন ততই আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে।
সঠিক সময়ে খাদ্য গ্রহণ করুন-আজীবন ভালো থাকার জন্য প্রোটিন জাতীয় খাদ্য খাওয়া জরুরী। এছাড়াও ফল ও শাকসবজি এবং মাছ-মাংস বেশী বেশী খাওয়া জরুরি। সময়মতো খাদ্য গ্রহণ করুন এছাড়াও শরীর-স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়মিত গ্রহণ করুন।
ঘুম ও বিশ্রাম নিন-আজীবন ভালো থাকার জন্য শরীর স্বাস্থ্য কে সবসময়ই বিশ্রাম রাখাটা অতি জরুরী। কেননা শরীর-স্বাস্থ্য যদি স্বাভাবিক রাখতে চান তাহলে অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমানোর অভ্যাস গড়ে তুলুন অথবা নিজেকে পরিশ্রমের পরে বিশ্রাম অথবা শরীরকে আরাম দিন।
মানসিক দুর্বলতা দূর করার উপায়
মানসিকভাবে নিজেকে স্ট্রং রাখার জন্য অবশ্যই টেনশন অথবা মানসিক চাপ থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। এগুলো আপনার পিছনে পড়ে থাকলে মানসিক দুর্বলতা কখনোই ছাড়বে না। তাই সব সময় ইতিবাচক দিনগুলো বের করে জীবনযাপন শুরু করুন। অতিরিক্ত চিন্তা চেতনা থেকে বেরিয়ে কাজে মনোযোগী হয়ে উঠুন। কিছু টিপস রয়েছে যেগুলো আপনি ব্যবহার করতে পারেন যেমন-
সময়ের কাজ সময় করুন-অনেকেই রয়েছে কাজ করতে গিয়ে বলে আজকে আর করছি না কালকে করব? এরকম মনোবল যাদের রয়েছে তাদের ভেতরে ভয় এবং টেনশন কাজ করে থাকে এর ফলে মানসিক দুর্বলতায় পড়ে যায়। তাই সব সময় সময়ের কাজ সময়েই করার চেষ্টা করুন। আপনি কাজটি না করতে পারলেও অন্যজনের সাহায্য নিয়ে সময়ের কাজ সময়ে শেষ করুন।
মোকাবেলা করতে শিখুন-কোন কিছু যখন বিপদে পড়ে যাবেন তখন এড়িয়ে চলা থেকে বিরত থাকুন। কেননা বিপদ এড়িয়ে গেলে আরো ক্ষতিকারক সমস্যায় পড়তে পারেন। তাই যে বিপদটাই সামনে এসে গেছে সেটি থেকে বাড়ানোর উপায় বের করে তারপর এড়িয়ে চলুন। যেকোনো কাজেই সরাসরি মোকাবেলা করার চেষ্টা করুন। সমস্যার সম্মুখীন হলে ভয় না পেয়ে নিজেকে শক্ত রেখে জয় করুন। জীবনে চলার পথে ভয় না পেয়ে চোখের চোখ রেখে কথা বলার সাহস রাখুন।
ভুল স্বীকার করুন-অনেকেই রয়েছে, ভুল করেও স্বীকার করতে চায় না। এটি সবচেয়ে বাজে একটি অভ্যাস। আপনি যদি সফল হতে চান তাহলে ভুল থেকেই শিক্ষা নিয়ে সামনে এগিয়ে চলুন। আর ভুল করলে অবশ্যই স্বীকার করবেন স্বীকার করে এগিয়ে চলুন।
নিজের দুর্বলতা জয় করুন-নিজেকে দুর্বলতা ভাবা বন্ধ করুন। এবং দুর্বলতা কাটিয়ে সামনে এগিয়ে চলুন। আপনার হয়তো নানা ধরনের সমস্যা থাকতে পারে যেমন পড়াশোনায় দুর্বলতা অথবা কাজকর্মের ওপর দুর্বলতা এ সকল দুর্বলতা কাটাতে অবশ্যই আপনি মনে জেদ নিয়ে এগিয়ে যেতে পারবেন। তাই নিজের দুর্বলতা বের করে নিজেই সহজ করে দুর্বলতা থেকে বেরিয়ে আসুন।
অন্যকে সম্মান দিন-অনেকেই রয়েছে বয়সে বড় এবং ধনী হওয়ার কারণে অন্যকে সম্মান দিয়ে কথা বলে না। এগুলো থেকে অবশ্যই বিরত থাকুন। বয়সে ছোট হোক বা বড় হোক তাদের সঙ্গে তুই-তাকারি ভাষায় কথা বলা বন্ধ করুন। অন্যকে সম্মান দিলে নিজেও অবশ্যই সম্মান পাবেন, আর সম্মান না পেলেও নিজের প্রতি একটি ভালোলাগা কাজ করবে তাই অবশ্যই অপরজনকে সম্মান করতে শিখুন।
উপস্থাপনা-শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকার উপায়
প্রিয় পাঠক, আপনি এতক্ষণে হয়তো জেনে গেছেন শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত। শারীরিকভাবে সুস্থ থাকার জন্য অবশ্যই সুষম খাদ্য অথবা শাক-সবজি খাওয়া অতি জরুরী এবং এটাই হচ্ছে বড় ধরনের চিকিৎসা। এছাড়াও মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে হলে অবশ্যই মন মানসিকতা ভালো রাখতে হবে এবং চিন্তা চেতনা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকার জন্য এগুলো হলেই আপনি খুব সহজেই সুস্থ থাকবেন।
এই আর্টিকেলটি আপনার কেমন লাগলো অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাবেন। অথবা আপনাদের কোন ধরনের প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই আমাদের প্রশ্ন করুন আমরা প্রশ্নের উত্তর দিয়ে আপনাদেরকে সাহায্য করব। এ ধরনের আর্টিকেল পড়ার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটটি রেগুলার ভিজিট করুন। এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url