কোন জাতের ছাগল পালনে লাভ বেশি-ছাগলের খামার করার নিয়ম সম্পর্কে জানুন
কোন জাতের গরু পালনে লাভ বেশি জেনে নিনপ্রিয় পাঠক, কোন জাতের ছাগল পালনে লাভ বেশি এবং ছাগলের খামার করার নিয়ম
সম্পর্কে এ আর্টিকেলটির মাধ্যমে বিশেষ আলোচনা করব। অনেকেই অনেক ধরনের ব্যবসার
জন্য ভাবনা ভাবে এর মধ্যে অনেকেই পড়াশোনার পাশাপাশি এবং বেকারত্ব জীবন দূর করতে
ছাগলের খামার দিতে ইচ্ছুক। তাদের কথা চিন্তা করেই মূলত এই আর্টিকেলটি লিখতে
বসেছি। কোন জাতের ছাগল পালনে লাভ বেশি এছাড়াও ছাগলের খামার করার নিয়ম সম্পর্কে
বিস্তারিত আলোচনা করব।
আপনি হয়তো একটি ছাগলের খামার করতে চাচ্ছেন বলেই গুগলে সার্চ দিয়েছেন আর সঙ্গে
সঙ্গে আমাদের ওয়েবসাইটটি পেয়ে গেছেন। আপনি যদি ছাগলের খামার করতে চান তাহলে
আর্টিকেলটি শুধুমাত্র আপনার জন্য হতে যাচ্ছে। তাই আসুন জেনে নিন কোন জাতের ছাগল
পালনে লাভ বেশি এবং ছাগলের খামার করার নিয়ম গুলো। তাই চলুন দেরি না করে শুরু করা
যাক কোন জাতের ছাগল পালনের লাভ বেশি এবং ছাগলের খামার করার নিয়ম সম্পর্কে
বিস্তারিত ভাবে।
পোস্ট সূচিপত্রঃ কোন জাতের ছাগল পালনে লাভ বেশি-ছাগলের খামার করার নিয়ম
ভূমিকা- কোন জাতের ছাগল পালনে লাভ বেশি-ছাগলের খামার করার নিয়ম
যারা ছাগলের জন্য নতুন খামার করবেন ভাবছেন তাদের জন্যই মূলত আর্টিকেলটি সাজানো
হয়েছে। এবং এই আর্টিকেলে যে সকল বিষয়ে আপনাদেরকে জানানো হবে যেমন-কোন জাতের
ছাগলে বেশি বাচ্চা দেয়, ছাগল পালনে লাভ ক্ষতির হিসাব, কোন জাতের ছাগল বেশি দুধ
দেয়, ১০টি ছাগল পালন, কোন জাতের ছাগল সবচেয়ে বেশি বড় হয়, ছাগলের জাত চেনার
উপায়, ছাগল পালন পদ্ধতি, উন্নত জাতের ছাগল কোথায় পাওয়া যায় এই সকল বিষয়ে
বিস্তারিত নিচে আলোচনা করা হয়েছে।
কোন জাতের ছাগল বেশি বাচ্চা দেয়
অনেকের ইচ্ছে একটি ছাগলের খামার করার এর জন্যই অনেকেই জানতে চান কোন জাতের ছাগল
বেশি বাচ্চা দেয়? আসলেই কিছু কিছু ছাগলের জাত রয়েছে যার ফলে ১৪ মাসের ভেতর
দুইবার বাচ্চা দেওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ছাগলের জাতটির নাম ব্ল্যাক বেঙ্গল। এই
ব্ল্যাক বেঙ্গল জাতটি ১৪ মাসে দুইবার বাচ্চা দিয়ে থাকে এবং একটি মা ছাগল থেকে ১
থেকে ৫ টা পর্যন্ত বাচ্চা দেওয়া রেকর্ড রয়েছে।
বিশেষ করে পৃথিবীতে অন্তত ৩০০ রকমের ছাগলের জাত রয়েছে। তবে ছাগলেরও নানা ধরনের
আকার আকৃতি রয়েছে যার ফলে চেনা মুশকিল ছাগল না অন্য প্রাণী। কিন্তু আসলেই
সেগুলোও ছাগল তাই গবেষণায় পাওয়া গেছে পৃথিবীতে মোট মাঠ ৩০০ রকমের ছাগল জাত
রয়েছে। তার ভিতরে সবচেয়ে বেশি বাচ্চা দেয় ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলটির। এই ব্ল্যাক
বেঙ্গল ছাগল অনেকের পছন্দের এবং খামারিদের জন্য সবচেয়ে ভালো জাতের ভিতর ব্ল্যাক
বেঙ্গল অন্যতম।
বিশেষ করে ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল চেনার কিছু উপায় রয়েছে। যেমন-ব্ল্যাক বেঙ্গল
ছাগল দেখতে কুচকুচে কালো এবং আকার ইঙ্গিতে বেটে ধরনের, এবং শরীর বেশ মোটাতাজা এবং
চওড়া আকৃতির। ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলের আকার বেটে হলেও এর ওজন ভালই হয়। পুরুষ
ছাগলের ওজন ২২ থেকে ৩০ কেজির ভেতরে হয় এবং মহিলা ছাগল ২০ থেকে ২৫ কেজির আশেপাশেই
থাকে।
গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল দেশের অন্যতম জাতের ভেতর একটি এর
জন্যই মূলত অনেকের চাহিদা ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলের ওপর। আবার অনেকেই জানেন না
ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল এতটা বাচ্চা দেয় এবং ১৪ মাসের ভেতর দুইবার বাচ্চা দেয়। এ
সম্পর্কে অনেকেই এখনো জানেনা তাই মূলত আশেপাশে আমরা খুব একটা দেখতে পাই না। তবে
ছাগলের পাল বাড়ানোর জন্য আমি মনে করি ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল লালন পালনের জন্য
সবচেয়ে ভালো হবে।
ছাগল পালনে লাভ ক্ষতির হিসাব
অনেক গ্রাম অঞ্চলে ছাগল লালন পালন করতে দেখা যায়। তাদের আসলে কোন খরচের হিসাবও
লাগে না এবং খরচও তেমন একটা লাগে না। কেননা তারা দুই একটা করে ছাগল লালন পালন করে
থাকে। তাই বাড়িতেই এবং বাড়ির আশেপাশেই ঘাস পাওয়া যায় আর এভাবেই তারা গ্রামে
ছাগল লালন পালন করে থাকে। এর জন্যই মূলত কোন ধরনের ক্ষতি ও হয় না এবং খরচও হয়
না। আবার একটি কথা রয়েছে যেমন ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে কারণ রোগ বালাই বলে
কথা আছে।
গ্রাম অঞ্চলে রোগ বালাই হলে তেমন একটা চিকিৎসা করতে অনীহার করেন এর জন্যই মূলত
ছাগল মারা যেতে পারে আর ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে যারা গ্রাম অঞ্চলে
ছাগল লালন পালন করে তাদের কোন ধরনের তেমন পরিচর্যা নেই শুধুমাত্র তাদেরকে ঘাস এবং
কিছু দানাদার খাদ্য দিয়েই লালন-পালন করে থাকে। আর এ থেকেই এভাবেই মানুষ হয়ে
যাচ্ছে।
ছাগলের লালন পালন ক্ষতি হিসাব যেমন কেউ যদি ৮ থেকে ১০ টা ছাগল দিয়ে খামার তৈরি
করতে পারে এবং সঠিক মাত্রায় পরিচর্যা করতে পারে । তাহলে কোন ধরনের সমস্যা হবে না
এবং ক্ষতির আশঙ্কাও খুবই কম রয়েছে। তবে ৮-১০ তা ছাগল লালন-পালনের জন্য অবশ্যই
একটু হাওয়া বাতাস অথবা উঁচু-নিচু জায়গায় খামারটি করা উচিত। তাহলে ছাগল দ্রুত
বাড়বে এবং শরীর স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।
ছাগলের খামার করলে তেমন লস খাওয়ার সম্ভাবনা নেই। কেননা ছাগল রোগ বালাই মুক্ত
প্রাণী তবে মাঝে মধ্যে ভালোমতো খেয়াল রাখতে হবে এবং পাশাপাশি পরিচর্যার ভালোমতো
করলেই ছাগলে লাভবান হওয়া সম্ভব। আপনি যদি কিছু পুরুষ ছাগল এবং মহিলা ছাগল নিয়ে
লালন পালন করেন তাহলে অবশ্যই সফল হবেন। তাই চিন্তার কোন কারণ নাই আপনি
নির্দ্বিধায় ৮-১০ টা দিয়ে খামার শুরু করতে পারেন।
কোন জাতের ছাগল বেশি দুধ দেয়
বিশেষ করে অনেকেই রয়েছে কোন জাতের ছাগল বেশি দুধ দেয় এই সম্পর্কে জানার জন্য।
ছাগল দুধ দেয় এটি জানার কারণ হচ্ছে বাচ্চাটি দ্রুত বেড়ে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে
এর কারণেই মূলত অনেকেই দুধওয়ালা ছাগল খুঁজতে থাকে এবং জাতগুলো খুঁজে থাকে। বিশেষ
করে অনেক কয়টায় জাত রয়েছে সেগুলো দুধের জন্য বেশ উপযোগী রয়েছে। আমি আপনাদেরকে
দশটি দুধওয়ালা ছাগলের জাতের নাম বলবো। যেমন নিচে দেওয়া হল-
- সানেন ছাগল
- টগেনবুর্গ ছাগল
- গোল্ডেন গার্সিং ছাগল
- নাইজেরিয়ান বামন ছাগল
- আলপাইন ছাগল
- লালনছা ছাগল
- নুবিয়ান ছাগল
- সাবল ছাগল
- যমুনাপারি ছাগল
- ওবেরহসালী ছাগল
এ সকল দশটি জাতের ভেতর ছাগল যদি কেউ লালন পালন করে থাকে তাহলে অবশ্যই ভালো ধরনের
দুধ পাওয়া সম্ভব এবং বাচ্চাও খুব দ্রুত শক্তিশালী গঠন তৈরি হতে সক্ষম। তাই আপনি
যদি দুধওয়ালা এবং বাচ্চার জন্য দুধ হয় এরকম ছাগলের জাত নির্বাচন করতে চান তাহলে
অবশ্যই এই দশটি জাতের ভেতর আপনি যেকোনো জাত নির্বাচন করতে পারেন। এগুলো জাত দুধের
জন্য বেশ উপকারী এবং কার্যকারিতা রয়েছে।
১০ টি ছাগল পালন
বিশেষ করে আপনি যদি ১০টি ছাগল লালন পালন করতে চান তাহলে ছাগলের জন্য একটি ঘর তৈরি
করা জরুরি। কেন না আপনি যদি ছাগলের জন্য ঘর একটি ভালো ধরনের তৈরি করতে পারেন।
যেমন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন এবং আলো বাতাস প্রবেশ করে এরকম ধরনের একটি ঘর হলেই আপনি
ছাগল লালন পালন করতে পারবেন। এছাড়াও আশেপাশে আলো বাতাস থাকলে কোন ধরনের রোগ
বালাই অথবা ছাগলও ভালো থাকবে।
প্রথম অবস্থায় আপনি দশটি ছাগল দিয়ে খামারটি শুরু করতে পারেন। দশটি ছাগল যদি
মাঝারি আকারের ক্রয় করেন তাহলে একটি দাম ১০ হাজার টাকা করে লাগবে ভালো জাতের
ছাগল নিতে হলে। দশটি ছাগলের দাম তাহলে ১ লক্ষ টাকা খরচ হচ্ছে। আর আপনি ৩০ থেকে ৪০
হাজার টাকা দশটি ছাগলের পেছনে ব্যয় করেন তাহলে অবশ্যই আপনি এই দশটি ছাগল দুই
থেকে আড়াই লক্ষ টাকা বিক্রয় করতে পারবেন।
এছাড়াও মহিলা জাত থেকে বাচ্চা দেবে এবং আস্তে আস্তে ছাগল ও বাড়তে শুরু করবে আর
এভাবেই লালন পালন করতে থাকতে হবে। বিশেষ করে পুরুষ ছাগল পাঁচটি এবং মহিলা ছাগল
পাঁচটি নিয়েই খামারটি শুরু করা উচিত। পুরুষ ছাগল গুলোকে বছরে একবার বিক্রয়
করবেন যেমন যখন কোরবানি ঈদ আসে তখন বিশেষ করে ছাগলের প্রচুর প্রয়োজন পড়ে।
এর জন্যই মূলত সেই সময় ছাগলের দামও অনেকটা চওড়া থাকে এর কারণেই ছাগলে লাভটাও
বেশি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষ করে এখন যে গরুর দাম তার কারণে অনেকেই ছাগল
কোরবানি দিতেই সবাই পছন্দ এবং সাশ্রয় মনে করেন। তাই আপনি যদি ছাগল খামার করতে
চান তাহলে ভালো কিছুই হবে আশা করছি। এবং আপনি একটু ভেবে দেখতে পারেন এই কথাটা।
কোন জাতের ছাগল সবচেয়ে বড় হয়
বিশেষ করে আমাদের দেশে গ্রামাঞ্চলে নানা ধরনের ছাগল লালন-পালন করতে দেখা যায় তার
ভেতরে দেখতে পাওয়া যায় দেশী ছাগল সবচেয়ে বেশি। এর ভেতরে এখন বর্তমানে
গ্রামাঞ্চলেও দেখা যাচ্ছে কিছু কিছু ছাগল যা অনেক বড় সাইজের মনে হচ্ছে। এবার কথা
হচ্ছে কোন জাতের ছাগল সবচেয়ে বড় হয়? বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে এবং অনেক খামারে
দেখা গেয়েছে কয়েকটি ছাগল সেগুলো ভালোই বড় এবং ওজন হয়।
যেমন রামছাগল এবং যমুনাপাড়ি বিশেষ করে রাম ছাগল আমাদের পরিচিত জাত। এই রাম
ছাগলের জাত অনেকটা বড় আকৃতির হয়ে থাকে। এর ওজনও বেশ ৩০ থেকে ৫০ কেজি পর্যন্ত
হয়। যদি সঠিক পরিমাণে খাদ্য এবং পরিচর্য করা হয় তাহলে অবশ্যই এরকম ওজন রাম ছাগল
থেকে পাওয়া সম্ভব। এছাড়াও সাধারণত ২০ কেজি অথবা ২৫ কেজির ভেতর হয় নিম্নে।
যমুনাপারি এই জাতটি মূলত ভারতের জাত এই যমুনাপারি ছাগল ও বেশ বড় আকৃতির হয়। রাম
ছাগল আকৃতি বড় হওয়ার কারণে মাংসের জন্য লালন পালন করা যেতে পারে। বিশেষ করে রাম
ছাগলেও ভালো দুধ দিয়ে থাকে এবং এর দুধ বেশ পুষ্টিকর এবং সুস্বাদু রয়েছে।
রামছাগল দেখতে সাদা রং এবং বাদামি কালার রং হয়ে থাকে। রাম ছাগল বছরে এক বার করে
বাচ্চাদের থাকে এবং এর থেকে দুইটা করে বাচ্চা দিয়ে থাকে।
ছাগলের জাত চেনার উপায়
ছাগলের বিভিন্ন ধরনের জাত রয়েছে এর ভেতর জাত চেনার উপায় হচ্ছে। শরীরের গঠন
আকৃতি দেখে। ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলটি চিনবেন তার শরীরের গঠন এবং আকৃতি দেখে
যেমন-ব্ল্যাক বেঙ্গল আকারে ছোট এবং বেটে সাইজের হয়ে থাকে আর শরীর স্বাস্থ্য এবং
চামড়া মোটা হয়ে থাকে এ ধরনের আকার আকৃতি দেখলেই বুঝতে পারবেন এটি ব্ল্যাক
বেঙ্গল ছাগল জাত।
যমুনাপারি-এই ছাগলটি মূলত লম্বা সাইজের হয়ে থাকে এদের পা দেখলেই বুঝতে
পারবেন এবং এর পা অনেকটা লম্বা আকৃতির হয়ে থাকে। এছাড়াও পায়ের পেছনের লোমগুলোও
লম্বা লম্বা হয়ে থাকে। বিশেষ করে এদের কানসহ সবকিছুই লম্বা লম্বা আকৃতি হয়ে
থাকে এর কারণেই মূলত চেনা সম্ভব যমুনাপারি ছাগলের জাত।
বোয়ার ছাগল-বিশেষ করে এই জাত মূলত মাংস উৎপন্নের জন্য বেশিরভাগ দেখা
যায়। এই ছাগলটি ওজনে এবং শরীর-স্বাস্থ্য অনেকটা মোটা আকৃতির হয়ে থাকে এর কারণেই
মূলত এই জাতটি মাংসের জন্য প্রস্তুত করো এবং চেনাও যায়। বোয়ার ছাগল রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতা রয়েছে যার কারণেই গরম সহ্য করতে পারেনা এবং শরীর স্বাস্থ্য
অনেকটা মোটা আকৃতির।
কাশ্মীর ছাগল-কাশ্মীর ছাগলের অনেকটা নরম আকৃতির এবং এই জাতের ছাগলের লোম
দিয়ে কাশ্মীরি উল তৈরি করা হয়। এই ছাগলের পুরুষ দের ওজন ৫৫ কেজি এবং মেয়ে
ছাগলের ওজন ৪৫ কেজি হয়ে থাকে।
ছাগল পালন পদ্ধতি
ছাগল পালন পদ্ধতি যেমন অবশ্যই ছাগলকে ঘাস খাওয়ানো জরুরি এবং তার সঙ্গে দানাদার
খাদ্য খাওয়াতে হবে। এবং অবশ্যই বিশুদ্ধ এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পানি খেতে দিতে
হবে। বিশেষ করে বাড়ন্ত ছাগলের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খাওয়ানো এবং এক লিটার
পানি প্রতিদিন খাওয়ানো জরুরী। ছাগলকে কাঁচা ঘাস খাওয়াতে না পারলে অবশ্যই খড়
এবং ইউরিয়া-চিটাগোর খাওয়াতে পারেন।
বিশেষ করে ছাগল লালন পালনের জন্য কাঁচা ঘাস খাওয়ানো সবচেয়ে জরুরি এবং উপকারিতা
পাওয়া সম্ভব রয়েছে। কেননা ঘাস সব ধরনের ভিটামিন এবং পুষ্টিকর সমূহ সবকিছুই
বিরাজ করে। একটি ছাগলের গঠন এবং আকার আকৃতি বড় করার জন্য অবশ্যই কাঁচা ঘাস
শরীরের জন্য এবং একটি ছাগলের জন্য উপযোগ্য। তাই অবশ্যই কাঁচা ঘাস খাওয়ানোর
চেষ্টা করবেন সবসময়।
লেখকের মন্তব্য-কোন জাতের ছাগল পালনে লাভ বেশি-ছাগলের খামার করার নিয়ম
প্রিয় বন্ধুরা, আপনি হয়তো এতক্ষণে জেনে গেছেন কোন জাতের ছাগল লালন পালনে লাভ
বেশি ছাগলের খামার করার নিয়ম সম্পর্কে। আশা করছি আপনি এই আর্টিকেলটি মনোযোগ
সহকারে পরে সবকিছুই বুঝতে পেরেছেন এবং নিয়ম নীতি ভালো মতো জেনে গেছেন। আপনি যদি
এ নিয়ম গুলো ফলো করেন এবং ছাগলের খামার দিতে চান তাহলে অবশ্যই এই কথাগুলো সবসময়
মনে রাখবেন এবং জাতগুলো ভালো মতো নির্বাচন করার চেষ্টা করবেন।
আশা করছি এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনি একজন বড় ছাগল খামারি হয়ে উঠতে পারবেন।
কেননা এখানে এই আর্টিকেলটি জুড়ে সবকিছুই খুঁটিনাটি ভালোমতো বলা হয়েছে এবং জাত
সম্পর্কেও আলোচনা করা হয়েছে। এছাড়াও যদি কোন কিছু বুঝতে অসুবিধা হয় এবং কোন
প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাতে পারেন অবশ্যই আপনাকে
আমরা সাহায্য করবো। আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url