গরম কালে শরীর স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায় জানুন

শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকার উপায়প্রিয় পাঠক, আপনি কি গরমকালে শরীর স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায় জানতে চাচ্ছেন? তাহলে সঠিক জায়গাতেই এসে গেছেন। কেননা এ আর্টিকেলটির মাধ্যমে গরমকালের শরীর স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায় সম্পর্কে বিশেষভাবে আলোচনা করা হবে। পুরো আর্টিকেল জুড়েই থাকছে গরমকালে শরীর-স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায় সম্পর্কে নানা ধরনের আলোচনা। তাই গরমকালে শরীর-স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
গরম কালে শরীর স্বাস্থ্য ভালো রাখার
আমাদের ভেতর অনেকেই রয়েছে গরমকালের শরীর স্বাস্থ্য ঠিকমত খেয়াল রাখেনা। আবার অনেকেই রয়েছে শরীর স্বাস্থ্য কিভাবে ঠিক রাখতে হয় সেটিও তাদের জানা থাকে না। তাই তাদের জন্যই মূলত আজকের এই আর্টিকেলটি লিখতে বসেছি। তাই চলুন দেরি না করে জেনে নিন গরমকালে শরীর স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায় গুলো সম্পর্কে। গরমকালে শরীর স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায় জানতে হলে এ আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

পোস্ট সূচীপত্র-গরম কালে শরীর স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায় জানুন

ভূমিকা-গরম কালে শরীর স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায়

আমরা এই অতিরিক্ত গরমের ভেতরে আসলেই কেমন জানি ও হয়ে পড়ছে তার সঙ্গে আমাদের শরীর স্বাস্থ্য অবস্থা খারাপ হতে যাচ্ছে। এর জন্যই মূলত গরমকালে শরীর-স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায় কিছু কিছু বিষয়ে আপনাদের টিপস গুলো দিয়ে সহযোগিতা করব। এছাড়াও গরমকালে শরীর-স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায় সম্পর্কে নানা ধরনের আলোচনা সহ কি কি করলে শরীর স্বাস্থ্য ভালো থাকবে সেই বিষয়েই বিস্তারিত আলোচনা করব।

শরীর সুস্থ রাখার খাবার তালিকা

বিশেষ করে মানবদেহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হচ্ছে তার পুরো শরীর। তাই শরীর-স্বাস্থ্য ভালো রাখাটা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আর আরেকটি কথা সেটা হচ্ছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শরীর সুস্থ রাখার জন্য অবশ্যই নির্ভর করে খাদ্যের উপর। আপনি যদি পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করেন তাহলে আপনার শরীর সুস্থ এবং সবল থাকতে বাধ্য হবে। তাহলে আমরা বুঝতে পারলাম আমাদের সুস্থ থাকতে অবশ্যই খাদ্য সবচেয়ে জরুরী।

পুষ্টিবিদরা সবসময়, খাওয়া-দাওয়ার বিষয়ে সতর্ক এবং নজরদারি করতে বলেন। খাওয়ারের সাথে সাথে কিছু শারীরিক ব্যায়াম সহ পরিশ্রম করলে শরীর স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সক্ষম হবে। এছাড়াও এমন কিছু খাদ্য রয়েছে যেগুলো খেলে সারাদিন সুস্থ রাখতে সক্ষম হবে। সেগুলো খালি পেটেও খাওয়া যেতে পারে, আর খাওয়া-দাওয়া ঠিক মতো না হলে শরীর স্বাস্থ্য খারাপের দিকে ঝুঁকতে পারে। তার জন্য সেখানে হতে পারে নানা ধরনের বিভক্তি।

এর জন্যই মূলত পুষ্টিবিদরা সঠিক সময়ে হওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন তারা। বিশেষ করে খাদ্য সময় অনুযায়ী বিরাজ করে। যেমন রাতের এবং সকালের খাওয়ার দুইটি খাওয়ার অনেকটা গ্যাপ থাকে এই গ্যাপের জন্য অবশ্যই ঠিকমতো এবং পরিমাণ মতোই খাদ্য গ্রহণ করা আমাদের জন্য অতি জরুরী। এছাড়াও আমাদের দেহকে সুস্থ রাখতে এবং হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে এমন কিছু খাদ্য খাওয়া উচিত যা খালি পেটেও খাওয়া যায় এবং শরীর সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।

কয়েকটি খাদ্যের নাম নিচে তালিকা সহ আলোচনা করা হলো-

বাদাম-সকালে নাস্তার পূর্বে অবশ্যই কয়েকটি দানা খাওয়া খুবই স্বাস্থ্যকর উপকার মিলবে। বাদাম এগুলো শুধুমাত্র হজমেই উন্নতি করে না, আপনার পেটের সমস্যাও খুব সহজে দূর করে। তাই প্রতিদিন সকালে নাস্তার পূর্বে অবশ্যই নিয়মিত বাদাম এবং কিসমিস একসঙ্গে খেতে পারেন। তবে পরিমাণ মতো খাওয়া উচিত কেননা বাদাম এবং কিসমিসে ফ্যাট রয়েছে তাই ওজন বৃদ্ধি করার সম্ভাবনা বেশি।

ভেজানো বাদাম-আপনি যদি শরীর-স্বাস্থ্য স্বাভাবিক এবং ফিটনেস ধরে রাখতে চান তাহলে ঘুমানোর আগে কয়েকটি কিসমিস এবং বাদাম ভিজিয়ে রাখুন। খালি পেটে বাদাম খাওয়া শরীরের জন্য এবং স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী পাওয়া যায়। বাদামে রয়েছে ভিটামিন ই, প্রোটিন, ফাইবার, ওমেগা-৩, ওমেগা-৬ ফ্যাট সমূহ।

কুসুম পানি এবং মধু-সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে হালকা গরম পানি অথবা কুসুম পানি সঙ্গে দুই চা চামচ মধু মিশিয়ে খেলে পাকস্থলী কর্ম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। হলে হজম শক্তি সহ গ্যাস্টিকের সমস্যা খুব সহজেই দূর করতে সক্ষম হয়। তার সঙ্গে মধুর কার্যকরিতা এবং উপকারিতা অনেক বেশি যার কারণে শরীরে এসিডিটির সমস্যাও দূর করতে বিশেষ ভাবে ভূমিকা পালন করে থাকে।

তরমুজ-সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠেই খাওয়ার তালিকায় তরমুজ রাখতে পারেন। কেননা এই ফলটি শুধুমাত্র রসালো ফল এবং পানি জাতীয় খাদ্য। যার ফলে হাইড্রোসনের জন্য একটি ভালো ধরনের সরবরাহ করে থাকে। তরমুজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালোরি আমরা যখন খেয়ে থাকি তখন একটিভালো ধরনের ক্যালোরি পেয়ে থাকি। এছাড়াও সারাদিনের হজমশক্তি বৃদ্ধি করে তরমুজ এবং হৃদরোগ ও চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে বিশেষভাবে ভূমিকা পালন করে।

পেঁপে-পেঁপে খেতে পছন্দ করে না এরকম ধরনের মানুষ খুবই কম দেখা যায়। পেঁপে সকালে খালি পেটে খেলে সারা দিনের হজমশক্তি নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। পেঁপে খালিপেটে খাওয়ার জন্য একটি সুপার ফুড বলে জানা গিয়েছে। পেঁপে রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, ফাইবার এবং প্রোটিন সমূহ ভরপুর। পেঁপেতে ক্যালরির সংখ্যা খুবই কম। এবং যাদের হজমের সমস্যা রয়েছে তাদেরকে চিকিৎসকরা পেঁপে খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকে।

শরীরের গরম কমানোর উপায়

আমরা এই গরমের ভেতরে এমনি অনেকটাই ক্লান্ত তার সঙ্গে শরীর অতিরিক্ত গরম হয়ে যাচ্ছে। এর জন্যই অনেকেই বুঝতে পারছেন না কিভাবে এবং কি করে শরীরের গরম কমানো যায়। এর জন্যই শরীরের গরম কমানোর উপায় কিছু বিষয়ে আলোচনা করা হবে তা জানলেই আপনি খুব সহজেই নিজের শরীরের যত্ন সহ গরম দূর করতে সক্ষম হবেন। বিশেষ করে যেভাবে তাপমাত্রা শুরু হয়েছে যেমন ৩৮ থেকে ৪২ ডিগ্রী সেলসিয়াস।

বিশেষভাবে এই গরমে শরীরের তাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য অবশ্যই আমাদের তরল জাতীয় খাদ্য গ্রহণ করা অতিরিক্ত জরুরী বিরাজ করে। শরীরের গরম কমানোর জন্য ঘরোয়াভাবে আপনি নিজেই কমাতে পারেন। এছাড়াও যদি হিট স্টক এর সমস্যা এবং জ্বর শরীরে থাকে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করুন। নিচে জেনে নিন কি খাদ্য এবং কি কি করলে আপনার শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে আসবে।

শরবত পানি-আপনি যদি এই অতিরক্ত গরমের ভেতরেও কাজ বা ব্যায়াম করেন তাহলে অবশ্যই শরবত পানি অথবা স্যালাইন পানি খেতে পারেন। শরীরের পানি শূন্যতা এবং তাপমাত্রা কমানোর জন্য। বিশেষ করে ঘামের সঙ্গে বেরিয়ে যাওয়া লবণ এবং খনিজ পদার্থ এই শরবত পানি অথবা স্যালাইন পানি বিশেষভাবে কাজে দেবে।

ঠান্ডা পানি-আপনি যদি গোসলে ঠাণ্ডা পানি অথবা ঠান্ডা পানির ভিতর সাঁতার কাটতে পারেন তাহলে শরীরের তাপমাত্রা খুব সহজেই নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসবে। এই অতিরক্ত গরমে ঠান্ডা পানি শুধুমাত্র শরীরের জন্য বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। তাই ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করলে শরীরের তাপমাত্রা কমাতে পারে।

পোশাক পরিধান-এই যথেষ্ট গরমে সবসময় ঢিল-ঢাল পোশাক পড়ুন। যদি সম্ভব হয় তো অতিরিক্ত কাপড় খুলে প্রাকৃতিক উপভোগ করুন এতে শরীরের তাপমাত্রা কমাতে সাহায্য করবে। বিশেষ করে পাতলা এবং সুতি কাপড় পরিধান করার চেষ্টা করুন। এবং সাদা পোশাক ও হালকা রংয়ের পোশাক পরিধান করলে সূর্য থেকে তাপমাত্রা দূরত্ব বজায় রাখে।

তরল খাদ্য খান-সবচেয়ে বেশি পরিমাণে তরল খাদ্য গ্রহণ করার চেষ্টা করুন। কেননা তরল খাদ্য গ্রহণ করলে শরীরের অতিরিক্ত তাপমাত্রা কমিয়ে ঠান্ডা করে শরীরের তাপমাত্রা কমাতে বিশেষভাবে সাহায্য করবে। তরল খাদ্য নিয়মিত গ্রহণ করলে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে বেশ ভূমিকা পালন করে থাকে।

শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকার উপায়

মানবদেহে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে অংশটি সেটি হচ্ছে পুরো দেহ। তাই এই দেহটাকে সুস্থ সবল রাখতে অবশ্যই আমাদের কিছু খাদ্য সহ শারীরিক ব্যায়াম করা অতি জরুরী এবং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকার উপায় রয়েছে বিভিন্ন উপায়ে। আপনি শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকার জন্য কয়েকটি স্টেপ ব্যবহার করতে পারেন। এতে ভালো ফলাফল পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি রয়েছে।

ওজন কমান-বিশেষভাবে শারীরিক ও মানসিক সুস্থ থাকার জন্য শরীরের ওজন অবশ্যই কমানোর চেষ্টা করুন। শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমানোর জন্য অবশ্যই যোগ ব্যায়াম হতে শ্রেষ্ঠ এবং সেরা। ওজন কমানোর জন্য স্বাস্থ্যকর খাদ্য সহ নিয়মিত যোগ ব্যায়াম করা শরীরের জন্য বেশ উপকারিতা পাওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি রয়েছে। তাই সবসময়ই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করুন।

স্বাস্থ্যকর খাদ্য-দেহের সুস্বাস্থ্যর জন্য অবশ্যই স্বাস্থ্যকর খাদ্য অতিরিক্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই শরীর স্বাস্থ্য ভালো রাখতে অবশ্যই স্বাস্থ্যকর এবং সবজি জাতীয় খাদ্য গ্রহণ করার চেষ্টা করো। কেননা ফল ও সবজি শরীরের জন্য বিশেষভাবে কাজ করে থাকে এবং পুষ্টিকর উপাদান পাওয়া সম্ভব হয়। অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে ওজন বৃদ্ধি হতে পারে তাই ধীরে ধীরে খাওয়ার চেষ্টা করুন।

মানসিক চাপ কমান-অনেকে রয়েছে অতিরিক্ত টেনশন অথবা চিন্তা করার ফলে মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে। কিন্তু সেটি সে টেরও পায় না, সেজন্য আমাদের কে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে আমাদের ভিতর মানসিক চিন্তা দূর করার জন্য। আপনি যদি দীর্ঘ দিন যাবত মানসিক চাপ নিয়ে টেনশন চিন্তা করে থাকেন তাহলে স্বাস্থ্য ও সুস্থতার ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। তাই অতিরিক্ত চিন্তা থেকে বেরিয়ে আসুন এবং আনন্দময় কাজগুলো করতে ব্যস্ত থাকুন।

সুস্থ থাকার জন্য করণীয়

সুস্থ থাকার জন্য অবশ্যই আপনি পরিমাণ মতো খাদ্য সহ আনন্দময় কাজগুলো করতে নিজেকে ব্যস্ত রাখুন। তাহলে দেখবেন খুব সহজেই আপনি সুস্থ থাকতে পারছেন। এমন ধরনের কাজ করবেন না যেগুলো আপনাকে চিন্তিত করে এবং নানা ধরনের সমস্যায় ফেলে দেয়। বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে এখানে সেখানে অথবা ভ্রমণ করতে পারেন। কেননা আপনি যদি এক জায়গায় বসে থাকেন তো বোরিং লাগতে পারে। মন মানসিকতা প্রভাব দূর করতে অবশ্যই আমাদের ভ্রমণ করা উচিত।

এছাড়াও স্বাস্থ্যকর খাদ্য শাকসবজি ও ফলমূল খাওয়ার তালিকায় নিয়মিত রাখার চেষ্টা করুন। এতে সুস্থ থাকার জন্য বিশেষভাবে ভূমিকা পালন করে থাকবে। আর মানসিক চিন্তা ও দুশ্চিন্তা থেকে নিজেকে মুক্ত রাখার চেষ্টা করুন। এছাড়াও বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে ভালো সময় কাটানো এবং গল্পের মধ্যে নিজেকে ব্যস্ত রাখুন। এছাড়াও ঘরে বসে ফোন ব্যবহার না করে পড়াশোনাও করতে পারে এতে জ্ঞানের পরিচয় দেওয়া হবে তার সঙ্গে মন মানসিকতাও সুস্থ সবল থাকবে।

শরীর সুস্থ রাখার জন্য ব্যায়াম

শরীর স্বাস্থ্য ভালো রাখতে হলে অবশ্যই আমাদের যে বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে সেটি হচ্ছে। ব্যায়াম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। শরীর সুস্থ রাখার জন্য ব্যায়াম হতে পারে যোগ ব্যায়াম এবং সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠেই আপনি দৌড়াদৌড়ি করতে পারেন। এছাড়াও সাইকেল চালাতে পারেন, পাশাপাশি দৌড়াতে গিয়ে ব্যথা অনুভব করলে অবশ্যই লং টাইম ধরে হাঁটার চেষ্টা করুন। কেননা শরীর সুস্থ রাখতে এবং পুষ্টিকর খাদ্য খেলে শরীর সুস্থ ও সবল রাখা সম্ভব।

গরমে সুস্থ থাকার উপায়

এই অতিরিক্ত গরমে সুস্থ থাকার উপায় নিজেকে তাপ থেকে দূরে রাখা। এই অতিরক্ত গরমের কারণে অনেকেই হিট স্টক এর সমস্যায় পরছেন। তাই নিজেকে সুরক্ষিত রাখুন এবং ঘরের ভেতরেই থাকার চেষ্টা করুন। বাইরে কোন ধরনের কাজ না থাকলে ঘরেই থাকার চেষ্টা করুন এবং ফ্যামিলির সঙ্গে সময় কাটান। এছাড়াও আপনি পুকুরে অথবা সুইমিংপুলে ঠান্ডা পানিতে সাঁতার কাটতে পারেন এতে শরীরের তাপমাত্রা দূর করতে সক্ষম হবে।

এই গরমে সুস্থ থাকার জন্য বিশুদ্ধ পানি পর্যাপ্ত পরিমাণে পান করার চেষ্টা করুন। তার সঙ্গে স্যালাইন পানি এবং লেবুর শরবত পর্যাপ্ত পরিমাণে খাওয়ার তালিকায় রাখুন। অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন এতে ঠান্ডা লাগার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি রয়েছে। তাই সাধারণ এবং নরমাল পানি খাওয়ার চেষ্টা করুন। গরমে সুস্থ থাকতে অবশ্যই আমাদের তরল জাতীয় খাদ্য সহ পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খাওয়া দেহের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

গরম লাগলে করণীয়

এই গরমে মানুষ অতিষ্টিত হয়ে পড়ছে। তাই এই গরম দূর করতে অবশ্যই পানি পান করা অতি জরুরী। গরম লাগলে করণীয়, গরম যদি অতিরিক্ত লাগে তাহলে অবশ্যই সুইমিং করার চেষ্টা করুন এতে শরীরের তাপমাত্রা কমিয়ে আরামদায়ক করে তুলবে। তাই গরমকালের গরম কমাতে সাঁতার কাটা অথবা সুইমিং করা শরীরের জন্য বিশেষভাবে ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই শরীর সুস্থ এবং গরম দূর করতে সাঁতার কাটুন। তবে অতিরিক্ত কৌশল করা থেকেও আপনাকে বিরত থাকতে হবে কারণ ঠান্ডা গরম লাগার সম্ভাবনা রয়েছে।

লেখক এর মন্তব্য-গরম কালে শরীর স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায়

প্রিয় পাঠক, আপনি হয়তো এতক্ষণে জেনে গেছেন গরমকালে শরীর স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায় সম্পর্কে। আশা করছি আমি আপনাদেরকে গরম করে শরীর-স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায় সম্পর্কে বোঝাতে পেরেছি। তারপরও কোন কিছু যদি না বুঝতে পারেন তাহলে আমাদের নিচে কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করতে পারেন আমরা অবশ্যই আপনাকে বুঝিয়ে দেব। এছাড়াও গরম কালে শারীরিকভাবে আপনার দেহের যত্ন নেওয়ার চেষ্টা করুন।

আমাদের ভেতর অনেকেই রয়েছে গরম সহ্য করতে পারে না এবং এর জন্য সব সময় ঠান্ডা ও ফ্রিজের পানি খেয়ে থাকে। এমন ধরনের অভ্যাস যদি থেকে থাকে তাহলে আজকে এবং এখন থেকেই এই অভ্যাস থেকে বেরিয়ে আসুন এতে শরীরের স্বাস্থ্য খারাপ এবং দুর্বল করতে পারে। এ পোস্টটি আপনার ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে শেয়ার করুন। এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url