জীবনে সফল হতে হলে চাকরি নাকি ব্যবসা করা উচিত সেই সম্পর্কে জানুন
দ্রুত ইনকাম করার জন্য ২৫টি উপায়প্রিয় পাঠক, আপনি কি জীবনে সফল হতে হলে চাকরি নাকি ব্যবসা করা উচিত সে সম্পর্কে
জানতে চাচ্ছেন? তাহলে সঠিক জায়গাতেই এসে গেছেন কেননা এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে
জীবনের সফল হতে চাকরি নাকি ব্যবসা করা উচিত সে সম্পর্কে বিশেষভাবে আলোচনা করব।
অনেকেই রয়েছে ঠিক মতো সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না তাদের জন্যই মূলত এই আর্টিকেলটি
লিখতে বসেছি। তাই জীবনে সফল হতে হলে চাকরি নাকি ব্যবসা করা উচিত সে সম্পর্কে
বিস্তারিত আলোচনা করব।
আমাদের ভেতর অনেকে রয়েছে বেকারত্বকে বন্ধুত্ব করে ফেলেছে। তাদের জন্যই আজকে
আর্টিকেলটি খুবই স্পেশাল হতে চলেছে। কেননা আর্টিকেলটির ভেতর জুড়ে শুধুমাত্র
জীবনে সফল হতে হলে চাকরি নাকি ব্যবসা করা উচিত সেই সম্পর্কে বিশেষ ভাবে আলোচনা সহ
নানা ধরনের নানা ধরনের টিপস দিয়ে থাকবো। তো চলুন দেরি না করে আজকের এই
আর্টিকেলটি শুরু করা যাক। আপনি যদি জীবনে সফল হতে হলে চাকরি নাকি ব্যবসা করা উচিত
জানতে চান তাহলে এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
পোস্ট সূচিপত্রঃ জীবনে সফল হতে হলে চাকরি নাকি ব্যবসা করা উচিত সেই সম্পর্কে জানুন
ভূমিকা-জীবনে সফল হতে হলে চাকরি নাকি ব্যবসা করা উচিত
অনেকে রয়েছে যারা বেকার এবং একা একা থাকলে সবসময় মাথার ভিতর ঘোর ফাক করে জীবনে
সফল হতে হলে চাকরি নাকি ব্যবসা করা উচিত। এই ধরনের মন মানসিকতা নিয়ে অনেকেই
চিন্তিত তাদের কথা ভেবেই আজকে আর্টিকেলটি লিখতে বসেছি। আসলে জীবনে সফল হতে হলে
চাকরি নাকি ব্যবসা করা উচিত? অবশ্যই ব্যবসা করা উচিত কারণ ব্যবসা করলে আজকের গরিব
কালকে ধনী হওয়ার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি। কিন্তু চাকরির খেতে পুরোটাই ভিন্ন। তাই
চলুন শুরু করা যাক-
চাকরি ও ব্যবসার পার্থক্য
অনেকে রয়েছে সব সময় চিন্তিত এবং মাথা ভর্তি টেনশন এবং এটা চিন্তা করেন। চাকরি ও
ব্যবসায় মধ্যে পার্থক্য। বিশেষ করে চাকরি ও ব্যবসার পার্থক্য হচ্ছে আপনি যদি
ব্যবসা করে থাকেন তাহলে স্বাধীনতা মূলক কাজ করতে পারবেন। আর অন্যথায় যদি চাকরি
করে থাকেন তাহলে আপনার নিজের স্বাধীনতার কেমন কোন মূল্য নেই বললেই চলে। মাসে ছুটি
পাবেন কিনা তার কোন ঠিক নেই. কিন্তু নিজে যখন ব্যবসা করবে তখন আপনি প্রতিদিনই
ব্যস্ততার ভিতরেও ছুটি কাটাতে পারবেন।
এটাই হচ্ছে ব্যবসার ক্ষেত্রে সুযোগ সুবিধা। আর চাকরি করলে আপনার স্বাধীনতা থাকবে
না এবং প্রতিদিন সময় করে সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত কাজ করতে হবে। আর
আপনি যদি ব্যবসায়ী হন তাহলে দিনের যে কোন একটি সময় ব্যয় করে ব্যবসা করতে
পারবেন। ব্যবসা করলে টাকা পয়সার নিয়ে চিন্তিত খুব কম হয়। কেননা ব্যবসা ঠিকমতো
মনোযোগ সহকারে করার মাধ্যমে আপনি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করার মাধ্যম করতে
পারেন।
আর চাকরির ক্ষেত্রে পুরোটাই ভিন্ন। যেমন আপনি যদি কারো আন্ডারে চাকরি করে থাকেন
তাহলে হয়তো 20 থেকে 30 হাজার টাকা বেতন পেতে পারেন। তাও আবার ৩০ দিন পর টাকার
মুখ দেখতে পাবেন। আর আপনি যদি ব্যবসায়ী হন তাহলে প্রতিদিন টাকার মুখ দেখতে পাবেন
এবং টাকা নাড়াচাড়াও করতে পারবেন। ব্যবসায়ীদের এমন ধরনের সুবিধা ও টাকা হাতে
নিলেই মন খারাপ থাকলে তা খুশিতেই ভরে যায় এবং ব্যবসায়ীর কষ্ট দূর হয়ে যায়।
তাই আমি বলব আপনি যদি নিজের স্বাধীনতা বজায় রাখতে চান এবং গরিব থেকে ধনী হতে চান
তাহলে ব্যবসায়ী আপনার জন্য পারফেক্ট। কেননা ব্যবসা করে আপনি একদিন না একদিন ঠিকই
বড় ধরনের সাফল্য অর্জন করা সম্ভব না সবচেয়ে বেশি রয়েছে। আপনি অন্যদের ফলো করলে
দেখতে পাবেন তারাও ছোট ব্যবসা দিয়ে শুরু করে এখন ভালো মানের পজিশনে চলে গেছে।
ব্যবসায়ীদের জন্য এটি কমন ব্যাপার কিন্তু মনোযোগ সহকারে ব্যবসার পেছনে লেগে
থাকলে এবং ধৈর্য সহকারে কাজ করলে অবশ্যই আপনি সফলতার মুখ দেখবেন।
তাই চাকরির পেছনে না ছুটে নিজেই চাকরি দেওয়ার তাগিদ এবং নিজের উপর ভরসা রাখুন।
আপনার জন্য হয়তো পাঁচ দশটা যুবকের রিজিক বৃদ্ধি হতে পারে। আপনি ছোটপরিসরে যেকোনো
ধরনের ব্যবসা করতে পারেন। তবে লক্ষ্য রাখতে হবে কোন ব্যবসাটা করলে আপনার জন্য
আনন্দজনক এবং একসময় ভালো মানের সাফল্য লাভ করবে এটা চিন্তা ভাবনা করে বের করার
চেষ্টা করুন। এবং কাল থেকে করব, এত তারিখ থেকে করব, কোন দিন থেকে করব, এই ধরনের
কথাবাত্রা বলা বন্ধ করে আজ থেকেই শুরু করুন এবং শুরু করার স্বপ্ন পূরণ করুন।
কি ব্যবসা করলে লাভবান হওয়া যায়
অনেকেই রয়েছে কোন ধরনের ব্যবসা করলে ভালো লাভবান হওয়া যায়। এই ধরনের প্রশ্নেও
অনেকেই করে থাকে। কি ব্যবসা করলে লাভবান হওয়া যায় যেমন নানা ধরনের ব্যবসায়
রয়েছে আপনি যদি সঠিক মেধা এবং শ্রম ব্যয় করতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনি
ব্যবসায়ী লাভবান হতে পারবেন। বর্তমানে নানা ধরনের ব্যবসা রয়েছে। আমি এর জন্যই
কয়েকটি ব্যবসার সম্পর্কে ভাবে আলোচনা করব। তো চলুন নিজের তালিকা গুলো জেনে নিন-
ইজিবাইক অথবা অটো গাড়ির ব্যবসা-আপনি যদি ইজিবাইক এবং অটো গাড়ি কিনে নিজে
চালান তাহলে একটি থেকে প্রতিদিন এক থেকে দেড় হাজার টাকা আয় করা সম্ভব। আরো
রয়েছে আপনি ইজিবাইক অথবা অটো গাড়ি দশটি মতো নিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এই
দশটি অটো গাড়ি আপনি যদি ভাড়ায় রাস্তায় চালান লোক দিয়ে তাহলে প্রতিদিন একটি
গাড়ি থেকে ৫০০ টাকা করে পাবেন। আর দশটি গাড়ির দাম তাহলে ৫ হাজার টাকা হবে। তবে
এই দশটি গাড়ি যদি আপনি নিজের বিদ্যুৎ দিয়ে চার্জ দিয়ে থাকেন তাহলে এই পাঁচ
হাজার টাকার ভিতর খরচ কমবে।
আপনি যদি নিজের বিদ্যুৎ দিয়ে দশটি গাড়ি চার্জ দিয়ে থাকেন তাহলে হাজার বারোশো
টাকা মতো চার্জের পিছনেই লাগতে পারে। আর কিছু গাড়ির কোন ধরনের সমস্যা হলে মেরামত
করতে হবে চার্জ এবং মেরামতের জন্য পাঁচ হাজারের ভেতর দুই হাজার টাকা শেষ হয়ে
যাবে অবশিষ্ট আপনার ৩ হাজার টাকা করে প্রতিদিন ইনকাম করতে পারবেন। এভাবেই আপনি
ঘরে বসেই ব্যবসা করতে পারেন এবং মাসে ৯০ হাজার টাকা মাস গেলে খুব সহজেই পেয়ে
যাবেন।
মোবাইল অথবা ল্যাপটপ মেরামতের ব্যবসা-বর্তমান যুগে প্রতিটি ঘরেই প্রতিটি
সদস্যের কাছে ফোন অথবা ল্যাপটপ রয়েছে। আপনি যদি টি টি সি অথবা কোন প্রতিষ্ঠান
থেকে মোবাইল অথবা ল্যাপটপের সার্ভিসিং র্কোস করতে পারেন তাহলে একটি ভালো ধরনের
ব্যবসা আপনি চালু করতে পারবেন। কেননা মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ সার্ভিসিং এর জন্য
অনেকেই অনেক জায়গায় গিয়ে থাকে। কিন্তু অনেকেই আবার হেনস্তার শিকার হয়ে থাকে।
কারণ আজকাল মানুষজন এগুলোকে সার্ভিসিং করার বদলে ভালো ভালো জিনিস গুলো খুলে
নেওয়ার মতো বদ অভ্যাস করে থাকে। তাই আপনি যদি ভালো মানের প্রতিষ্ঠান এবং
বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান তৈরি করতে পারেন তাহলে আপনার প্রতিদিন দুই থেকে পাঁচ হাজারের
উপরেও ইনকাম করার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই নিজেকে সৎ রাখুন এবং নিজের কাজের মত
মানুষের কাজ করে দিন তাহলে আপনি প্রতিদিন ভালো মানের ইনকাম করতে পারবেন।
এখন ঘরে ঘরে ফোন ল্যাপটপ হওয়ার কারণে এর কাজের চাহিদা বাড়ছে। আপনি একটি কথা
ভেবে দেখতে পারেন কারণ এগুলো কখনো কমবে না এগুলো বরঞ্চ আরো বাড়তে থাকবে। তাই
আপনি যদি চান মোবাইল এবং ল্যাপটপের সার্ভিস ব্যবসাটি করবেন তাহলে করতে পারেন। এতে
ভালো ধরনের ইনকাম হওয়ার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি। এছাড়াও আজ থেকে ১০ থেকে ২০ বছর
পরেও এই ব্যবসাটি চলমান থাকবে।
চাকরি নয় ব্যবসা
জীবন যুদ্ধে জয়ী হতে হলে অবশ্যই মনে রাখবেন ব্যবসায়ী সেরা। চাকরি নয় ব্যবসা,
আসলে চাকরির বদলে আপনি ব্যবসা করতে পারেন। বিভিন্ন ক্ষেত্রেই আপনি ব্যবসা চালু
করতে পারেন। বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা রয়েছে আর এখন চাকরির পেছনে তেমন কেউ
সময় দেয় না যারা বুদ্ধিমান। আর যাদের চাকরির প্রয়োজন তারা কখনো বুদ্ধিমানের
কাতারে পড়ে না। তাই আপনিও যদি নিজেকে বুদ্ধিমান প্রমাণ করতে চান তাহলে চাকরির
পিছনে ছোটা আজ থেকে বন্ধ করুন।
এবং নিজেই অল্প পুঁজি ব্যবসা চালু করুন। এখন আমাদের দেশে বর্তমানে যেই চাকরির
পরিস্থিতি সেক্ষেত্রে আমি মনে করি ব্যবসায়ী আমাদের জন্য এখন শেষ ভরসা। তাই
যেকোনো ধরনের ব্যবসা আপনি করার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করুন। এবং খুব সহজেই কিছু
পুঁজি নিয়ে ব্যবসা করতে থাকুন। আপনি যদি ধৈর্য ধরে ব্যবসা করতে পারেন তাহলে
একদিন না একদিন ঠিক সাফল্য অর্জন করবেন।
নিজেকে এক দুই দিন সময় দিন এবং চিন্তা করে দেখুন চাকরি পেছনে এখনো ছুটবেন না
ব্যবসা করবেন। ব্যবসা করলে আজকের গরিব কালকে ধনী হতে পারবেন। আর চাকরি করলে ধনী
হওয়ার আশঙ্কা খুবই কম রয়েছে। তাই সিদ্ধান্ত আপনার জীবন আপনার আপনি যেটি ভালো
মনে করেন সেটা করতে পারেন। সাফল্য অর্জন করার জন্য আপনাকে অবশ্যই ব্যবসায়ী হতে
হবে। তাছাড়া সম্ভব নয়।
উত্তম ব্যবসা
মানুষ নানা ধরনের ব্যবসা চিন্তাভাবনা করে থাকে। কিন্তু অবশ্যই ব্যবসা যেকোনো
ধরনের করলে ঝামেলায় পড়তে পারেন। তাই সৎ ভাবে ব্যবসা করার তাগিদ নিন এবং সামনে
এগিয়ে যান। উত্তম ব্যবসা, উত্তম ব্যবসা বলতে আপনি হালাল ব্যবসা এবং আইনগত কোন
ধরনের ঝামেলায় পড়তে হবে এমন ধরনের ব্যবসা করলে আপনি উত্তম ব্যবসায়ী হতে পারবেন
না। তাই সৎ ভাবে ব্যবসায়ী করে তুলুন নিজেকে। এবং পরিবারের হাল ধরন খুব সহজে।
সুখে থাকার জন্য নানা ধরনের ব্যবসা রয়েছে সেগুলো আপনি করতে পারেন। আপনার হাতে
যদি টাকা থেকে থাকে তাহলে সেই টাকা ঘরে না রেখে অবশ্যই ব্যবসার কাজে ব্যয় করুন।
দেখবেন মাস শেষে অথবা বছর শেষে ভালো ধরনের পজিশনে আপনি এগিয়ে যাচ্ছেন। তাই সৎ
ভাবে ব্যবসা করার চেষ্টা করুন এতে কোন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন ছাড়াই আপনি ভালো
মানের উপার্জন করতে পারবেন।
লেখক এর মন্তব্য-জীবনে সফল হতে হলে চাকরি নাকি ব্যবসা করা উচিত
প্রিয় পাঠক, আপনি হয়তো এতক্ষণে জেনে গেছেন জীবনে সফল হতে হলে চাকরি নাকি ব্যবসা
করা উচিত সেই সম্পর্কে। এখন চাইলেই সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন চাকরি করতে চান নাকি
ব্যবসা। আপনি ভেবে দেখলেই বুঝতে পারবেন আপনার জন্য কোনটা সেরা। আমি বলব একটি
মানুষের জন্য ব্যবসায়ী সবচেয়ে ভালো হবে। এখন আপনি বলতে পারেন কিসের জন্য ভালো
হবে? কিসের জন্য ভালো হবে সেটা হচ্ছে আপনি যদি ব্যবসা করতে চান তাহলে এই সময়টাই
শুধু আপনাকে কষ্ট করা লাগবে।
তবে বৃদ্ধ বয়সে আপনাকে আর কষ্ট করা লাগবে না তখন বিজনেস করেই আপনি টাকা গোডাউন
দিয়ে দিবেন। আর চাকরি এই সময় আনন্দ উপভোগ করতে করতে যাবেন বৃদ্ধ বয়সে
রিটায়ার্ড হয়ে ঘুরে বেড়াবেন তখন কি করবেন? তাহলে অবশ্যই বুঝতে পেরেছেন আপনি যে
মানব গুষ্টির জন্য অবশ্যই ব্যবসায়ী হওয়াটাই জরুরী। আর্টিকেলটি ভালো লাগলে
অবশ্যই বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করুন। শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে আর্টিকেলটি পড়ার
জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url